ডোয়েইন ডগলাস জনসন (ইংরেজি: Dwayne Douglas Johnson; জন্মঃ মে ২, ১৯৭২), যিনি দ্য রক নামে অধিক পরিচিত, একজন মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা, প্রযোজক এবং পেশাদার কুস্তিগির। জনসন কুস্তি ও অভিনয়ের মাধ্যমে পুরো বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বর্তমানে তিনি কুস্তি থেকে দূরে অভিনেয় কাজ করছেন বিশ্বের সেরা অভিনেতাদের একজন এছাড়াও ধনী অভিনেতা হিসাবে পরিচিত সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেয়া অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম । তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ।
জনসন ইউইভার্সিটি অফ মায়ামিতে 'আমেরিকান ফুটবল' খেলোয়াড় ছিলেন,এছাড়াও ১৯৯১ সালে মায়ামি হারিকেন্স ফুটবল টিমের হয়ে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন।পরে তিনি 'কানাডিয়ান ফুটবল লীগে" খেলেন 'ক্যালগ্যারি স্ট্যাম্পেডারস এর হয়ে, এবং ১৯৯৫ সালে ২ মাসের জন্য বাদ পড়েন ।এর পর থেকেই তিন তার নানা পিটার মায়াভিয়া ও বাবা রকি জনসন(যার মাধ্যকে জনসন কান্ডিয়ান নাগরিকত্ব অর্জন করেন) এর মত 'পেশাদার কুস্তিগির' হওয়ার প্রতি মনোযোগ দেন).[৭] শুরুতে 'রকি মায়াভিয়া' রিং নেম দিয়ে পেশাদার কুস্তি পেশা শুরু করলেও তিনি পরবর্তীতে ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ এর 'দ্য রক' নামে ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশন (ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফ,বর্তমানে ডব্লিউডব্লিউই) এ অসাধারন জনপ্রিয়তা অর্জন করেন । তিনিই ছিলেন সেখানে একমাত্র ও প্রথম তৃতীয় প্রজন্মের কুস্তিগির। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি খন্ডকালীন সময়ের জন্য ডব্লিউডব্লিউই তে ফিরে আসেন। দীর্ঘ ৬ বছর পর যখন দ্য রক শো চলাকালে পুনঃরায় ডাব্লিউ ডাব্লিউ ই তে ফিরে আসেন, তখন দর্শকদের উত্তেজনা ও উন্মাদনার চিৎকারে পুরো স্টেডিয়াম কম্পিত হয়েছিল।
জনসনকে সর্বকালের অন্যতম একজন সেরা পেশাদার কুস্তিগির হিসেবে ধরা হয়। তিনি "দ্য মোস্ট ইলেকট্রিফায়িং ম্যান অব স্পোর্টস এন্টারটেইনমেন্ট ইন হিস্ট্রি" বলে খ্যাত। .[৮][৯]জনসনের আত্মজীবনী দ্য রক সেইস.... (সহলেখকঃ জো লেয়ডেন) ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়.বইটি প্রকাশের শুরুতেই নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলার লিস্টে #১ অবস্থানে ছিলো এবং বেশ কয়েক সপ্তাহ টা প্রথম স্থান ধরে রাখে .[১০]চলচ্চিত্রে জনসন প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন 'দ্য স্করপিয়ন কিং' চলচ্চিত্রে। এর জন্য তিনি ৬ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক নেন যা প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করা যেকোন অভিনেতার জন্য রেকর্ড।.[১১]।এরপরে তিনি আরো বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় ক্রেন যার মধ্যে রয়েছে 'গেট স্মার্ট', রেস টু উইচ মাউন্টেইন', টুথ ফেয়ারি', ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ৫', ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ৬', ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ৭',হারকিউলিস', ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস ৮', মোয়ানা', San Andreas', Jumanji 2', Rampage ', Baywatch', Journey 2', Skyscraper', Journey 3', Fighting with My Family', Jungle Cruise', Shazam!', ইত্যাদি উল্লেখ চলচ্চিত্র ।
ব্যক্তিগত জীবন
ড্যানি গারসিয়া ও ডোয়েইন জনসন, ২০০৯ সালের ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিভালে।
জনসন ১৯৯৭ সালের ৩ মে ড্যানি গারসিয়া কে বিয়ে করেন.[১২] আগস্ট ১৪ ২০০১ সালে তাদের মেয়ে সিমোন আলেক্সান্দ্রা জন্মগ্রহণ করে.[১২] জুন ২০০৭ এ তারা ঘোষণা দেন যে তারা বিবাহ বিচ্ছেদ করছেন এবং বাকি জীবন বন্ধু হিসেবে থাকবেন.[১২]
২০০৬ সালে জনসন 'ডোয়েইন জনসন রক ফাউন্ডেশন' নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন যা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কর্মরত ও ঞ্চিকিতসা নেই এমন রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করে[১৪] অক্টোবর ২০০৭ এ তিনি ও তার সাবেক স্ত্রী ইউনিভার্সিটি অফ ম্যামি কে তাদের ফুটবল টিমের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ১ মিলিয়ন ইউ.এস ডলার দান করেম।এটি কোন ইউনিভার্সিটির এথলেটিক্স ডিপার্ট্মেন্টে কোন সাবেক ছাত্রের করা সর্বোচ্চ দান হিসেবে গন্য হয়।জনসনের সম্মানে ইউনিভার্সিটি অফ মায়ামি 'হারিকেন্স' লকার রুম পুনরায় নামকরণ করে[১৫]