![]() ১৯৩৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে দিলাবর হোসেন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দিলাবর হোসেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (১৯০৭-০৩-১৯)১৯ মার্চ ১৯০৭ লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৬ আগস্ট ১৯৬৭(1967-08-26) (বয়স ৬০) (বর্তমানে - পাকিস্তান) লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জামালুদ্দিন (ভ্রাতা), নাদিম আহমেদ (পুত্র), ওয়াকার আহমেদ (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭) | ৫ জানুয়ারি ১৯৩৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ আগস্ট ১৯৩৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ |
দিলাবর হোসেন (ⓘ; উর্দু: دلاور حسین; জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৯০৭ - মৃত্যু: ২৬ আগস্ট, ১৯৬৭) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মধ্য ভারত, মুসলিম, উত্তর ভারত ও উত্তরপ্রদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন তিনি।
১৯২৪-২৫ মৌসুম থেকে ১৯৪০-৪১ মৌসুম পর্যন্ত দিলাবর হোসেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে চার সেঞ্চুরি সহযোগে দুই সহস্রাধিক রান ও প্রায় ১০০ ডিসমিসাল ঘটিয়েছেন। নিজস্ব প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের অভিষেক খেলায় ৬৪ ও ১১২ রান তুলেন।
১৯২৫ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত ভারতের মাটিতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজে অবস্থানের কারণে ভারতে খেলেননি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন দিলাবর হোসেন। ভারতের পক্ষে অংশগ্রহণকৃত তিনটি খেলাতেই উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪ তারিখে কলকাতায় সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। প্রতিপক্ষীয় ইংল্যান্ডের হপার লেভেট এবং ভারতের মুশতাক আলী, এম. জে. গোপালন ও সি.এস. নায়ডু’র সাথে একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার।[১] ১৫ আগস্ট, ১৯৩৬ তারিখে ওভালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল ভারত সফরে আসে। কলকাতায় অনুষ্ঠিত অভিষেক ঘটা ঐ টেস্টে দিলাওয়ার হোসেন ইডেন গার্ডেন্সের সবুজ উইকেটে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে দুইটি অর্ধ-শতক রানের ইনিংস খেলার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়াও, উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবেও বেশ ভালো করেন।
কলকাতায় সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। খেলার এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত ৭ রানে মরিস নিকোলসের বলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ও রিটায়ার্ড হার্ট হন। এরপর মাথায় ব্যান্ডেজ পরিহিত অবস্থায় পুনরায় মাঠে নামেন। ৫৯ রানে আউট হলেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন। আবারও তিনি নবি ক্লার্কের বলে বৃদ্ধাঙ্গুলীতে চোট পান। এ পর্যায়ে ভারত দল ফলো-অনের কবলে পড়ে ও ১৫৬ রান পিছিয়ে ছিল। আবারও ৭ নম্বরে মাঠে নামেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫৭ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। এরফলে স্বল্পসংখ্যক অভিষেক ঘটা টেস্ট ক্রিকেটারদের অন্যতম হিসেবে উভয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।
১৯৩৬ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরেই তিনি সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ঐ সময়ে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। ভারত দল ইংল্যান্ড গমন করলে সেখানে তিনি যুক্ত হন। মূল উইকেট-রক্ষকদের উপযুক্ত বোধ না করায় তাকে আবারও ভারত দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৪৪.২৮ গড়ে ৬২০ রান তুলেন। ওভালে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ৩ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ ও ৫৪ রান তুলেন।
কোটা রামস্বামী, দিলাবর হোসেন সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যে:[১]
রিচার্ড ক্যাশম্যান লিখেছেন যে, ‘ক্রিকেট স্কোর শীট লেখায় অসম্ভব জ্ঞান ছিল তার।[২] এছাড়াও, বেশ পেটুক ও বক্তা ছিলেন তিনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দর্শন থেকে শুরু করে যে-কোন বিষয়ে বক্তব্য রাখতে পারতেন।’
জীবনের শেষদিকে ‘প্রফেসর’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট ও এমএ শ্রেণীতে দ্বৈত ডিগ্রী লাভ করেন। লন্ডনের গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ও লাহোরের মুসলিম অ্যাংলো-অরিয়েন্টাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন।
২৬ আগস্ট, ১৯৬৭ তারিখে ৬০ বছর বয়সে পাকিস্তানের লাহোর এলাকায় দিলাবর হোসেনের দেহাবসান ঘটে।