ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ |
অ্যালান ডেভিড অগিলভি (ইংরেজি: David Ogilvie; জন্ম: ৩ জুন, ১৯৫১) কুইন্সল্যান্ডের সাউথপোর্টে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট চলাকালে ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে তার। দলে মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ডেভিড অগিলভি।
ব্রিসবেন গ্রামার স্কুলে অগিলভি অধ্যয়ন করেছেন। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ক্রীড়াবিদ হিসেবে তিনি যথেষ্ট সুনাম কুড়ান। রাগবি, ক্রিকেট, টেনিস, অ্যাথলেটিক্স ও নৌকাচালনায় বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করতেন।[১]কুইন্সল্যান্ড স্টেট কোল্ট দলের পক্ষাবলম্বন করে খেলতেন। এরপর ১৯৭১-৭২ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে দলের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।[২] কিন্তু পরবর্তী দুই মৌসুম পর্যন্ত তাকে দলের দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবেই রাখা হতো। এক পর্যায়ে দলের বাইরে থাকতে হয় ও অতিথি খেলোয়াড়ের মর্যাদা হারান। তবে, ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে স্তরভিত্তিক ক্রিকেটে তার যথেষ্ট উত্তরণ ঘটে। ফলশ্রুতিতে কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার।
১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে খুবই সুন্দরভাবে শুরু করেন তিনি। ভিক্টোরিয়া,[৩] পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া[৪] ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে উপর্যুপরী সেঞ্চুরি হাঁকান।[৫] ফলশ্রুতিতে, বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশ নেয়া দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের বিপরীতে দূর্বলতম দলের তৃতীয় অবস্থানে রেখে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন।[৬]
২ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ডেভিড অগিলভির। ব্রিসবেনের অভিষেক হওয়া টেস্টে প্রথম ইনিংসে বেশ আগেভাগেই বিদায় নেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক বব সিম্পসনের সাথে ৯৭ রানের জুটি গড়েন। তিনি যখন মাঠে নামেন তখন দলের সংগ্রহ ছিল ৭/৩। এ রানগুলো অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখে।[৭] দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন। প্রথম ইনিংসে নিম্নমূখী রানের খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ রান তুলেন। ৩৩/২ থেকে দলকে ১৭২/৩-এ নিয়ে যান ও তার দল দুই উইকেটের ব্যবধানে জয় পায়।[৮][৯] তার এ সাফল্যে উজ্জ্বীবিত হয়ে দল নির্বাচকমণ্ডলী পরবর্তী দুই টেস্টে খেলার সুযোগ দেন। তবে, তৃতীয় টেস্টে দুইবারই ব্যর্থ হন।[১০] ফলে, চতুর্থ টেস্টে দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। পঞ্চম টেস্টে ইনিংসে আট উইকেট পতনের বিষেন বেদীর ষষ্ঠ শিকারে পরিণত হন তিনি।
শেফিল্ড শিল্ডে ডেভিড অগিলভি তার ক্রীড়াশৈলীর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। মৌসুম শেষে ৫০.৬২ গড়ে ১,২১৫ রান তুলেন।[১১] কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটের নিয়ম-কানুনের প্রেক্ষিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। তবে, কিম হিউজের অসুস্থতা ও পিটার টুহির আঘাতের কারণে তাকে বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে এ সফরে পরবর্তীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১২]
গায়ানার বিপক্ষে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন।[১৩] সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও দুইবারই আশানুরূপ খেলেননি।[১৪] এরফলে চতুর্থ টেস্টে তাকে নেয়া হয়নি। তবে, জ্যামাইকার বিপক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করে বসেন।[১৫][১৬] ফলশ্রুতিতে সিরিজের চূড়ান্ত ও সর্বশেষ টেস্টে তাকে আবারও দলে রাখা হয়। কিন্তু আবারও তিনি একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি ঘটান। প্রথম ইনিংসে স্বল্প রান তোলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রান তুলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু, দর্শকদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে বেশ আগেই খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।[১৭]
১৯৭৮-৭৯ মৌসুম থেকে তার খেলার মান পড়তির দিকে যেতে থাকে। ফলশ্রুতিতে আর তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। তবে, ১৯৭৯ সালে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন ডেভিড অগিলভি।[১৮] এরপর খেলার জগতকে বিদায় জানান তিনি। বর্তমানে তিনি শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত। এছাড়াও, ব্রিসবেন বয়েজ কলেজে কাউন্সিলর হিসেবে রয়েছেন।
কুইন্সল্যান্ড দল – জিলেট কাপ ১৯৭৫-৭৬ | ||
---|---|---|
অস্ট্রেলীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মৌসুমে শীর্ষস্থানীয় রানসংগ্রহকারী (১৯৫০-৫১ থেকে ১৯৯৯-০০) | |
---|---|
| |
|