নামিবিয়ার ইতিহাস

ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

নামিবিয়ার ইতিহাস ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে উপনিবেশিক থেকে ২১ মার্চ ১৯৯০ সালে নামিবিয়ার স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত বিভিন্ন সুস্পষ্ট ধাপ অতিক্রম করে এসেছে।

১৮৮৪ সাল থেকে নামিবিয়া ছিল জার্মান উপনিবেশ: জার্মান দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এর পরে লিগ অফ নেশনের আজ্ঞা দ্বারা দক্ষিণ আফ্রিকা এই অঞ্চলটির শাসন পরিচালনা করতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-এর পরে ১৯৪৬ সালের এপ্রিলে লীগ অব নেশনস ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং এর উত্তরসূরী জাতিসংঘ কর্তৃক আফ্রিকার আগেকার সমস্ত জার্মান উপনিবেশকে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি আস্থাভাজন গঠনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা এই যুক্তিতে আপত্তি জানায় যে ঐ অঞ্চলের বেশিরভাগ লোক দক্ষিণ আফ্রিকার শাসন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল।

পরবর্তী বিশ বছর ধরে এই আইনী তর্কটি ১৯৬৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর পরই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই আজ্ঞাটির সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ঘোষণা করে যে দক্ষিণ আফ্রিকার এই অঞ্চল পরিচালনার আর কোনও অধিকার থাকবে না এবং এখন থেকে দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা জাতিসংঘেরই প্রত্যক্ষ দায়িত্বের অধীনে আসবে (রেজোলিউশন ২১৪৫ XXI অফ ২৭ অক্টোবর ১৯৬৬)।[১]

স্বাধীন নামিবিয়া

নামিবিয়ার প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি স্যাম নজুমা

স্বাধীনতার পর থেকে নামিবিয়া সফলভাবে সাদা সংখ্যালঘু বর্ণবাদী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক সমাজে রূপান্তর সম্পন্ন করেছিল। স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু হয় এবং তা বজায় রাখা হয়। বেশ কয়েকটি নিবন্ধিকৃত রাজনৈতিক দল জাতীয় পরিষদে সক্রিয় রয়েছেন এবং প্রতিনিধিত্ব করছেন। যদিও এসডব্লিউএপিও পার্টি স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছে।[২] ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি স্যাম নজুমার ১৫ বছরের শাসনের পর দায়িত্বভার তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে হাইফিকেপুনিয়ে পোহাম্বা এর প্রতি হস্তান্তর প্রক্রিয়াটিও মসৃণভাবে চালিত হয়েছে। [৩]

নামিবিয়ার সরকার জাতীয় পুনর্মিলনের নীতি প্রচার করে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় যাঁরা উভয় পক্ষে লড়াই করেছেন তাঁদের সবার জন্য সাধারণ ক্ষমা জারি করা হয়। অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধের ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী নামিবিয়ানদের উপর সীমিত প্রভাব পড়েছিল। ১৯৯৮ সালে নামিবিয়া প্রতিরক্ষা বাহিনী (এনডিএফ) সেনাদের একটি দলকে দক্ষিণ আফ্রিকান উন্নয়ন সম্প্রদায় (এসএডিসি) বাহিনীর অংশ হিসাবে কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এ প্রেরণ করা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের আগস্টে উত্তর-পূর্ব কাপ্রিভি অঞ্চলে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচেষ্টা সফলভাবে দমন করা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী