ফোকাস (জার্মান সাময়িকী)
ফোকাস হলো একটি জার্মান-ভাষার সাময়িক পত্র বা সাময়িকী, যা প্রকাশ করে হুবার্ট বুর্ডা মিডিয়া।[১][২] এটা সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে স্পিজেল এর পাশাপাশি ১৯৯৩সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩][৪] ২০১৫সালে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে নতুন সদস্যদের নিয়ে এটির সদর দপ্তর খোলা হয়।[৫] স্পিজেল এবং স্টার্নের পাশাপাশি, ফোকাস হলো জার্মানে সবচেয়ে প্রচলিত সাপ্তাহিকী।[৬][৭] এটি প্রতিষ্ঠা করেন হুবার্ট বুর্ডা এবং হেলমাট মার্কোর্ট।[৮][৯][১০] ২০১৬সালের মার্চ অনুযায়ী বর্তমানে এটির প্রধান সম্পাদক হলেন রবার্ট স্কেইডার।[১১][১২]
![]() | |
সম্পাদক | রবার্ট স্কেইডার |
---|---|
বিভাগ | সাময়িক পত্র |
প্রকাশনা সময়-দূরত্ব | সাপ্তাহিক |
সংবহন | ৪৪১.৮০৫ (০২/২০১৭) |
প্রকাশক | হেলমাট মার্কোর্ট |
প্রথম প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৩ |
কোম্পানি | হুবার্ট বুর্ডা মিডিয়া |
দেশ | জার্মানি |
ভিত্তি | মিউনিখ |
ভাষা | জার্মান |
ওয়েবসাইট | www.focus.de |
আইএসএসএন | ০৯৪৩-৭৫৭৬ |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e9/Robert_Schneider_2017.jpg/220px-Robert_Schneider_2017.jpg)
ইতিহাস
"জুগমিজে" কোড নাম দিয়ে ১৯৯১সালের গরমে ফোকাসের কাজ শুরু করা হয়।[১৩] ১৯৯২সালের অক্টোবরে, হুবার্ট বুর্ডা মিডিয়া নতুন সাময়িক পত্রের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন।[১৪] পর্যবেক্ষকরা ধারণা করেন এই পরিকল্পনাটি শুধু অল্প সফল হতে পারবে।[১৫] স্পিজেল এবং স্টার্ন সাময়িকীর প্রতিযোগী হিসেবে অন্য প্রকাশকদের প্রচেষ্টা পূর্বে কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছে। ফোকাসের প্রথম সংস্করণ ১৮জানুয়ারি, ১৯৯৩সালে প্রকাশ করা হয় এবং তা পরের দিনই বিক্রয় হয়ে যায়।[১৬] ফোকাসের স্লোগান ছিল "দ্যা মডার্ন ম্যাগাজিন" এবং হেলমাট মার্কোর্ট সাময়িকীর প্রথম প্রধান সম্পাদক হন।[১৭][১৮][১৯] ফোকাস সম্পর্কে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরনের মন্তব্য ছিল।[২০] পর্যবেক্ষকরা ফোকাসকে স্পিজেলের কঠোর প্রতিযোগী মনে করে।[২১]
পাঁচটি সমস্যার পর, ফোকাসের ১৫,০০০জন গ্রাহক ছিলো এবং এটির ৩০০,০০০সংখ্যার বেশি বিক্রিত হয়। এটি শুরু থেকেই বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিল।[২২] হুবার্ট বুর্ডা মিডিয়ার বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে এই সাময়িকী বড় ভূমিকা রাখে।[২৩][২৪][২৫] ১৯৯৪সালের মাঝে, একটি ডাচ আদালত নির্দেশ দেয় যে, দন্ধের কারণে ফোকাসকে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং লুক্সেমবার্গ এ বিক্রি করা যাবেনা।[২৬] এটির পর, ফোকাস বাণিজ্যিক বৃদ্ধির কৌশল বজায় রাখে।[২৭][২৮][২৯] বুর্ডা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিকভাবে এর বাণিজ্য বাড়ায়, যেমন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দল জিফ ডেভিস এর সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে।[৩০] ১৯৯৬সালে ইন্টারনেটে পোর্টাল ফোকাস অনলাইন উদ্ভোদন করা হয়। আবার এটি ফোকাস টিভি নাম দিয়ে টেলিভিশন মাধ্যমে যোগ দেয়।[৩১][৩২][৩৩][৩৪] ফোকাস জার্মানের একটি মুখ্য সাময়িক পত্রে পরিণত হয়।[৩৫] ১৯৯৭সালে, এটির প্রকাশক হুবার্ট বুর্ডা সাময়িকীর সৃজনশীল আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার পায়।[৩৬][৩৭]
২০১৭সালে, ফোকাস মিউনিখ এবং ডুসেলডর্ফে এর অফিস বন্ধের ঘোষণা দেয়।[৩৮][৩৯] তারপর থেকে, এই সাময়িকী সম্পূর্ণ বার্লিনে তৈরি হয়।[৪০] এই বছরের শেষে, হুবার্ট বুর্ডা মিডিয়া একটি প্রচারণা অভিযান চালায়, যার নাম "মুঞ্চেন ইম ফোকাস" (ফোকাসে লোকজন)।[৪১]
বিতরণ
ফোকাস হলো সবচেয়ে বিক্রিত সাময়িক পতৃর এবং বিজ্ঞাপন বাজারের একটি বড় অংশ এটির দখলে।[৪২] স্পিজেল এবং স্টার্নের মতো, ফোকাস ক্ষতি সামলাতে পেরেছে। যদিও ১৯৯৮সাল থেকে ২০১৭সালের মাঝে এটির বিক্রিত সংখ্যার পরিমাণ ৭৮২,৬৮৫ থেকে ৪৩৮,০৫৫ এ কমে আসে।[৪৩][৪৩]
সমালোচনা
২০১৬সালে, ফোকাস যৌন নিপীড়নের উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেটি সমালোচনার সৃষ্টি করে।[৪৪] এটির মূল পৃষ্ঠাতে একজন নগ্ন শেতাঙ্গ নারীর দেহে কালো হাতের ছাপ দেখা যায়, এটিকে অনেকে "নগ্নতা" এবং "বর্ণবাদ" হিসেবে তুলনা করেছে।[৪৫][৪৬][৪৭][৪৮] জার্মান প্রেস কাউন্সিল ফোকাসের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছে,[৪৯] কিন্তু সবগুলোকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।[৫০]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)