নীলাভ নীল নদ

নীলাভ নীল নদ যা স্থানীয় ভাষায় আবায় নদ বা আব্বে নামেও পরিচিত (আমহারীয়: ዓባይ) ইথিওপিয়ার তানা হ্রদ থেকে সৃষ্ট একটি নদ।সম্পূর্ণ নীলনদ অববাহিকার এটি একটি প্রধান উপনদ যা সুদান -এর খার্তুমে শ্বেত নীল নদের সঙ্গে মিলিত হয়ে মূল নীল নদের সৃষ্টি করেছে। প্রধানত সুদান অঞ্চলে প্রবেশের পরই আব্বায় নদকে নীল নীল নদ নামে চিহ্নিত করা হয়।বর্ষাকালে নীল নদের প্রায় ৮০ শতাংশ জল নীল নীল নদ থেকে প্রবাহিত হয়।

নীলাভ নীল নদ
সুদানে প্রবাহিত নীল নীল নদের অংশবিশেষ
অবস্থান
দেশইথিওপিয়া এবং সুদান
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
উৎস 
 • অবস্থান
মোহনা 
 • অবস্থান
নীলাভ নীল নদ, শ্বেত নীল নদের সঙ্গে ইথিওপিয়ার খার্তুম নামক স্থানে মিলিত হয়ে নীলনদ-এর মূল জলধারার সৃষ্টি করেছে
দৈর্ঘ্য১,৪৫০ কিমি (৯০০ মা)
অববাহিকার আকার৩,২৫,০০০ কিমি (১,২৫,০০০ মা)
নিষ্কাশন 
 • গড়১,৫৪৮ মি/সে (৫৪,৭০০ ঘনফুট/সে)

গতিপথ

গ্রীষ্মের সময় আবায় নদে যখন বন্যা হয় তখন ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি থেকে প্রচুর পলি, কাদা ও উর্বর মৃত্তিকা সংগ্রহ করে এই নদের জল নিম্ন অববাহিকার দিকে প্রবাহিত হয় এবং এর ফলে নদের জল কালো ও বাদামি বর্ণ ধারণ করে।[১]

উৎসমুখ থেকে মোহনা পর্যন্ত এই নদের গতিপথের দৈর্ঘ্য মোটামুটি ১৪৬০ কি.মি.(৯১০ মাইল) থেকে ১৬০০ কি.মি.(৯৯০ মাইল) -এর মধ্যে ধরা হয়। নদটি ইথিওপিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে প্রায় ১৫০০ কি.মি.(৪৯০০ ফুট) গভীর এক দুর্ভেদ্য খাড়াই নদীখাতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গিরিখাত-এর সমতুল্য। এই কারণেই এই নদের দৈর্ঘ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।

ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা -র অনুসারে আবায় নদ(যা সুদান অঞ্চলে প্রবেশ করার পর নীল নীল নদ নাম পরিচিত হয়েছে) -এর গতিপথের দৈর্ঘ্য ১৪৫০ কি.মি.(৯০০ মাইল) যার মধ্যে ৮০০ কি.মি.(৫০০ মাইল) ইথিওপিয়ার মধ্যে অবস্থিত।[২] আবায় নদ ইথিওপিয়ার তানা হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ অভিমুখে গমন করেছে এবং ইথিওপিয়ার পশ্চিম অঞ্চল ও সুদানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।উৎস থেকে ৯০ কি.মি.(১৯ মাইল) প্রবাহিত হওয়ার পর আবায় নদ ৪০০ কি.মি (২৫০ মাইল) দীর্ঘ এক গিরিখাতের মধ্যে প্রবেশ করে। এই গিরিখাত ইথিপিয়ার উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক প্রকান্ড প্রাকৃতিক বাধার সৃষ্টি করেছে।এক ইংরেজ অভিযাত্রী দল যারা সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে তানা হ্রদ থেকে নদের জলধারার সমান্তরালে গমন করে এই সুগভীর গিরিখাতের শেষ প্রান্ত অবধি যাত্রা করতে সক্ষম হয়, তারা এই গিরিখাতকে "গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন" অভিহিত করেছিল।আধুনিককালে 'রিভার রাফটিং' -এর জন্য জনপ্রিয় এই স্থান নীল নদের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নামে সুবিখ্যাত। নীল নীল নদের গতিপথে অবস্থিত বিখ্যাত ব্লু নাইল ঝর্ণা যা স্থানীয় ভাষায় তিস আবায় ঝর্ণা নামেও পরিচিত যার উচ্চতা ৪৫ মিটার (১৪৮ ফুট), তানা হ্রদ থেকে ৪০ কি.মি.(২৫ মাইল) দূরত্বে নিম্ন অববাহিকার দিকে অবস্থিত।

নীল নীল নদ ও শ্বেত নীল নদের মোহনার উপগ্রহ চিত্র

তানা হ্রদে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলাধার মিলিত হয়েছে যার মধ্যে ইথিওপিয়ার 'গিস আব্বায়' নামক স্থানে সমুদ্রতল থেকে ২৭৪৪ মি.(৯০০৩ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত গিলগেল আবায় বা ক্ষুদ্রতর আবায় জলধারাকে আবায় নদ বা নীল নীল নদের উৎস হিসাবে ধরা হয়। গিলগেল আব্বায় স্রোতটি উত্তরমুখে প্রবাহিত হয়ে তানা হ্রদে মিলিত হয়েছে।

তানা হ্রদের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত থেকে নিঃসৃত জলধারা আবায় নদ নামে পরিচিত হয়ে ৩০ কি.মি প্রবাহিত হয়ে 'ব্লু নাইল' বা 'তিস আবায়' ঝর্ণায় পরিণত হয়েছে।এরপরে আবায় নদ উত্তর-পশ্চিম ইথিওপিয়া জুড়ে গভীর উপত্যকা ও গিরিখাতের মধ্যে প্রবাহিত হয়ে সুদানে প্রবেশ করেছে যেখানে 'নীল নীল নদ' নামে পরিচিত হয়েছে।

তানা হ্রদ থেকে সুদান সীমানার মধ্যবর্তি অঞ্চলে নীল নীল নদের বহুসংখ্যক উপনদী বর্তমান। নদের গতিপথের বামদিকে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য উপনদীগুলির নাম হল ওয়ানকা, বাশিলো, ওয়ালাকা, ওয়াঞ্চেট , জামমা, মুগের, গুডার, অজিয়াল, নেদি, দিদেসা এবং ডাবস। গতিপথের ডানদিকে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য উপনদীর মধ্যে রয়েছে, হান্দাসা, তুল, আবায়া, সাদে, তাম্মি, চা, শিতা, সুহা, মুগা, গুল্লা, টেমচা, বাছাত, কাতলান, জিবা, চমোগা, ওয়েটার এবং বেলস নদী।[৩]

সুদানের সীমান্তে অবস্থিত এর. রোসেরেস নামক শহরাঞ্চল দিয়ে আবায় নদ সুদান রাজ্যে প্রবেশ করে এবং নীল নীল নদ নাম পরিচিত হয়। সুদানের দিনদের নামক শহরাঞ্চলে দিনদের নদী নীল নীল নদে মিলিত হয়। এরপর সুদানেরই খার্তুম নামক স্থানে শ্বেত নীল নদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নীলনদ-এর সৃষ্টি করেছে যা মিশর-এর মধ্যে প্রবাহিত হয়ে আলেকজান্দ্রিয়ার কাছে ভূমধ্যসাগরে মিলিত হয়েছে।

জলপ্রবাহ

খার্তুমে নীল নীল নদ ও শ্বেত নীল নদের মোহনা

আবায় নদ বা নীল নীল নদের জল বর্ষার সময়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। নীলনদের বন্যার অন্যতম কারণ হলো নীল নীল নদ থেকে প্রবাহিত হয়ে আসা জল যা নীলনদের উপত্যকা ও আশেপাশের মরু অঞ্চলকে প্লাবনের মাধ্যমে উর্বর ও কৃষিযোগ্য করে তোলে। নীলনদের জলের ৮৫ শতাংশেরই যোগান আসে আবার নদ বা নীল নীল নদ থেকে।[৪] এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ জল যা নীলনদের মাধ্যমে মিশরে পৌঁছায় তার মূল উৎস হল ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি থেকে উৎপন্ন জলধারা যা যথাক্রমে ইথিওপিয়ায় আবায় নদ ও সুদানে নীল নীল নদে নাম পরিচিত। তাই মিশরের অধিবাসীদের জীবনযাত্রা ও জীবিকার জন্য নীল নীল নদের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। ১৯৭০ সালে নীলনদের উপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ করে মিশরের বন্যা প্রতিরোধ এবং নদীর জলের আরো উত্তমরূপে ব্যবহার সম্ভব হয়েছে।

