নূরুল ইসলাম ওলীপুরী
নুরুল ইসলাম ওলীপুরী (জন্ম: ১৯৫৫) একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, মুুফাস্সির, ধর্মীয় লেখক ও আলোচক।তিনি বাংলাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মুখপাত্র। তিনি মূলত কুরআন ও হাদীসের নিগূঢ় ব্যাখ্যার জন্য পরিচিত এবং তাঁকে মুনাযেরে যামান বলে ডাকা হয়। [২][৩][৪][৫][৫][৬][৭][৮][৯][১০]
মুনাযেরে যামান, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী | |
---|---|
![]() | |
পরিচালক, মাদ্রাসা নূরে মদিনা | |
অফিসে ২০০০ – বর্তমান | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯৫৫ |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | তাফসির, ইসলামি ইতিহাস, লেখালেখি, সুন্নাহ |
যেখানের শিক্ষার্থী |
|
ঊর্ধ্বতন পদ | |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
যাদের প্রভাবিত করেন
|
জন্ম ও বংশ
ওলিপুরী ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের অন্তর্গত হবিগঞ্জ জেলার ওলীপুর গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মাওলানা আব্দুর রহীম।[১১][১২]
শিক্ষাজীবন
বড় বোন গুলেনূরের নিকট তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। তাঁর নিকট থেকেই আরবি ও বাংলা বর্ণের পরিচিতি লাভ করেন। এরপর দু’বছর বাড়ির পাশে শরীফাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।
অতঃপর কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে জামিয়া সাদিয়া রাইধরে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ভর্তি হন। এখানে তাঁর উস্তাদ ছিলেন মাওলানা মুখলিসুর রহমান। এই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে তিনি জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৫ সালে তিনি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পাশ করেন। এরপর ১৯৭৭ সালে ঢাকা জেলার মিরপুরের জামিয়া হুসাইনিয়া আরযাবাদ থেকে তিনি তাফসীরের উপর বিশেষ ডিগ্রী নেন।[১২]
কর্মজীবন
আল্লামা ওলীপুরী শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে, তিনি কয়েক বছর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অধীনে শাহপুর হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় হাদিস এবং তাফসীর সহ অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষাদান করেন। এরপর তিনি জামিয়া সাদিয়া রাইধর মাদ্রাসায় আট বছর শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তিনি এক দশকের বেশি সময় ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় অবস্থিত দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা মনতলার প্রধান পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। আল্লামা ওলীপুরী ২০০০ সালে শায়েস্তাগঞ্জে মাদ্রাসা নূরে মদিনা প্রতিষ্ঠা করেন, বর্তমানে মাদ্রাসার প্রধান পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ওলীপুরী দেশে[৮][১৩][১৪][১৫] এবং বিদেশে একজন জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন[১৬][১৭]; এবং জনসমক্ষে বক্তৃতা দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্য প্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ ভ্রমণ করেছে।
মুনাযারা
আল্লামা ওলিপুরী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মুখপাত্র হিসেবে কয়েকটি মুনাযারায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রতিটি মুনাযারায় কুরআন ও হাদীসের দলীল দিয়ে আহলে সুন্নাতের বিশুদ্ধ আকিদাসমূহ প্রমাণ করেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ[১৮][১৯]
- ১৯৮৪ সালে নরসিংদী গাগুটিয়া স্কুল মাঠের বাহাস
- ১৯৯৩ সালে কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরে বাহাস
- ১৯৯৭ সালে নেত্রকোনার বাহাস
- ১৯৯৮ সালে নরসিংদীর রায়পুরা বাহাস
কাজ
আল্লামা ওলীপুরীর বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তৃতাগুলো “মাওয়ায়েজে ওলীপুরী”[২০],“নির্বাচিত বয়ান সমগ্র”[২১] ইত্যাদি নামে বই আকারে প্রকাশ হয়েছে। তার মৌলিক রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ[২২]
- ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান [২৩]
- নারীর মর্যাদা ও অধিকার [২৪]
- নূরে মাদীনা [২৫]
- কাদিয়ানীজম এন্ড ইসলাম
- সহজ সরল পথ
- ওয়ায কী ও কেন
- নারী অধিকার ও আখেরাতের মুক্তি
- উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব
- বিশ্ব মুসলিম নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- অর্থনীতি ও স্বার্থনীতি
- মুখোশ উন্মোচন
এছাড়াও ওলীপুরী আরো কিছু প্রবন্ধ এবং পুস্তিকা রচনা করেছেন।[২৬][২৭]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ভিডিও ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ মার্চ ২০২১ তারিখে — ওলিপুরীর একটি ওয়াজ