নিরুপমা বরগোহাঞি
নিরুপমা বরগোহাঞি (ইংরেজি: Nirupama Borgohain; অসমীয়া: নিরূপমা বরগোহাঞি) একাধারে গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও ফ্রীলান্স সাংবাদিক রুপে প্রসিদ্ধ একজন অসমের মহিলা। তিনি ছাত্রবস্থার সময় থেকে সাহিত্য চর্চা আরম্ভ করেন। তার রামধেনুতে প্রকাশিত এনথ্রপোলোজির সপোন নামক গল্পটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সক্ষম হয়। ১৯৯৬ সনে প্রকাশিত অভিযান্ত্রী গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ও ২০০৩ সনে অসম উপত্যকা পুরস্কার লাভ করেন।
নিরুপমা বরগোহাঞি | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩২ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অসমীয়া বিষয়ে স্নাতকোত্তর |
শিক্ষা ও কর্মজীবন
১৯৩২ সনে গুয়াহাটির উজানবাজারের জোরপুখুরিপার নামক স্থানে নিরুপমা বরগোহাঞি জন্মগ্রহণ করেন।[১]৷ তার পিতার নাম যাদব তামুলি ও মাতার নাম কাশীশ্বরী তামুলি। পিতা যাদব তামুলি ছিলেন অসম সরকারের অধীনস্থ আয়কর বিভাগের কর্মচারী ও তার মাতা গৃহিনী ।[১]৷
গুয়াহাটির উজানবাজারে স্থিত উজানবজার বালিকা বিদ্যালয়ে নামভর্তী করে তিনি শিক্ষাজীবন আরম্ভ করেন।[২] পরবর্তী সময়ে তিনি পানবজার কন্যা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তারিণীচরন বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।[২] তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও গুয়াহাটি বিদ্যালয় থেকে অসমীয়া বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।[২]।
শিক্ষকরুপে তিনি প্রথম কর্মজীবন আরম্ভ করেন।১০৫৬-৫৭ সনে তিনি নেতাজী বিদ্যাপীঠে যোগদান করেন।[২] পরবর্তী সময়ে নলবারী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ গোস্বামীর নিমন্ত্রনক্রমে নলবারী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রুপে যোগদান করেন।[২] একবৎসর সেখানে চাকুরি করেন কিন্তু স্থানান্তর হয়ে মাজুলী যাওয়ার নির্দেশ পাওয়ায় তিনি চাকুরি ছেড়ে দেন ও তিন বৎসর সেই ভাবেই অতিবাহিত করেন।[২] তিনি কিছুদিন লখিমপুর মহাবিদ্যালয় ও যোরহাট মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছিলেন।
বৈবাহিক জীবন
১৯৫৮ সনে ১২ মার্চ তারিখে হোমেন বরগোহাঞির সহিত নিরুপমা বরগোহাঞির বিবাহ নলবাড়ীতে সম্পূর্ণ হয়। তাদের দুইটি পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ার পর ১৯৭৭ সনে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।[২]
সাহিত্যিক অবদান
১৯৬৮ সন থকে নীলাচল অসমীয়া খবরের কাগজের সহকারী সম্পাদিকা ও পরবর্তী সময়ে সাপ্তাহিক জনজীবন ও সাঁচিপাত খবরের কাগজের সম্পাদকের দ্বায়িত্ব বহন করেন।[৩]।
- পূয়ার পূরবী সন্ধ্যার বিভাস (হোমেন বরগোহাঞির সহিত যুগ্মভাবে লিখিত)[১]৷
- সেই নদী নিরবধি (১৯৬৭)[১]
- এজন বুঢ়া মানুহ (১৯৬৬)
- দিনর পাছত দিন (১৯৬৮)
- ইপারর ঘর সিপারর ঘর
- অভিযাত্রী
- হৃদয় এটা নির্জন দ্বীপ (১৯৭০)
- সামান্য অসামান্য (১৯৭১)
- পূয়ার পূরবী সন্ধ্যার বিভাস, কেকটাছর ফুল (১৯৭১)
- চিনাকী অচিনাকী, অন্য জীবন (১৯৮৭)
- গোসাঁই ঐ গোসাঁই ঐ (১৯৮৭)
- চম্পাবতী (১৯৯০)
- এখন শ্রাদ্ধত আনন্দাশ্রু (১৯৯১)
- পল্লবীর পৃথিবী আদি
- বিশ্বাস আরু সংশয়র মাজেদি (আত্মজীবনী)
পুরস্কার
- সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৬ সন, গ্রন্থ অভিযান্ত্রী))[৪]
- অসম উপত্যকা পুরস্কার (২০০৩ সন)
- প্রবীণা শইকীয়া পুরস্কার (২০০০ সন)[৫]
- শাস্বতী পুরস্কার (১৯৮৭)
- বাসন্তী দেবী বরদলৈ পুরস্কার
- হেম বরুয়া পুরস্কার (১৯৯৪ সন)