এই নদ সুদানের পক্ষেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর উপর নির্মিত রোসেরেস বাঁধসেনার বাঁধ সমস্ত সুদানের প্রায় ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সুদানের বিখ্যাত জাজিরা কৃষি প্রকল্প যা উত্তম গুণমানের তুলো উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত, ফলনের জন্য এই দুই জলাধারের উপর নির্ভরশীল।

২০১২ সালের নভেম্বর -এ ইথিওপিয়া, সুদান ও মিশরের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য নীল নীল নদের উপর গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁস জলাধার এর নির্মাণ শুরু হয়. এর ফলে নদীর জলের ঘাটতির আশঙ্কাও করা হয়।[৫]

ইউরোপীয় অভিযান

১৫ শতকের শেষ দিকে পেরো দা কোভিলি এবং আরো কিছু ইউরোপীয় অভিযাত্রী যারা ইথিওপিয়ায় পরিভ্রমণ করেছিলেন তারা সম্ভবত আবায় নদের কথা জানতেন। ইথিওপিয়ার স্ব-ঘোষিত প্রধান জো বারমুডস ১৫৬৫ সালে তার স্মৃতিচারণায় প্রথম তিস আবায় জলপ্রপাতের উল্লেখ করে। ১৬১৮ সালের ২১ সে এপ্রিল স্প্যানিশ ধর্মযাজক এবং অভিযাত্রী পেদ্রো পেইজ প্রথম ইথিপিয়ায় আবায় নদীর উৎসস্থলের খোঁজ পান।[৬] পর্তুগিজ ধর্মপ্রচারক জেরিমিমো লোবো ১৬২৯ সালে এবং স্কটিশ অভিযাত্রী জেমস ব্রুস ১৭৭০ সালে বৃহত্তর নীল নদীর উৎস খুঁজে পান।

ইথিওপিয়ায় নীল নীল নদের গিরিখাত

তৎকালীন ইউরোপীয় অভিযাত্রীরা নীল নীল যদি ও শ্বেত নীল নদের মোহনা থেকে নদের অববাহিকার উর্দ্ধমুখে আবায় নদের উৎসমুখের দিকে যাত্রা শুরু করতেন, কিন্তু ইথিওপিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করা মাত্রই তারা নদের গভীর গিরিখাতের সম্মুখীন হত যা তাদের অগ্রসর হওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করতো।বেশিরভাগ অভিযাত্রী ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান যতক্ষণ না ১৮২১ সালে ফ্রেডেরিক কিলিয়াউডের সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার কিছু প্রচেষ্টা করেন।প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টাটি করেন মার্কিন অভিযাত্রী ম্যাকমিলান এবং নরওয়ের অভিযাত্রী জেনসন ১৯০২ সালে।জেনসন খার্তুমের মোহনা থেকে যদি অববাহিকার উর্দ্ধমুখে এবং ম্যাকমিলান তানা হ্রদ থেকে নিম্ন অববাহিকার দিকে জলপথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু জেনসনের নৌকা সুদান ইথিওপিয়া সীমান্তের কাছে এসে এক নদীপ্রপাতের সম্মুখীন হন এবং অগ্রসর হতে বাধাপ্রাপ্ত হন।ম্যাকমিলান এর নৌকা যাত্রা শুরুর কিছু পরেই জলের স্রোতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।১৯০৫ সালে ম্যাকমিল্লান পুনরায় তার সহকারী জেনসেনকে উৎসাহ দে খার্তুম থেকে যদি অববাহিকার উৎসের দিকে যাত্রা শুরু করার জন্য, কিন্তু তখন তিনি তানা হ্রদের ৫০০ কি.মি.(৩০০ মাইল) আগেই প্রাকৃতিক বাধার জন্য যাত্রা শেষ করতে বাধ্য হন।[৭] আর.ই চেইসমান ১৯২৫ এবং ১৯৩৩ এর মধ্যে অ্যাবে নদীর উর্ধ অববাহিকার মানচিত্র প্রস্তুত করতে সক্ষম হন। তিনি নদীর গভীর উপত্যকা এবং তার দুর্গম গিরিখাত অনুসরণ না করে ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি ধরে খচরের পিঠে প্রায় ৮০০০ কি.মি.(৫০০০ মাইল) ভ্রমণ করে এই দুরূহ কাজটি সম্পন্ন করেন।[৮]

নীল নীল নদের ভাঙা সেতুর উপর বিপজ্জনক পারাপার

১৯৫০ -১৯৬০ এর দশকে অ্যাবে নদীর গিরিখাত ধরে বেশ কয়েকটি নৌকা অভিযান হয়।১৯৬৮ সালে, ইথিওপিয়ার হেইল স্ল্যাসির অনুরোধে,অভিযাত্রী জন ব্ল্যাশফোর্ড-স্নেল-এর নেতৃত্বে,৬০ জন ব্রিটিশ ও ইথিওপীয় স্বেচ্ছাসেবক এবং বিজ্ঞানীদের একটি দল তানা লেক থেকে সুদান সীমান্তের নিকট পর্যন্ত আবায় নদীর প্রথম সফল যাত্রা সম্পূর্ণ করেন।[৯]১৯৯৯ সালে লেখক ভার্জিনিয়া মোরেল[১০] এবং ফটোগ্রাফার নেভাদা ওয়েয়ার তানা লেক থেকে সুদান অবধি জলপথে করেছিলেন, পরে তাদের যাত্রা সম্পর্কে তারা একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেন।[১১]

২০০৯ সালে গঠিত নতুন ঝুলন্ত সেতু

২০০০ সালে, আমেরিকান এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পাঠক কেনেথ ফ্রান্ট্জ নেভাডা ওয়েয়ারের ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের জন্য তোলা একটি ছবি দেখছিলেন যা পরবর্তীকালে তাকে ব্রিজেস টু প্রসপেরিটি নামক সংস্থার প্রতিষ্ঠা করতে প্রেরণা দেয়।এই ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভাঙা একটি সেতু দেখানো হয়েছিল, যার দুপাশে দাঁড়িয়ে ১০ জন পুরুষ দড়ির সাহায্যে একে অপরকে টেনে সেতুর বিপ্পজনক ভাঙা অংশ পার হচ্ছিল সেতুটি প্রায় ১৬৬০ সালে সম্রাট ফ্যাসিলাইড রোমান সেতুনির্মান প্রযুক্তি,(যা ১৫০৭ সালে মুসলিম হানাদারদের সাথে যুদ্ধের সময় পর্তুগিজ সৈন্যরা ইথিওপিয়ায় নিয়ে আসে[১২])-র মাধ্যমে নির্মাণ করেছিলেন।২০০১ এবং ২০০৯ সালে ব্রিজেস টু প্রসপেরিটির স্বেচ্ছাসেবীরা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আফ্রিকায় গমন করেন আবায় নদীর ভাঙা সেতুটি মেরামত করার জন্য এবং পরে একটি নতুন সাসপেনশন সেতুরও নির্মাণ হয় যদিও তা বন্যা পরিস্থিতির পক্ষে সংবেদনশীল নয়।[১৩]

২৮ শে এপ্রিল ২০০৪-এ ভূতত্ত্ববিদ পাসকোয়েল স্কাতুরো এবং তার অংশীদার, নৌচালনা বিশারদ এবং ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র নির্মাতা গর্ডন ব্রাউন, সম্পূর্ণ আবায় নদী জলপথে পরিভ্রমণকারী প্রথম ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত হন। যদিও তাদের এই অভিযানে আরও অনেকে যুক্ত ছিল,কিন্তু শেষ অবধি স্কাতুরো এবং ব্রাউন এই দুজনই যাত্রা সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হন। তারা আইএমএক্স ক্যামেরা এবং দুটি হস্তচালিত ভিডিও ক্যামের সাহায্যে তাদের সম্পূর্ণ যাত্রাটি ছোট ছোট অংশে বিভাজিত করে রেকর্ড করেন এবং পরবর্তীকালে তা একত্র করে মিস্ট্রি অফ দা নাইল নামক একটি আইএমএক্স ফিল্ম এবং একই শিরোনামের একটি বইতে তাদের যাত্রার কাহিনী প্রকাশ করেন। [১৪]

২৯ শে জানুয়ারি ২০০৫ সালে, কানাডিয়ান লেস জিকলিং এবং তার সতীর্থ নিউজিল্যান্ডের মার্ক ট্যানার প্রথমবার সুদান এবং মিশরের স্থলপথ ধরে সম্পূর্ণ আবায় নদ, নীল নীল নদ ও নীলনদের সম্পূর্ণ অববাহিকার দীর্ঘ যাত্রা সম্পন্ন করেছিলেন।তারা ৫ মাস ধরে ইথিওপিয়া, সুদান ও মিশরের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ৫০০০ কি.মি (৩১০০ মাইল) পরিভ্রমণ করেন এবং তাদের যাত্রাপথে তারা গৃহযুদ্ধ, লুঠনকারী ইত্যাদি প্রভূত বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন।[১৫]

তথ্যসূত্র

অতিরিক্ত তথ্য


🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী