টিম কার্টিস
টিমোথি স্টিফেন কার্টিস (ইংরেজি: Tim Curtis; জন্ম: ১৫ জানুয়ারি, ১৯৬০) কেন্টের চিসলহার্স্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, শিক্ষক ও ক্রীড়া পরিচালক।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৮৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন টিম কার্টিস।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | টিমোথি স্টিফেন কার্টিস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চিসলহার্স্ট, কেন্ট, ইংল্যান্ড | ১৫ জানুয়ারি ১৯৬০||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ২১ জুলাই ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ আগস্ট ১৯৮৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯–১৯৯৭ | ওরচেস্টারশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৪ নভেম্বর ২০১৮ |
শৈশবকাল
১৯৬০-এর দশকে ওরচেস্টারশায়ারের ম্যালভার্নে টিম কার্টিসের পরিবার স্থানান্তরিত হয়। সেখানকার গ্রোভ কাউন্টি প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন। এরপর রয়্যাল গ্রামার স্কুল ওরচেস্টারে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি রাগবি ও ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের হেড বয় ছিলেন তিনি।
১৯৭৯ সালে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন হ্যাটফিল্ড কলেজে পড়াশোনা করেন ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ঐ বছরই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৮৩ সালে কেমব্রিজের মাগদালেন কলেজে অধ্যয়ন করেন ও ক্রিকেটে ব্লু লাভ করেন। ওরচেস্টারে ফিরে রয়্যাল গ্রামার স্কুলে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করান। সেখানে তিনি ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে ক্রিকেট খেলতে থাকেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তন্মধ্যে, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে কাউন্টি দলটির নেতৃত্বভার গ্রহণ করেছেন। গ্রেইম হিক বাদে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে ১০,০০০-এর অধিক রান সংগ্রহ করেছেন।[২]
১৯৯২ সালে ওরচেস্টারশায়ারের অধিনায়কের দায়িত্ব লাভ করেন। ঐ মৌসুমে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির শিরোপা বিজয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৪ সালে টম মুডি’র সাথে লিস্ট এ ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্নভাবে ৩০৯ রানের ইনিংস খেলেন ও নতুন রেকর্ড গড়েন।[৩][৪]
টেস্ট ক্রিকেট
১৯৮০-এর দশকের শেষার্ধ্বে ইংল্যান্ডের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেবার সুযোগ পেলেও তা ব্যর্থতায় ভরপুর ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বমোট পাঁচটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তবে, তার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন বেশ ব্যর্থময় ছিল। টেস্টের ইনিংসেই অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি।
১৪ আগস্ট, ১৯৮৯ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে টিম কার্টিসের। ১৯৮৯ সালে অস্ট্রেলীয় বোলিং তারকা টেরি অল্ডারম্যান তাকে নিয়মিতভাবে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন।
মূল্যায়ন
ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন বেটম্যানের মতে, টিম কার্টিস কঠোর পরিশ্রমী ও দৃঢ়প্রত্যয়ীভাব নিয়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বোলিং তোপে মাঠ ত্যাগী অন্যান্য খেলোয়াড়দের তুলনায় তিনি অধিক সফল ছিলেন।
দূর্ভাগ্যবশতঃ টিম কার্টিস এক সময় অত্যন্ত নিম্নমানের ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলেছিলেন। পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের ধরন ও কৌশলের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। টিভি ধারাভাষ্যকারেরা তার দাঁড়ানোর ভঙ্গীমা ও ব্যাট তুলে ধরার কথা তুলে ধরেন। অন্যদিকে উদ্বোধনী জুটিতে তার সাথে থাকা গ্রাহাম গুচ ঠিকই নিজেকে ক্রিজে মানিয়ে নিয়েছিলেন স্বমহিমায়। তবে,ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কার্টিস তার ধৈর্য্যশক্তি ও সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেশ ব্যর্থ হন। ২৯ বছর বয়সে ১৯৯০ সালে পুণঃগঠিত ইংল্যান্ড দলে গ্রাহাম গুচের নেতৃত্বে তাকে আর দলে রাখা হয়নি।
অবসর
১৯৯৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান। এরপর থেকে ক্রিকেট বিষয়ে লেখা ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। কিছুকাল পেশাদার ক্রিকেটারদের সংস্থায় সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে শিক্ষতা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ নেন টিম কার্টিস।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে টিম কার্টিস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে টিম কার্টিস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ফিল নীল | ওরচেস্টারশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৯২–১৯৯৫ | উত্তরসূরী টম মুডি |