ন্যায্য বাণিজ্য

ন্যায্য বাণিজ্য (Fair Trade) হল উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য সম্পর্ক অর্জনে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা একটি ব্যবস্থা। ন্যায্য বাণিজ্য আন্দোলন উন্নত সামাজিক এবং পরিবেশগত মান বজায় রেখে রপ্তানিকারকদের ন্যায্য মূল্য প্রদানকে গুরুত্ব দেয়। আন্দোলনটি বিশেষভাবে এমন পণ্যগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলি থেকে উন্নত দেশে রপ্তানি (যেমন: বাংলাদেশ বা ব্রাজিল থেকে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি) করা হয় তবে সে পণ্যগুলো দেশীয় বাজারেও ব্যবহৃত হয়, বিশেষত হস্তশিল্প, কফি, কোকো, ওয়াইন, চিনি, ফল, ফুল এবং সোনা।[১][২]

ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে ন্যায্য বাণিজ্যিক কলা

ফেয়ার ট্রেড লেবেলিং সংস্থাগুলি সাধারণত চারটি আন্তর্জাতিক ফেয়ার ট্রেড নেটওয়ার্কের একটি অনানুষ্ঠানিক অ্যাসোসিয়েশন এফআইওএনই (ফাইন) দ্বারা তৈরি ন্যায্য বাণিজ্যের একটি সংজ্ঞা ব্যবহার করে। ন্যায্য বাণিজ্যের এই সংজ্ঞা অনুসারে, সংলাপ, স্বচ্ছতা এবং সম্মানের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সর্বক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা যায়। ভোক্তাদের দ্বারা সমর্থিত ন্যায্য বাণিজ্য সংস্থাগুলি, প্রচলিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম ও অনুশীলনের পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা বাড়ায় ও প্রচারণা চালায়।[৩]

ফেয়ারট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (পূর্বে এফএলও, ফেয়ারট্রেড লেবেলিং অর্গানাইজেশনস ইন্টারন্যাশনাল নামে পরিচিত), আইএমও, মেক ট্রেড ফেয়ার ও ইকো-সোশ্যাল সহ বেশ কয়েকটি স্বীকৃত ফেয়ার ট্রেড সার্টিফায়ার রয়েছে।

৬ জুন ২০০৮-এ, ওয়েলস বিশ্বের প্রথম ন্যায্য বাণিজ্যিক দেশ হয়ে ওঠে; ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কটল্যান্ডও এটি অনুসরণ করে।[৪][৫][৬] ন্যায্য বাণিজ্য আন্দোলন যুক্তরাজ্যে বেশ জনপ্রিয়। সেখানে ৫০০ টিরও বেশি ফেয়ার ট্রেড টাউন (ন্যায্য বাণিজ্যিক শহর) রয়েছে। [৭] ২০১১ সালে, ৬০ টিরও বেশি দেশে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি কৃষক এবং শ্রমিক ফেয়ারট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ন্যায্য বাণিজ্য ব্যবস্থায় অংশ নিয়েছিল, যার মধ্যে ৬৫ মিলিয়ন ইউরো ফেয়ারট্রেড প্রিমিয়াম অন্তর্ভুক্ত ছিল, এর পরিচালকদের তাদের সম্প্রদায়ের উন্নয়নে ব্যবহারের জন্য প্রদান করা হয়েছিল।[৮]

ন্যায্য বাণিজ্য ব্যবস্থা নিয়ে কিছু সমালোচনা রয়েছে। ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ন্যায্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর

সুবিধাগুপ্রায় লি শূন্যেোঠায়াছি ছিল কারণ সেখানে শংসাপত্রের অতিরিক্ত সরবরাহ ছিল, এবং ন্যায্য বাণিজ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ পণ্যের একটি অংশ প্রকৃতপক্ষে ন্যায্য বাণিজ্য বাজারে বিক্রি হয়েছিল, যা শংসাপত্রের খরচ পুনরুদ্ধার করার জন্য যথেষ্ট।[৯]

জার্নাল অফ ইকোনমিক পারসপেক্টিভস দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে,

যে ফেয়ার ট্রেড তার অনেকগুলি লক্ষ্য অর্জতে সক্ষম হয় করে, যদিও জাতীয় অর্থনীতির আকারের তুলনসেটি খুবই ক্ষীণকেলে।[১০]

কিছু গবেষণা ইঙ্গিত করে যে কিছু ন্যায্য বাণিজ্য মান বাস্তবায়ন কিছু বাজারে বৃহত্তর বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে। তাই ন্যায্য বাণিজ্যের এই কঠোর নিয়মগুলি নির্দিষ্ট বাজারের জন্য অনুপযুক্ত।[১১][১২][১৩] ন্যায্য বাণিজ্য বিতর্কে ন্যায্য বাণিজ্যের মান প্রয়োগে ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে, অভিযোগ আছে উৎপাদক, সমবায়, আমদানিকারক এবং প্রক্রিয়াজাতকারীরা ন্যায্য বাণিজ্যের আইনগুলো এড়িয়ে গিয়ে লাভবান হচ্ছে।[১৪][১৫][১৬][১৭][১৮] ন্যায্য বাণিজ্যের একটি প্রস্তাবিত বিকল্প হল সরাসরি বাণিজ্য, যা ন্যায্য বাণিজ্যের কিছু ত্রুটি এড়িয়ে সরবরাহকারীদের ও ভোক্তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী