প্রাচীন মিশরীয় সৃষ্টিপুরাণ

প্রাচীন মিশরীয় সৃষ্টিপুরাণ হল জগতের সৃষ্টি সম্পর্কে প্রাচীন মিশরীয়দের পৌরাণিক বিবরণ। পুরনো রাজ্যের (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০-২২০০ অব্দ) সময়কাল থেকে পিরামিড লিপি, সমাধি-প্রাকারের চিত্রাবলি ও রচনাকর্ম প্রাচীন মিশরীয় সৃষ্টিপুরাণ সম্পর্কে সর্বাধিক পরিমাণে তথ্যের জোগান দিয়েছে।[১] এই অতিকথাগুলি পৃথিবীর আদিতম ধর্মীয় রচনা-সংকলনগুলিরও অন্যতম।[২] প্রাচীন মিশরীয়রা অনেক সৃষ্টিকর্তা দেবতা এবং তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিংবদন্তিতে বিশ্বাস করত। এই কারণেই প্রাচীন মিশরের ভিন্ন ভিন্ন অংশের অধিবাসীদের মতে জগৎ বা বিশেষভাবে মিশর দেশটি বহু বৈচিত্র্যপূর্ণ উপায়ে সৃষ্টি হয়েছিল।[৩] অতিকথার কয়েকটি পাঠে থুতু ফেলা, হস্তমৈথুন ইত্যাদিকে সৃষ্টির মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আদিতম দেবতা রা এবং/অথবা আতুম (উভয়েই ছিলেন সৃষ্টিকর্তা/সৌরদেবতা) ব্রহ্মাণ্ডের এক বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েছিলেন এবং উত্থিত করেছিলেন শু (বায়ু) ও তেফনুতকে (আর্দ্রতা), যাঁদের সম্মিলনে আবার এসেছিলেন গেব (পৃথিবী) ও নুত (আকাশ)। গেব ও নুত এরপর সৃষ্টি করেন ওসাইরিস, আইসিস, সেত ও নেফথিসকে। এই মৌলিক কাঠামোর একটি সম্প্রসারিত পাঠ ছিল ওসাইরিসের অতিকথা। এই অতিকথা গড়ে উঠেছিল ওসাইরিস, তাঁর পত্নী আইসিস ও তাঁদের পুত্র হোরাসকে নিয়ে। সেত ওসাইরিসকে হত্যা করেন এবং তার ফলে ক্ষমতার লড়াইতে হোরাস যে জয়লাভ করেন তা ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সঙ্গে রাজপদের সংযোগের আদর্শটির একটি শক্তিশালী আখ্যানমূলক যোগসূত্রের জোগান দিয়েছিল।

সৃষ্টির চক্রাকার স্তুপের উপর সূর্য উদিত হচ্ছে এবং দেবীরা সেই সূর্যের চারিপাশে আদ্যকালীন জল সিঞ্চন করছেন

এই সকল অতিকথায় দেখা যায়, zp tpj (কখনও কখনও জেপ তেপি নামে লিপ্যন্তরিত; যার অর্থ "প্রথম ঘটনা") যুগে প্রথম সূর্যোদনের সঙ্গে সঙ্গে জগৎ এক অনন্ত জীবনহীন সমুদ্র থেকে উত্থিত হয়েছিল।[৪] বিভিন্ন অতিকথায় ভিন্ন ভিন্ন দেবতাকে সৃষ্টিকর্তার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে: এঁদের মধ্যে আছেন ওগদোয়াদ নামে পরিচিত আটজন আদ্যকালীন দেবতা, ধ্যানমগ্ন দেবতা প্তাহ ও রহস্যময় সর্বাতিক্রমী দেবতা আমুন। এই সকল সৃষ্টিতত্ত্বের মধ্যে কিছু স্ববিরোধ দেখা গেলেও, অন্য দিক থেকে এগুলি একে অপরের পরিপূরক। কারণ এগুলি ছিল সৃষ্টি সম্পর্কে মিশরীয়দের ধ্যানধারণার ভিন্ন ভিন্ন দিক।

সাধারণ উপাদান

সৃষ্টির জলরাশি থেকে সদ্যোজাত সূর্যকে সৌর-বজরায় উত্থিত করছেন নুন

ভিন্ন ভিন্ন অতিকথায় কিছু কিছু সাধারণ উপাদান পাওয়া যায়। প্রতিটি অতিকথাতেই দেখা যায় যে, জগৎ নু নামে পরিচিত জীবনহীন জলের এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। তাছাড়া প্রতিটি অতিকথাতেই দেখা যায় যে, জল থেকে প্রথম যা উত্থিত হয়েছিল তা হল বেনবেন নামে পরিচিত এক পিরামিড-আকৃতির স্তুপ। এই উপাদানগুলি সম্ভবত অনুপ্রাণিত হয়েছিল নীল নদের বাৎসরিক বন্যার থেকে; বন্যার জল নেমে গেলে যে উর্বর মাটি ফেলে যেত তার সঙ্গে মিশরীয়রা সম্ভবত আদ্যকালীন বিশৃঙ্খলা থেকে জীবনের উত্থানের ঘটনাটিকে সম্পৃক্ত করত। পিরামিডাকৃতি স্তুপের দৃশ্যকল্পটির উৎস জল নেমে যাওয়ার পর পৃথিবীর বুকে জেগে ওঠা উচ্চতম স্তুপগুলি।[৫]

সৃষ্টি-পুরাণের সঙ্গে সূর্যের সম্পর্ক অতি ঘনিষ্ঠ। কথিত আছে যে, সূর্য প্রথম উদিত হয়েছিলেন সেই স্তুপের পিছন থেকে হয় সাধারণ সূর্যদেবতা রা-এর রূপে অথবা নবোদিত সূর্যের প্রতিনিধিস্বরূপ দেবতা খেপরির রূপে।[৬] সূর্যোদয়ের এই ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ পাওয়া যায়। কোথাও বলা হয়েছে, স্তুপ থেকে সরাসরি সূর্য উদিত হয়েছিলেন, কোথাও বা বলা হয়েছে স্তুপের উপর ফুটে ওঠা এক পদ্মফুল থেকে সূর্যের উদয় ঘটেছিল। বলা হয়েছে, সূর্য কাঁকপাখি, বাজপাখি, গুবরে পোকা বা মানবশিশুর আকারে উদিত হয়েছিলেন।[৬][৭]

মিশরীয় সৃষ্টিতত্ত্বের আরেকটি সাধারণ উপাদান হল হল মহাজাগতিক অণ্ডের সমরূপীয় আকৃতি। এই ধারণাটি আদ্যকালীন জল বা আদ্যকালীন স্তুপের ধারণাটির একটি বিকল্প। মহাজাগতিক অণ্ডের একটি ভিন্নন পাঠ থেকে জানা যায়, আদ্যকালীন সমুদ্রের বিশৃঙ্খলার উপর স্থিত আদ্যকালীন স্তুপের উপর থেকে আদ্যকালীন শক্তি রূপে সূর্যদেবতার উত্থান ঘটেছিল।[৮]

সৃষ্টিতত্ত্বসমূহ

মিশরের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে এক-একটি কাল্টের সঙ্গে সৃষ্টি-সংক্রান্ত অতিকথার ভিন্ন ভিন্ন পাঠ সম্পৃক্ত ছিল: হার্মোপোলিস, হেলিওপোলিস, মেমফিস ও থিবস।[৯] অতিকথার এই পাঠান্তরগুলির মধ্যে এক প্রতিযোগিতামূলক ধর্মতত্ত্বের প্রতিনিধিত্ব লক্ষিত হয়। কিন্তু এগুলি সৃষ্টিপ্রক্রিয়ার ভিন্ন ভিন্ন দিকেরই প্রতিনিধিত্ব করে।[১০]

হার্মোপোলিস

দেনদেরায় হাথোর মন্দিরে প্রাপ্ত রোমান যুগীয় একটি খোদাইচিত্রে ওগদোয়াদের দেবতারা। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যাঙের, আবার কেউ কেউ সাপের মাথা-বিশিষ্ট।

হার্মোপোলিস শহরে উদ্ঘোষিত সৃষ্টি-উপকথার কেন্দ্রে রয়েছে জগৎ সৃষ্টির পূর্বে ব্রহ্মাণ্ডের অবস্থার প্রকৃতি। আদ্যকালীন জলের বৈশিষ্ট্যসূচক গুণাবলির প্রতীক ছিলেন আট দেবতার এক গোষ্ঠী। এই দেবগোষ্ঠী পরিচিত ছিলেন ওগদোয়াদ নামে। দেবী নাউনেত ও তাঁর পুরুষ প্রতিরূপ নু স্বয়ং সেই স্থির আদ্যকালীন জলের প্রতীভূ ছিলেন; হুহ ও তাঁর প্রতিরূপ হুয়াহেত জলের অনন্ত প্রসারের প্রতিনিধিত্ব করতেন; কেক ও কাউকেত জলের মধ্যে উপস্থিত অন্ধকারের মূর্তিরূপ ছিলেন; এবং আমুন ও আমুনেত ছিলেন সেই জলের গোপন ও অ-জ্ঞাতব্য প্রকৃতির প্রতিভূ। এ-সবই ছিল জীবিতের বাস্তব জগতের বিপরীত। আদ্যকালীন জলও সৃষ্টিপ্রক্রিয়ার অংশ ছিল। সেই কারণে তার প্রতিভূ দেবদেবীরাও সৃষ্টিকর্তা দেবদেবী হিসেবে মর্যাদা পেতেন।[১০] এই অতিকথা অনুযায়ী, আটজন দেবতা আদিতে নিজেদের পুরুষ ও নারী দেবতার দুই গোষ্ঠীতে ভাগ করে নিয়েছিলেন।[১১] প্রতীকীরূপে তাঁদের জলচর প্রাণীদের রূপে চিত্রিত করা হত; কারণ তাঁদের বাসস্থান ছিল জলেরই তলায়: পুরুষ দেবতাদের চিত্রিত করা হত ব্যাঙের আকারে এবং দেবীদের চিত্রিত করা হত সাপের আকারে।[১২] কালক্রমে এই দুই গোষ্ঠী সমকেন্দ্রী হয়ে যায়। ফলে এক মহা-অভ্যুত্থান ঘটে, যা প্রাগুক্ত পিরামিডাকৃতি স্তুপটির জন্ম দেয়। সেই স্তুপ থেকেই সূর্যের উদয় হয়, যা আকাশে উঠে জগতকে আলোকিত করে।[১৩]

হেলিওপোলিস

হেলিওপোলিসে সৃষ্টিকর্তার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল আতুমকে। এই আতুম ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন রা-এর সঙ্গে এবং কথিত ছিল রা নু-এর জলে এক অচেতন অনুদ্ভূত সত্ত্বা রূপে বিরাজমান ছিলেন। আতুম ছিলেন এক স্বয়ম্ভূ দেবতা এবং জগতের সকল উপাদান ও শক্তির উৎস। হেলিওপলিটান অতিকথায় বর্ণিত হয়েছে কীভাবে তিনি এক একক সত্ত্বা থেকে এই উপাদানগুলির সংখ্যাধিক্যে "বিবর্তিত" হয়েছিলেন।[১৪][১৫] এই সৃষ্টিপ্রক্রিয়া শুরু হয় যখন আতুম স্তুপের উপর উঠে বায়ুদেবতা শু ও তাঁর বোন তেফনুতকে উত্থিত করেম।[১৬] শু ও তেফনুতের অস্তিত্ব জলের মধ্যে মহাকাশের উত্থানের প্রতীক।[১৭] আমুন কীভাবে এই কাজ করেছিলেন তা ব্যাখ্যা করতে এই অতিকথা হস্তমৈথুনের রূপকালংকারটি ব্যবহৃত হয়েছে; যে হাতটি তিনি এই কাজের জন্য ব্যবহার করেছিলেন তা তাঁর মধ্যে অন্তর্নিহিত নারীসত্ত্বার প্রতিভূ।[১৮] আরও বলা হয় যে, শু ও তেফনুতকে সৃষ্টি করতে তিনি "হেঁচেছিলেন" ও "থুতু ফেলেছিলেন"; এই রূপকালংকারটি তাঁদের নামের শব্দ-কৌতুক থেকে উদ্ভূত।[১৯] এরপর শু ও তেফনুত যৌনসম্বন্ধে আবদ্ধ হয়ে পৃথিবীর দেবতা গেব ও আকাশের দেবী নুতের জন্ম দিয়েছিলেন। গেব ও নুত পৃথিবীর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।[২০] গেব ও নুত আবার চার সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, যাঁরা ছিলেন জীবনের শক্তির প্রতিভূ: উর্বরতা ও নবজীবনের দেবতা ওসাইরিস, মাতৃত্বের দেবী আইসিস, বিশৃঙ্খলার দেবতা সেত ও রক্ষাকর্ত্রী দেবী নেফথিস। এইভাবেই এই অতিকথার মাধ্যমে জীবনের উৎসের প্রক্রিয়াটি উপস্থাপিত করা হয়েছে। ধর্মতত্ত্ব অনুযায়ী, এই নয় দেবতার গোষ্ঠীকে বলা হত এননিয়াদ। কিন্তু আটজন অপ্রধান দেবতা এবং জগতের সকল সত্ত্বাকে মূলগতভাবে আতুমের ব্যাপ্তি হিসেবেই দেখা হত।[২১][২২]

মেমফিস

মেমফিসীয় সৃষ্টিতত্ত্বের কেন্দ্রে রয়েছেন কারিগরদের দেবতা প্তাহ। প্রকৃত অর্থে একটি সম্পূর্ণ বস্তুকে কল্পনা করার এবং কাঁচামাল থেকে দ্রব্য উৎপাদনের যে ক্ষমতা কারিগরদের থাকে, তার প্রতিভূ প্তাহ। মেমফিসীয় ধর্মতত্ত্বে বলা হয়েছে যে, প্তাহ সেই একইভাবে জগৎ সৃষ্টি করেছেন।[২৩] এই তত্ত্বটি অন্যান্য মিশরীয় সৃষ্টিতত্ত্বের মতো প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নয়, বরং এতে বলা হয়েছে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে ঈশ্বরের বাক্য ও মনের দ্বারা এক বৌদ্ধিক প্রক্রিয়ায়।[২৪] ধারণাগুলি বিকাশলাভ করেছিল প্তাহের হৃদয়ে (মিশরীয়রা যাকে মানুষের চিন্তার পীঠস্থান মনে করত), তারপর সেগুলির আকার দানের পর তিনি সে-সবের নামকরণ করেছিলেন নিজের জিহ্বা দ্বারা। সেই সব নাম উচ্চারণের মাদ্যমে প্তাহ দেবদেবী ও ওন্যান্য বস্তু সৃষ্টি করেছিলেন।[২৫]

মেমফিসীয় সৃষ্টিতত্ত্বটি প্রাচীন মিশরের সৃষ্টিতত্ত্বের সঙ্গে সহাবস্থান করে। কারণ মনে করা হত যে, প্তাহের সৃজনশীল চিন্তা ও বাক্য আতুম ও এননিয়াদের সৃজনের কারণস্বরূপ হয়েছিল।[২৬] পিরামিডাকৃতি স্তুপের ব্যক্তিরূপ দেবতা তাৎজেনেনের সঙ্গেও প্তাহ যুক্ত ছিলেন।[২৫]

থিবস

থিবীয় ধর্মতত্ত্ব দাবি করত যে, আমুন শুধুমাত্র ওগদোয়াদের এক সদস্যমাত্রই নন, বরং সকল বস্তুর পিছনে লুক্কায়িত শক্তি। আমুনের ব্যক্তিত্বের মধ্যে সৃষ্টির সকল ধারণা সন্নিহিত হয়েছিল। এই সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশেষভাগে জোর দেওয়া হয়েছিল কীভাবে আমুন সকল দেবতার সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিলেন তাঁর "আকাশের উর্ধ্বে ও পাতালেরও গভীরে" স্থিত সত্ত্বায়।[২৭] একটি থিবীয় অতিকথা অনুযায়ী, আমুনের সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে হংসধ্বনির তুলনা করা হয়েছে, যা আদ্যকালীন জলের স্তব্ধতা ভঙ্গ করে ওগদোয়াদ ও এননিয়াদের সৃজন সম্ভব করে তুলেছিল।[২৮] আমুন ছিলেন জগত থেকে পৃথক। তাঁর সত্য প্রকৃতি অন্যান্য দেবতাদেরও অজানা। সেই সঙ্গেই, তিনি যেহেতু সকল সৃষ্টির ও সকল দেবতার পরম কারণ, সেই হেতু অন্যান্য সকল স্রষ্টাগণও তাঁরই প্রতিরূপ মাত্র। কালক্রমে এই বিশ্বাস থেকেই মিশরীয় দেবমণ্ডলীতে আমুন সর্বোচ্চ দেবতার স্থান অর্জন করেন।[২৯]

থিবস শহরটি যে এক প্রধান ধর্মীয় রাজধানী হয়ে উঠেছিল, তার কারণও আমুন। থিবসের মন্দিরগুলির স্তম্ভযুক্ত সভাগৃহ, ওবেলিস্ক, প্রকাণ্ড মূর্তিসমূহ, প্রাচীরের গায়ে খোদাইচিত্র ও চিত্রলিপি-সংক্রান্ত অভিলেখগুলি আমুনের শ্রেষ্ঠত্বই প্রতিফলিত করে। কথিত ছিল যে, সৃষ্টির আদিতে যে আদ্যকালীন স্তুপটি উত্থিত হয়েছিল সেটির অবস্থান ছিল এই থিবসেই।[৩০]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী