পিয়ার, সাউথ ডাকোটা

পিয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ও হিউজেস কাউন্টির সদর দপ্তর।[১] ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ১৩,৬৪৬। এটি জনসংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য-রাজধানী। পিয়ার জনসংখ্যায় সাউথ ডাকোটার অষ্টম ক্ষুদ্রতম শহর। ১৮৮০ সালে পিয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়। সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্য হিসেবে ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এটি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পায়। শহরটি পিয়ার মেট্রোপলিটন পরিসংখ্যানগত এলাকার প্রধান শহর।

হিউজেস কাউন্টির সদর দপ্তর

ইতিহাস

মিজুরি নদীর পূর্বতীরে পিয়ার দুর্গের বিপরীতে পিয়ার শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৯ সালের ২ নভেম্বর সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর পিয়ার এর রাজধানী হয়।

হুরন ও পিয়ার রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল। কিন্তু রাজ্যের ভৌগোলিক কেন্দ্রে পিয়ার অবস্থিত হওয়ায় একেই নবগঠিত সাউথ ডাকোটার রাজধানী করা হয়। ১৮১৭ সাল থেকে পিয়ার দুর্গে পশম বিক্রি হত। ফ্রেঞ্চ বংশোদ্ভূত ও মিজুরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহর থেকে আগত পশমবিক্রেতা পিয়ার শাতোর নামানুসারে শহরটির নাম হয় পিয়ার।

শহরের পূর্ব-পশ্চিম দিক দিয়ে গেছে র‍্যাপিড সিটি, পিয়ার ও পূর্বাঞ্চলীয় রেলসড়ক। রেলসড়কটি নির্মাণের ফলে আঞ্চলিকভাবে উৎপন্ন দ্রব্যের প্রবেশগম্যতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি পরিবহনের ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। এটি শিকাগো ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলসেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় মিজুরি নদী অতিক্রম করে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফেডারেল সরকারের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মহাসড়ক নির্মিত হলেও পিয়ার শহরে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর ফলে শহরটি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে এখানে গাড়ি ও ট্রাক চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভূগোল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরোর ২০১০ সালের তথ্য অনুযায়ী, পিয়ার শহরের আয়তন ১৩.০৭ বর্গমাইল। এর ১৩.০৬ বর্গমাইল স্থল ও ০.০১ বর্গমাইল জল।

মিজুরি নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত খাঁড়ির উপর পিয়ার শহরের অবস্থান। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মানবসৃষ্ট হ্রদ ওহে হ্রদ থেকে পিয়ার অল্প দূরত্বে অবস্থিত। বন্যানিয়ন্ত্রণ ও সেচ-কাজের সুবিধার জন্য হ্রদটি সৃষ্টি করা হলেও এটি মৎস্যশিকারের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

জলবায়ু

পিয়ারের জলবায়ু আর্দ্র মহাদেশীয় ধরনের। শহরটির আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে শুষ্ক থাকে। [২] জানুয়ারি মাসে পিয়ারে ১৯.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট গড় তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয় । মৌসুমগুলোতে গড়ে ৩২ ইঞ্চি (০.৮১ মিটার) তুষারপাত হয়। বছরে গড়ে ২০ রাত হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা বিরাজ করে। [৩]

১৯৭৩ সালে এখানে এফথ্রি মাত্রার ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে। এতে ১০ জন আহত হন। [৪] এটি হিউজেস কাউন্টিতে আঘাত করা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।[৫]

বছরে ৫০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট(৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪) ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১১৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (২১ জুলাই ২০০৬)।

জনমিতি

২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পিয়ার শহরের জনসংখ্যা ১৩,৬৪৬। এখানে ৩,৪৬৩টি পরিবার বসবাস করছিল। শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪০৩.৪ জন। বাসিন্দাদের ৮৫.১% শ্বেতাঙ্গ, ০.৫% আফ্রিকান আমেরিকান, ১০.৯% আদিবাসী আমেরিকান ও ০.৬% এশীয়। বাসিন্দাদের ১.৯% হিস্পানিক অথবা লাতিনো।

২০০০ সালের তথ্যানুযায়ী পরিবারগুলোর গড় আয় ৫২,১৪৪ ডলার। পুরুষদের গড় আয় ৩২,৯৬৯ ও নারীদের গড় আয় ২২,৮৬৫ ডলার। বাসিন্দাদের মাথাপিছু আয় ২০,৪৬২ ডলার। ৫.৫% পরিবার ও ৭.৮% বাসিন্দা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এদের ৭.৯% এর বয়স ১৮ এর নিচে ও ৯.২% এর বয়স ৬৫ এর সমান বা বেশি।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী