ডেভিড কার্ড

কানাডীয় অর্থনীতিবিদ

ডেভিড এডওয়ার্ড কার্ড (জন্ম ১৯৫৬) একজন কানাডীয়-মার্কিন শ্রম অর্থনীতিবিদ এবং বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। "শ্রম অর্থনীতিতে তার অভিজ্ঞতামূলক অবদানের জন্য" তিনি ২০২১ সালে অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কারের অর্ধেক পুরস্কৃত পান, জশুয়া অ্যাংরিস্ট এবং খিডো ইম্বেন্‌স যৌথভাবে বাকি অর্ধেক পুরস্কার পেয়েছেন।[২][৩]

ডেভিড কার্ড
জন্ম১৯৫৬ (বয়স ৬৭–৬৮)
প্রতিষ্ঠানক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি
কাজের ক্ষেত্রশ্রম অর্থনীতি
শিক্ষায়তনকিংস্টনের কুইন্স ইউনভার্সিটি (বিএ)
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় (এমএ, পিএইচডি)
ডক্টরেট
উপদেষ্টা
অর্লি অ্যাশেনফেল্টার[১]
ডক্টরেট
শিক্ষার্থীরা
থমাস লেমিয়াক্স
ফিলিপ লেভিন
ক্রিস্টোফ এম শ্মিৎ
মাইকেল গ্রিনস্টোন
জেসি রথস্টেইন
ফিলিপ ওরেপুলোস
ডেভিড লি
আলেকজান্দ্রে মাস
জ্যানেট কারি
লিসা ব্যারো
এনরিকো মোরেটি
মিগুয়েল উরকিওলা
নিকোল মায়েস্টাস
ফার্নান্দো ভি ফেরেরা
হিদার রয়ার
পুরস্কারজন বেটস ক্লার্ক পদক (১৯৯৫)
ফ্রিশ মেডেল (২০০৮)
বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ারস অফ নলেজ পুরস্কার' (২০১৪)
অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার (২০২১)
Information at IDEAS / RePEc

প্রাথমিক ও কর্মজীবন

ডেভিড কার্ড ১৯৫৬ সালে অন্টারিওর গুয়েলফে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার বাবা-মা দুগ্ধখামারী ছিলেন।[৫] কার্ড ১৯৭৮ সালে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ আর্টস এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন, অর্লি অ্যাশেনফেল্টারের তত্ত্বাবধানে "দীর্ঘমেয়াদী শ্রম চুক্তিতে সূচক" শিরোনামে একটি ডক্টরাল প্রবন্ধ সম্পন্ন করার পর।[৬]

ডেভিড কার্ড শিকাগো ইউনিভার্সিটি অফ গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেসে তার কর্মজীবন শুরু করেন, যেখানে তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ব্যবসায় অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বার্কলি যাওয়ার আগে তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদে ছিলেন।[৭] ১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি জার্নাল অফ লেবার ইকোনমিক্স-এর সহযোগী সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইকোনমেট্রিকা-এর সহ-সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি দি আমেরিকান ইকোনমিক রিভিউ-এর সহ-সম্পাদক ছিলেন।[৭]

শিক্ষায়তনিক কাজ

১৯৯০-এর দশকের শুরুতে, কার্ড তার গবেষণার জন্য অনেক প্রসিদ্ধি পান, তৎকালীন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহকর্মী অ্যালান বি ক্রুইগারের সাথে। অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত বিশ্বাসের বিপরীতে তারা দেখিয়েছিলেন যে নিউ জার্সিতে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ফলে সে রাজ্যে ফাস্ট ফুড সংস্থাগুলির চাকরি হ্রাস পায়নি।[৩][৮][৯] যদিও গবেষণার পদ্ধতি (দেখুন পার্থক্যসমূহের পার্থক্য) এবং এর দাবিটি নিয়ে অনেকে বিতর্ক হয়েছে (বিশদ জানতে ন্যূনতম মজুরি দেখুন), জোসেফ স্টিগ্লিটজ এবং পল ক্রুগম্যান সহ অনেক অর্থনীতিবিদ ডেভিড কার্ড এবং ক্রুইগারের ফলাফল গ্রহণ করেছেন।[১০]

ডেভিড কার্ড অভিবাসন[১১], শিক্ষা[১২], চাকরির প্রশিক্ষণ এবং বৈষম্য নিয়ে গবেষণায়ও মৌলিক অবদান রেখেছেন। কার্ডের বেশিরভাগ কাজই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মধ্যে তুলনার উপর কেন্দ্র করে সম্পাদিত। অভিবাসন সম্পর্কে, কার্ডের গবেষণায় দেখা গেছে যে নতুন অভিবাসীদের অর্থনৈতিক প্রভাব ন্যূনতম। কার্ড অভিবাসী গোষ্ঠীগুলির দ্রুত আত্মীকরণের উপর বেশ কয়েকটি কেস স্টাডি করেছে, তিনি দেখেছেন যে মজুরির উপর তাদের খুব কম বা কোনও প্রভাব নেই। উদাহরণস্বরূপ, কার্ড ম্যারিয়েল বোটলিফটের অর্থনৈতিক প্রভাবগুলি অধ্যয়ন করেছেন, এবং মিয়ামির অর্থনৈতিক প্রভাবকে আটলান্টা, হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ট্যাম্পার অর্থনৈতিক প্রভাবের সাথে তুলনা করেছেন।[৫]

কার্ড দেখেছেন যে মিয়ামিতে কম দক্ষ শ্রমের ব্যাপক বৃদ্ধি সত্ত্বেও, নিম্ন দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়নি। উপরন্তু, তিনি দেখতে পান যে মিয়ামিতে সামগ্রিকভাবে শ্রম বাজারের জন্য এবং মজুরি অভিবাসীদের আকস্মিক আগমনের কারণে সামগ্রিক বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত ছিল।[৫][১৩] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্ড বলেন, "আমি সততার সাথে মনে করি যে [অভিবাসনের বিরুদ্ধে] অর্থনৈতিক যুক্তি দ্বিতীয় বিষয়। এগুলো প্রায় অপ্রাসঙ্গিক।[৫]" তবে এর অর্থ এই নয় যে কার্ড বিশ্বাস করে যে অভিবাসন বাড়ানো উচিত, কেবল মাত্র অভিবাসীরা শ্রম বাজারের জন্য হুমকি নয়।[৫]

কার্ড কখনও কখনও শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রভাব যুক্ত বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করেন, তা সত্ত্বেও তিনি প্রকাশ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে অবস্থান নেন না বা নীতিগত পরামর্শ দেন না। এরপরেও তার গবেষণাগুলো নিয়মিতভাবে বর্ধিত অভিবাসন এবং ন্যূনতম মজুরি আইনের সমর্থনে উদ্ধৃত করা হয়।[১৩][১৪]

পুরস্কার ও সম্মাননা

তিনি ১৯৯৫ সালে জন বেটস ক্লার্ক পদক পেয়েছিলেন, যা "চল্লিশ বছরের কম বয়সী সেই সকল মার্কিন অর্থনীতিবিদকে পুরস্কৃত করা হয় যারা ন্যূনতম মজুরির পাশাপাশি মারিয়েল বোটলিফটের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কিত কাজের জন্য অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনা এবং জ্ঞানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে বিবেচনা করা হয়"।[৫] তিনি সান ফ্রান্সিসকোতে আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের ২০০৯ সালের রিচার্ড টি এলি লেকচার দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে অর্থনীতির অধ্যাপকদের একটি জরিপে ডেভিড কার্ডকে ৬০ বছরের কম বয়সী পঞ্চম জনপ্রিয় জীবিত অর্থনীতিবিদ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছিল।[১৫] এন গ্রেগরি ম্যাননকিউয়ের সাথে তিনি ২০১৪ সালে আমেরিকান ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১৬]

অভিজ্ঞতামূলক ক্ষুদ্রঅর্থনীতিতে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি রিচার্ড ব্লান্ডেলের সাথে অর্থনীতিতে ফিন্যান্স ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ারস অফ নলেজ পুরস্কার পান।[১৭]

ডেভিড কার্ড ২০২১ সালে মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[১৮] তিনি ২০২১ সালে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।[৩]

প্রকাশনা

বই

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী