নলিনীবালা দেবী

অসমীয়া ভাষার কবি

নলিনীবালা দেবী (ইংরেজি: Nalinibala Devi; অসমীয়া: নলিনীবালা দেৱী) অসমের এজকন কবি ও লেখিকা।[১] তিনি অসম সাহিত্য সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন। তিনি কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ না করেই অসাধরন পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন। অসমীয়া কাব্য সাহিত্যে অতিন্দ্রিয়বাদী কবি বা রহস্যবাদী কবি নামেও তিনি পরিচিত। তিনি পিতার সহিত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

নলিনীবালা দেবী
জন্ম২৩ মার্চ, ১৮৯৮
বরপেটা, অসম
মৃত্যু২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৭
পেশাকবি
ভাষাঅসমীয়া
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিসন্ধিয়ার সুর
অলকানন্দা
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার
পদ্মশ্রী পুরস্কার
দাম্পত্যসঙ্গীজীবেশ্বর চাংকাকতি

জন্ম ও শিক্ষা

১৮৯৮ সনের ২৩ মার্চ তারিখে অসমের বরপেটায় নলিনীবালা দেবীর জন্ম হয়। তার পিতার নাম নবীন চন্দ্র বরদলৈ ও মাতার নাম হেমন্ত কুমারী। সেই সময়ে অসমে মেয়েদের স্কুলের শিক্ষা প্রাপ্তের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হত না। তাই তিনি গোপাল দে নামক এক ব্যক্তির তত্বাবধানে গৃহে শিক্ষা গ্রহণ করেন। গৃহেই তিনি সংস্কৃত, সাহিত্য, গীত, ছবি ইত্যাদি নানান দিকে শিক্ষা লাভ করেন ।

বিবাহ

১৯০৯ সনে মাত্র ১১ বৎসর বয়সে শিবসাগরের জীবেশ্বর চাংকাকতী নামক ব্যক্তির সহিত তার বিবাহ হয়। কিন্তু তার ২১ বৎসর বয়সে স্বামীর অকাল মৃত্যু হয় ফলে তিনি নিজ পিতৃগৃহে ফিরে আসেন।[১]

সাহিত্যিক অবদান

স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর তিনি পাঁচটি সন্তান নিয়ে অশেষ কষ্টে দিনযাপন করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই তার দুই পুত্রের অকাল মৃত্যু হয়। স্বামী ও দুই পুত্রের অকাল মৃত্যুর বেদনায় জর্জরিত হয়ে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ রুপে ঈশ্বরকে অর্পণ করেন। সেই সময়ে তিনি বেদ, গীতা, উপনিষদভাগবত অধ্যয়নে মনোনিবেশ করেন। শৈশবে অঙ্কুরিত সুপ্ত প্রতিভা সেই সময়ে জাগ্রত হয়। বিবাহের পর শ্বশুর তাকে একটি স্বর্ন কলম উপহার দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কলমটির মান রাখেন। পিতার উপদেশ ও অনুপ্রেরণা তাকে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করেছিল। মাত্র দশ বৎসর বয়দে পিতা নামক কবিতার মাধ্যমে কবি জীবনে প্রবেশ করেন।[১]

গুৱাহাটীর পল্টনবজারর শ্বহীদ উদ্যানত পদ্মশ্রী নলিনী বালা দেৱীর আবক্ষ মূর্তি।

স্বীকৃতি ও সম্মান

  • অসম সরকার থেকে সাহিত্যিক পেঞ্চন (১৯৪৮ সন)
  • কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সাহিত্য বৃত্তি (১৯৫৫ সন)
  • সদৌ ভারত সংস্কৃত সঞ্জিবনী সভার অসম শাখার নলবারী অধিবেশনে কাব্যভারতী উপাধি লাভ (১৯৫৬ সন)
  • অসম সাহিত্য সভার যোরহাট অধিবেশনে সভাপতি (১৯৫৪ সন)[৩]
  • অলকানন্দ কাব্য গ্রন্থের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৭ সন)[৪]
  • পদ্মশ্রী পুরস্কার (১৯৭৭)[৫]

তাছাড়াও ১৯৮৬ সনে গুয়াহাটির কটন কলেজের মহিলা হোষ্টেলের নাম পদ্মশ্রী নলিনীবালা দেবী নামে নামকরণ করা হয়।[৬]

অন্যান্য

১৯৫৪ সনে তিনি অসম সাহিত্য সভার সভানেত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হন।[৭] অসম সাহিত্য সভায় এই পদ লাভ করা তিনি প্রথম মহিলা। তাছাও তিনি অসম সংঘ ও প্রাদেশিক মহিলা সমিতি নঁগাও অধিবেশনের সভানেত্রী ছিলেন। তিনি সদৌ অসম মইনা পারিজাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাপক।[১]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী