ড্রুক এয়ার

ড্রুক এয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড ড্রুকএয়ার-রয়েল ভুটান এয়ার লাইনস হিসাবে পরিচালিত, যা মূলত ভুটান রাজতন্ত্রের জাতীয় বিমান সংস্থা, যার সদর দফতর অবস্থিত পারো শহরের পশ্চিম জংঘহাগে।[৩] ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর দশ বছর সেচ্ছায় মূল কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর এই বিমানসংস্থাটি ইহার সাত বছর পর বিদেশি পরিদর্শককে স্বাগত জানায়। ১৯৮৩ সালে যাত্রি চাহিদার কারণে বিমান সংস্থাটি ডোর্নিয়ার ডো ২২৮ এয়ারক্রাফ্ট পারো থেকে কলকাতার পথে বিমান চালু করে। বিমান বিএই-১৪৬-১০০ ­সুযন্ত্রপাতি সমূহ সমৃদ্ধ ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে চালু হয় যা ২০০৪ সালে দুটি এয়ারবাস এ৩১৯এস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ড্রুক এয়ার দক্ষিণ এশিয়ার একটি সুলভ সময় সূচি যুক্ত বিমান সংস্থা যা ৫ টি দেশের ৮ টি গন্তব্যে গমন করে। [৪]

ড্রুক এয়ার — রয়াল ভুটান এয়ারলাইন্স
འབྲུག་མཁའ་འགྲུལ་ལས་འཛིན།
আইএটিএআইসিএওকলসাইন
KBDRK[১]রাজকীয় ভুটান[১]
প্রতিষ্ঠাকাল৫ এপ্রিল ১৯৮১
কার্যক্রম শুরু১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩
পরিচালন ঘাঁটিপারো বিমানবন্দর
বিমানবহরের আকার
গন্তব্য
প্রধান কোম্পানিড্রুক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেসমেন্ট
প্রধান কার্যালয়পারো, ভুটান
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতান্দিত জানসো (প্রধান কার্যনির্বাহী অধিকারি)[২]
ওয়েবসাইটড্রুক এয়ার

ইতিহাস

১৯৬৮ সালে ইন্ডিয়ান বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন নামে পারো উপত্যকায় একটি বিমান বন্দর নির্মিত হয় যা ভুটান রাজতন্ত্রের জন্য প্রাথমিক ভাবে ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর তলবি হেলিকপ্টার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পারো এয়ারপোর্টের গভীর উপত্যকায় ২২৩৫ মিটার (সমুদ্র থেকে উচু) উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং এটা ছিল ৪৯০০ মিটার উচ্চ পর্বত মালা দ্বারা পরিবেষ্টিত। ঐ সময় এটার রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছিল ১,২০০ মি. পর্যন্ত। বিমান সংস্থাটির প্রধান প্রয়োজনীয়তা ছিল যেন এটা আবশ্যই কলিকাতা থেকে পারো–পারো থেকে কলিকাতায় এক যাত্রায় গমন করতে পারে যেহেতু এই রাস্তার ভেতরে আর কোন অবকাঠামোগত কোন সুযোগ সুবিধা ছিল না। ছিল না নতুন করে তেল নেয়ার ব্যবস্থা। ১৯৭৮ এবং ১৯৮০ এর ভেতর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন পথে বিমান পরিক্ষামূলকভাবে ভারত এবং ভুটানের ভেতর ফ্লাইট চালানো হয়েছিল, কোন পথই খুব একটি বেশি উপযোগী ছিল না। [৫]

ব্যবসায়িক ধারা

বিমান সংস্থাটি তফসিলভুক্ত লাভজনক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে ১৯৮২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি, ফ্লাইট ১০১ পারো থেকে ছেড়ে যায় কলকাতার উদ্দেশ্যে এবং পরদিন ফ্লাইট ১০২ ফেরৎ আসে কলকাতা থেকে। পথম চার সপ্তাহ ফ্লাইটটি সপ্তাহে তিন দিন করে পরিচালিত হতো, এরপর ফ্লাইটটি প্রতিদিনকার ফ্লাইটে পরিনত হয়। সেবা কার্যক্রম শুরু করার পর পারো বিমানবন্দরে দুই কক্ষের একটি কামড়া সংযোজন করা হয় যেখান থেকে বিমান গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। সিভিল এভিয়েশন কার্যালয় পতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালের জানুয়ারি মাসে, যার আগ পর্যন্ত এই বিমান সংস্থাটিকেই বিমান বন্দরের অবকাঠামো পরিচালনা এবং রক্ষনাবেক্ষনের দায়দায়িত্ব বহন করতে হতো। ১৯৮৬ সালের ৩০ শে অক্টোবর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিমান ফ্লাইট চালানো শুরু করা হয়।[৩][৪] পরবর্তিতে বিমান সংস্থাটি তার বহরে জেট বিমান এবং এয়ারবাস যুগ অতিক্রম করে। বর্তমানে ড্রুকএয়ার ভারতের কলকাতা, মুম্বাই, বারোদা, দিল্লি, গোয়া, গৌহাটি বাংলাদেশের ঢাকায়, সিংগাপুরে, ভুটানের যাকার, থ্রাসিগাং নেপালের কাঠমন্ডুতে এবং থাইলেন্ডের ব্যাংককে বিমান পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে বিমান সংস্থাটির রয়েছে ৪ টি এয়ারবাস এ৩১৯-১০০, ১ টি এটিআর ৪২-৫০০ অর্থাৎ মোট ৫ টি বিমান তাদের বহরে আছে এবং ৫ টি এয়ারবাস এ৩২০-২০০ ক্রয়াদেশ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে বিমান সংস্থাটির হাতে থাকা ৫ টি আন্তর্জাতিক মানে বিমান রয়েছে। এর ভেতর এয়ারবাস এ৩১৯-১০০ এ মোট ১১৮ জন যাত্রি যাতায়াত করতে পারেন। এটিআর ৪২-৫০০ বিমানটি[৬] মূলত পুরাতন বিমান হিসাবে ড্রুকএয়ার ক্রয় করে ২০১১ সালে। ক্রয়াদেশ দেয় এয়ারবাস এ৩২০-২০০ বিমান গুলি ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ সরবরাহ করা হবে।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী