নাইজেল ব্রায়ার্স

ইংরেজ ক্রিকেটার

নাইজেল এডউইন ব্রায়ার্স (ইংরেজি: Nigel Briers; জন্ম: ১৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫) লিচেস্টারশায়ারের সাউথফিল্ডস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা। ১৯৭১ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটলিস্ট এ ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন নাইজেল ব্রায়ার্স

নাইজেল ব্রায়ার্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
নাইজেল এডউইন ব্রায়ার্স
জন্ম (1955-01-15) ১৫ জানুয়ারি ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
সাউথফিল্ডস, লিচেস্টার, লিচেস্টারশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-পেস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা৩৮১৩৩৮
রানের সংখ্যা১৮,৭২৬৮২১৬
ব্যাটিং গড়৩৩.০২২৭.৬৬
১০০/৫০৩১/৯৫৬/৪০
সর্বোচ্চ রান২০১*১১৯*
বল করেছে২০৪৭৮৯৬
উইকেট৩২১৯
বোলিং গড়৩০.৮৭৩৮.১৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট-
সেরা বোলিং৪/২৯৩/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১৫২/–৯৬/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ জুলাই ২০১৮

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ

মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে নাইজেল ব্রায়ার্সের। এরফলে তিনি লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে সর্বকনিষ্ঠ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকেই সম্মাননা লাভে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এ সময় ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৯০ সালে তুলনামূলকভাবে দূর্বলমানের লিচেস্টারশায়ার দলের অধিনায়ক হিসেবে ডেভিড গাওয়ারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। দায়িত্ব লাভের পর থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ন্যায় শৃঙ্খলাবোধ আনয়ণে সচেষ্ট হন ও দলের সমীহের পাত্রে পরিণত হন। ১৯৯২ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে লিচেস্টারশায়ার দল মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করে। তবে, গ্রীষ্মের অধিকাংশ সময়ই শিরোপা লাভের অন্যতম দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল।

এছাড়াও, তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো দলটি জিলেট কাপের চূড়ান্ত খেলায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল। ১৭ কাউন্টির সর্বশেষ দল হিসেবে ১৯৬৩ সালে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করলেও এটিই প্রথম ছিল। কাউন্টি ক্রিকেটে অসামান্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপে ১৯৯৩ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় অভিষিক্ত হন নাইজেল ব্রায়ার্স।[১]

অবসর

পরবর্তী তিন মৌসুমেও তার দল বেশ ভালো খেলা প্রদর্শন করে। কিন্তু, ১৯৯৫ মৌসুমের পর তাকে অধিনায়কত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ফলে আরও কয়েক মৌসুম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা চালিয়ে যাবার দিকে ঝুঁকে পড়েন। তবে, হাঁটুর আঘাতের কারণে চিকিৎসা করলেও দর্শকের সারিতে তাকে অবস্থান করতে হয়। জেমস হুইটেকার নতুন অধিনায়ক হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন ও ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভে সক্ষমতা দেখান। এরপর থেকে তাকে আর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি।

ব্যক্তিগত জীবন

লাটারওয়ার্থ গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে বোরা রোড কলেজে অধ্যয়ন করেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর মার্লবোরা কলেজে ক্রিকেট পরিচালক ও ক্রীড় পরিচালক - উভয় দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বার্নসের সেন্ট পলস স্কুলে ক্রীড়া পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী