পলেষ্টীয়

পলেষ্টীয়[১] (হিব্রু ভাষায়: פלשתים‎; লাতিন: Philistaei; গ্রিক: Φιλισταίοι; আরবি: الفلستيون) ছিল একটি প্রাচীন জনগোষ্ঠী যারা খ্রীষ্টপূর্ব ১২শ শতাব্দী থেকে ৬০৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত কেনানের দক্ষিণ উপকূলে বসবাস করত, যখন নব্য-অশূরীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা ইতোমধ্যেই বহু শতাব্দী পরাধীন থাকার পর তাদের শাসনতন্ত্র শেষ পর্যন্ত নব্য-বাবিলীয় সাম্রাজ্যের রাজা দ্বিতীয় নবূখদ্‌নিৎসরের দ্বারা ধ্বংস হয়েছিল।[২] তার সাম্রাজ্য এবং তার উত্তরাধিকারী পারস্য সাম্রাজ্যের অংশ হওয়ার পর, তারা তাদের স্বতন্ত্র জাতিগত পরিচয় হারিয়ে ফেলে এবং খ্রীষ্টপূর্ব ৫ শতকের শেষদিকে ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নথিপত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।[৩] পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলীয়দের সাথে তাদের বাইবেলীয় দ্বন্দ্বের জন্য পরিচিত। যদিও পলেষ্টীয়দের সম্পর্কে তথ্যের প্রাথমিক উৎস হিব্রু বাইবেল, তারা প্রথমে মদিনাত হাবুতে তৃতীয় রামসেসের মন্দিরে রিলিফে সত্যায়িত হয়, যেখানে তাদের বলা হয় পেলেসেৎ (𓊪𓏲𓂋𓏤𓏤𓐠𓍘𓇋𓍑), যা হিব্রু পলেষৎ শব্দের সগোত্রীয় হিসাবে স্বীকৃত;[৪] এর সমান্তরাল অশূরীয় শব্দ হল পলস্তু (𒉺𒆷𒀸𒌓), পিলিশতি (𒉿𒇷𒅖𒋾) বা পিলিস্তু (𒉿𒇷𒅖𒌓)।[৫]

পলেষ্টীয় শাসনতন্ত্র

𓊪𓏲𓂋𓏤𓏤𓐠𓍘𓇋𓍑
𒉺𒆷𒀸𒌓
আনু. খ্রীষ্টপূর্ব ১২শ শতাব্দী–আনু. ৬০৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
৮৩০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের দিকে অঞ্চলটির একটি তাত্ত্বিক মানচিত্র। পলেষ্টীয় শাসনতন্ত্র লাল রঙে চিহ্নিত।
৮৩০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের দিকে অঞ্চলটির একটি তাত্ত্বিক মানচিত্র। পলেষ্টীয় শাসনতন্ত্র লাল রঙে চিহ্নিত।
অবস্থাশাসনতন্ত্র
রাজধানী
  • ঘসা
  • অস্‌দোদ
  • অস্কিলোন
  • ইক্রোণ
  • গাত
ইতিহাস 
• প্রতিষ্ঠা
আনু. খ্রীষ্টপূর্ব ১২শ শতাব্দী
• বিলুপ্ত
আনু. ৬০৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
উত্তরসূরী
নব্য অশূরীয় সাম্রাজ্য
নব্য বাবিলীয় সাম্রাজ্য
বর্তমানে যার অংশ
বাইবেলীয় বর্ণনা পাঁচটি পলেষ্টীয় নগরীকে চিহ্নিত করে: ঘসা, অস্‌দোদ, অস্কিলোন, ইক্রোণ ও গাত।

পলেষ্টীয়দের উৎপত্তি সম্পর্কে বেশ কিছু তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। হিব্রু বাইবেলে দুটি জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে যে তারা কপ্তোর (সম্ভবত ক্রিট বা মিনোয়া) থেকে উদ্ভূত।[৬] সপ্ততি পলেষ্টীয়দের অন্যান্য বাইবেলীয় জনগোষ্ঠী যেমন কপ্তোরীয় এবং করেথীয় ও পলেথীয়দের সাথে সংযুক্ত করে, যাদের ক্রিট দ্বীপের সাথে চিহ্নিত করা হয়েছে।[৭] এর ফলে পলেষ্টীয় বিষয়ক আধুনিক তত্ত্ব তাদের এগীয় উৎপত্তির দিকে পরিচালিত হয়েছে।[৮] ২০১৬ সালে অস্কিলোনের কাছে একটি বড় পলেষ্টীয় কবরস্থান আবিষ্কৃত হয়েছিল, যেখানে ডিম্বাকৃতির কবরে ১৫০টিরও বেশি মৃতকে সমাহিত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের একটি বংশাণুবৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তিনটি অস্কিলোনীয় জনসংখ্যা স্থানীয় সেমিটিক ভাষাভাষী লেভান্তীয় বংশাণু পুকুর থেকে তাদের বেশিরভাগ বংশগতি পেয়েছে, ইউরোপীয়-সম্পর্কিত সংমিশ্রণের কারণে লৌহ যুগের প্রাথমিক জনসংখ্যা বংশাণুগতিকভাবে আলাদা ছিল; এই বংশাণুগতিক ইঙ্গিত পরবর্তী লৌহ যুগীয় জনসংখ্যায় আর শনাক্ত করা যায় না। লেখকদের মতে, ব্রোঞ্জ যুগ থেকে লৌহ যুগে পরিবর্তনের সময় “ইউরোপীয়-সম্পর্কিত বংশাণুপুকুর থেকে বংশাণুর প্রবাহের” কারণে মিশ্রণটি ঘটেছিল, যা একটি অভিবাসনের ঘটনা ঘটেছে এমন তত্ত্বকে সমর্থন করে।[৯]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী