টেরি ইগলটন
টেরি ইগলটন (জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩) একজন ব্রিটিশ সাহিত্য তাত্ত্বিক, সমালোচক এবং বুদ্ধিজীবী। তিনি বর্তমানে ল্যাঙ্কস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যে বিশিষ্ট অধ্যাপক।
টেরি ইগলটন | |
---|---|
![]() টেরি ইগ্লটন, ম্যাঞ্চেস্টারের মেকানিক্স ইনস্টিটিউট একটি আলাপের পরে, ২০০৮ সালে | |
জন্ম | টেরেন্স ফ্রাঞ্চিস ইগলটন ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩[১] |
মাতৃশিক্ষায়তন | ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | লিটারারি থিওরি: এন ইন্ট্রোডাকশন (১৯৮৩) দি ইডিওলজি অফ এস্থেটিক (১৯৯০) দি ইলিউশন অফ পোস্টমডার্নিজম (১৯৯৬) |
যুগ | সমসাময়িক দর্শনশাস্ত্র |
অঞ্চল | পাশ্চাত্য দর্শন |
ধারা | মহিমান্বিত দর্শন |
উল্লেখযোগ্য অবদান | ভালো ইউটোপিয়ানিসম/বাজে ইউটোপিয়ানিসম[২] |
ইগলটন ৪০টিরও বেশি বই প্রকাশ করেছেন, তবে সাহিত্য তত্ত্ব: একটি ভূমিকা (১৯৮৩) এর জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যা ৭৫০,০০০ কপি বিক্রি হয়েছিল।[৫]
প্রথম জীবন
টেরি ইগলটনের জন্ম হয় ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। তার জন্ম হয় ইংল্যান্ডের স্যালফর্ডে, একটি শ্রমিক শ্রেণীর আইরিশ ক্যাথলিক পরিবারে। তার বাবা ফ্রান্সিস পল ইগলটন, মা রোজালিন।
পড়াশোনা ও পেশা
তিনি স্যালফর্ডের একটি রোমান ক্যাথলিক গ্রামার স্কুলে - দে লা সালে কলেজে শিক্ষিত হয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি ট্রিনিটি কলেজে ইংরেজি বিষয় নিয়ে ভর্তি হন। এখান থেকে তিনি জিসাস কলেজ, কেমব্রিজে যান, ১৯৬৪ সালে স্নাতকত্ব লাভ করে। কেমব্রিজে তিনি জুনিয়র গবেষণা ফেলো এবং ডক্টরাল স্টুডেন্ট হিসেবে ছিলেন। তিনি অষ্টদশ শতকের পরে, কলেজের কনিষ্ঠতম ফেলো হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়তে পড়াতে যান। অক্সফোর্ডে তিনি একটি মূলগত গ্রুপ গড়ে তোলেন।[৬] বর্তমানে তিনি ল্যানকেসটার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন।
সাহিত্যতাত্ত্বিক, সমালোচক ও বুদ্ধিজীবী ইগলটন চল্লিশের অধিক বই লিখেছেন। পোস্টমডার্নিজমের অন্যতম পর্যালোচক হিসেবে বিশ্বব্যাপী তার খ্যাতি রয়েছে।[৬] তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও জনপ্রিয় বই লিটারারি থিওরি: এন ইন্ট্রোডাকশন (১৯৮৩) যা প্রায় সাড়ে সাতলাখ কপি বিক্রি হয়েছে। তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে দি ইডিওলজি অফ এস্থেটিক (১৯৯০), দি ইলিউশন অফ পোস্টমডার্নিজম (১৯৯৬)।
তার মার্কসবাদ ও সাহিত্য সমালোচনা (১৯৭৬) (মার্ক্সিজম এন্ড লিটারারি ক্রিটিসিজম) বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে পরিচিত।[৬]