ত্রিপুরা সেনগুপ্ত
ত্রিপুরা সেনগুপ্ত (ইংরেজি: Tripura Sengupta) (১২ মে, ১৯১৩ - ২২ এপ্রিল, ১৯৩০) ছিলেন ভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
ত্রিপুরা সেনগুপ্ত | |
---|---|
![]() ত্রিপুরা সেনগুপ্ত | |
জন্ম | ১২ মে, ১৯১৩ |
মৃত্যু | ২২ এপ্রিল, ১৯৩০ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ![]() |
পরিচিতির কারণ | চট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি |
রাজনৈতিক দল | অনুশীলন সমিতি |
আন্দোলন | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
ত্রিপুরা সেনগুপ্তের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতার নাম নিবারণচন্দ্র সেনগুপ্ত।[১]
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড
১৯২৯ এর মে মাসে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করতে আসেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু।[২] এই সম্মেলনে মাস্টারদা সূর্য সেন, অনন্ত সিংহ, গনেশ ঘোষের সাথে কিশোর ত্রিপুরা সেনগুপ্ত কংগ্রেসের অহিংস নীতি সমর্থন না করার কথা এবং তারা সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রস্তুতির কথা জানান সুভাষ বসুকে। নেতাজী এতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছিলেন।
বিপ্লবী দলের সদস্য হিসেবে ১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তার আগে প্রস্তুতি পর্বে টেলিগ্রাফ, টেলিফোন অফিসের সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয় তার ওপর। সেই দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করেন বিপ্লবী ত্রিপুরা দাশগুপ্ত। অস্ত্রাগার লুন্ঠনের ৪ দিন পর সংগঠিত জালালাবাদ পাহাড়ের সম্মুখ যুদ্ধে মাত্র সতের বছর বয়স হলেও বিজয়ী বাহিনীর একজন সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জালালাবাদ পাহাড়ে ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীর সংগে যুদ্ধে শহীদ হন।[১][৩] একই সাথে শহীদ হন নরেশ রায়, বিধুভূষণ ভট্টাচার্য, হরিগোপাল বল, মতিলাল কানুনগো, প্রভাসচন্দ্র বল, শশাঙ্কশেখর দত্ত, নির্মল লালা, মধুসূদন দত্ত, পুলিনচন্দ্র ঘোষ, এবং অর্ধেন্দু দস্তিদার।[৪]