বাবুগোশা
বাবুগোশা (ইংরেজি: Indian pear) হল ভারতীয় নাশপাতি যা রোজাসিয়ে পরিবারের 'পাইরাস কমিউনিস' গণের অন্তর্ভুক্ত একটি ভোজ্য মিষ্ট ফল। [১]নাশপাতি প্রজাতির মত উচ্চ ফাইবার তথা আঁশযুক্ত, গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ মিষ্ট ফল বাবুগোশা। রোজাসিয়ে পরিবারের অন্যান্য ফল— আপেল, নাশপাতি, এপ্রিকট, চেরি, পীচ, বরই, স্ট্রবেরি ইত্যাদির ন্যায় লাল, সবুজ, হলুদ সোনালী ও বাদামী শেডে পাওয়া যায়। বাবুগোশা মাঝারি আকারের পর্ণমোচী উদ্ভিদে জন্মায় এবং গাছগুলি সাধারণত ১০-১২ মিটার উচ্চতার হয়ে থাকে। [১] তাই গাছটিকে ছোট উঠানের মত জায়গাতে রোপন করা যেতে পারে। [১]
বাবুগোশা Indian pear | |
---|---|
![]() | |
বাবুগোশা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | ইউডিকটস |
শ্রেণীবিহীন: | রোসিডস |
বর্গ: | রোজালেস |
পরিবার: | রোজাসিয়ে |
উপপরিবার: | Amygdaloideae |
গোত্র: | Maleae |
উপগোত্র: | Malinae |
গণ: | পাইরাস এল. |
প্রজাতি | |
প্রায় তিরিশটি প্রজাতি |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/40/Babugosha.jpg/220px-Babugosha.jpg)
নাতিশীতোষ্ণ, আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ুতে এই প্রজাতির গাছ সবচেয়ে ভাল জন্মে। গাছ লাগানোর তিন-চার বছর পর সাধারণভাবে জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফুল ফোটা শুরু হয়। কখনও কখনও অবশ্য নির্দিষ্ট এলাকার জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।[২]
পুষ্টিগুণ
বাবুগোশা নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ১০০ গ্রাম বাবুগোশায় রয়েছে—
খাদ্য শক্তি— ৫৮ ক্যালোরি,প্রোটিন— ০.৩৮ গ্রাম,চর্বি — ০.১২ গ্রাম,কার্বোহাইড্রেট— ১৫.৪৬ গ্রাম,শর্করা — ৯.৮০ গ্রাম,ফাইবার — ৩.১০ গ্রাম,সোডিয়াম — ১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম— ১১৯ মিলিগ্রাম, [৩]
উপকারিতা
বাবুগোশা ফল কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় ওজন কমাতে কার্যকরী। আবার ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে ও কোলন পরিষ্কারে সহায়ক। এছাড়াও একটি মাঝারি আকারের বাবুগোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব থাকায় ও পটাশিয়ামের পরিমান ১১৬ মিলিগ্রাম হওয়ায় হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী।
আয়ুর্বেদে বাবুগোশা ভেষজ ফল হিসাবে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। জ্বর উপশমে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে গণ্য করা হয়। তাজা ফল হিসাবে, রসে পরিণত করে বা রান্নার উপাদানে ব্যবহার করা যায়।[২]
নাশপাতির সঙ্গে পার্থক্য
- নাশপাতি সাধারণত গোলাকৃতির সবুজ ও হলুদ রঙের হয়, বাবুগোশা একটু লম্বাটে সবুজ, হলুদ, লাল, সোনালী এবং সংমিশ্রণে বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।
- বাবুগোশার স্বাদ মনোরম, নাশপাতির স্বাদ মিষ্ট ও টক।
- বাবুগোশা নরম, নাশপাতি শক্ত।
- বাবুগোশার বীজ নাশপাতির বীজের চেয়ে ছোট।
- বাবুগোশায় ভিটামিন -সি এর পরিমাণ নাশপাতির চেয়ে কম। [২]