তারিকখানেহ মসজিদ
তারিকখানেহ মসজিদ (ফার্সি: مسجد تاریخانه; এছাড়াও তারিকখানেহ মন্দির (ফার্সি: پرستشگاه تاریخانه) নামেও পরিচিত) হচ্ছে দামগান শহরের দক্ষিণ সীমানায় অবস্থিত একটি সাসানীয় সাম্রাজ্য রাজত্বকালের মসজিদ। ইরানের সেমানান প্রদেশের দামগানের অবস্থিত একটি মসজিদ। উঠানের চারপাশে স্থাপনার জন্য মসজিদটি বিখ্যাত। পূর্বে এটি মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হতো।[১]
তারিকখানেহ মসজিদ | |
---|---|
مسجد تاریخانه | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | ধর্মীয় মাজার |
স্থাপত্য রীতি | সাসানীয় |
অবস্থান | দামগান , সেমানান প্রদেশ, ইরান |
স্থানাঙ্ক | ৩৬°৯′৫১″ উত্তর ৫৪°২১′১৫″ পূর্ব / ৩৬.১৬৪১৭° উত্তর ৫৪.৩৫৪১৭° পূর্ব |
ইতিহাস
এই স্থানটিতে পূর্ব-ইসলামী জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মের লোকজন প্রার্থনা করতো। এটিকে আগুনের মন্দির বা মন্দির হিসেবে ব্যবহার করতো। এটি প্রায় ২,৩০০ বছরের পুরানো স্থাপনা। এই স্থাপনাটি প্রথমে সাসানীয় সাম্রাজ্য সময়কালে জোরোস্ট্রিয়ান অগ্নি মন্দির হিসেবে ব্যবহার করা হত। তবে সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পরে এটি ৮শ শতাব্দীতে মসজিদে রূপান্তরিত হয়। এই স্থাপনাটি ইরানের প্রাচীনতম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।[১]
ব্যুৎপত্তি
তারিকখানেহ ফার্সি অর্থ ঐতিহাসিক। অন্যান্য নামগুলো তারিক খানহে (অন্ধকার ঘর) বা তুর্কি উৎস (যার তুর্কি কোনও অর্থ নেই) নামগুলির কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
স্থাপত্য এবং নকশা
এই স্থানটিতে পূর্ব-ইসলামী জোরাস্ট্রিয়ানরা প্রার্থনা করতো। এটিকে আগুনের মন্দির বা মন্দির হিসেবে ব্যবহার করতো। এটি প্রায় ২,৩০০ বছরের পুরানো স্থাপনা।
ইরান ও কোমস অঞ্চলে ইসলামের আগমনের আগে এ শহরের লোকেরা এই জায়গাটিকে জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের স্থান হিসেবে ব্যবহার করতো।
মূল নকশায় একটি বর্গক্ষেত্রকার উঠান রয়েছে। সাসানীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য অনুসারে উঠানটি অর্ধ-গোলাকার আকৃতির পোড়া মাটির তৈরি তোরণগুলি সারিবদ্ধভাবে বেষ্টিত। স্তম্ভগুলি ৩.৫ মিটার লম্বা এবং প্রায় ২ মিটার ব্যাসবিশিষ্ট।[২][৩]
মসজিদ থেকে কিছু দূরে একসাথে বর্গাকার কলামের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। কবে থেকে এসব রয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি,সম্ভবত মূল নির্মাণের সময়ে নির্মিত। সেলযুক সাম্রাজ্যের সময়কালের একটি নলাকার মিনার রয়েছে। আধুনিক মিনারটি নবম শতাব্দীর পুরানো মিনারটি প্রতিস্থাপনের জন্য ১০২৬–২৯ সালে নির্মিত হয়। এবং অলঙ্করণ ছয়টি ভাগে লক্ষণীয়ভাবে বিভক্ত, প্রতিটি ভাগ পৃথক পৃথক জ্যামিতিক আকৃতির ইট দ্বারা গঠিত। মিনারটি ব্যাস ৪.২ মিটার। মিনারের শীর্ষটি হ্রাস পেয়েছে, তবে মূলত এটি ৩০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট। সাথে খাঁজকাটা খিলানকে ধরে রাখা অংশ নিয়ে একটি গ্যালারি রয়েছে।[৪][৫][৬]
চিত্রশালা
- মসজিদের বারান্দার ছবি
- মিনারের কারুকার্য
- মসজিদের উঠানের ছবি
- মসজিদের উঠান
- মসজিদের উঠানের কারুকাজ
- মিনারের কারুকার্য
- মসজিদের উঠানের কারুকাজ