টিনু যোহানন

ভারতীয় ক্রিকেটার

টিনু যোহানন (; মারাঠি: टिनु योहानन; জন্ম: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯) কেরালার কোল্লাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

টিনু যোহানন
২০০৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে টিনু যোহানন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
টিনু যোহানন
জন্ম (1979-02-18) ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ (বয়স ৪৫)
কোল্লাম, কেরালা, ভারত[১]
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৪২)
৩ ডিসেম্বর ২০০১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৯ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৫)
২৯ মে ২০০২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই১১ জুলাই ২০০২ বনাম শ্রীলঙ্কা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৯  – ২০০৮কেরালা
২০০৯রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা১৩
ব্যাটিং গড়
১০০/৫০০/০০/০
সর্বোচ্চ রান**
বল করেছে৪৮৬১২০
উইকেট
বোলিং গড়৫১.২০২৪.৩৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং২/৫৬৩/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১/–০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ নভেম্বর ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কেরালা ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

শৈশবকাল

প্রায় তিন দশক ধরে দীর্ঘ লম্ফে জাতীয় রেকর্ডধারী ও ১৯৭৬ সালে কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী টি. সি. যোহানন তার পিতা। এছাড়াও, এশিয়ান গেমসে রেকর্ডধারী ছিলেন। পিতার বর্ণাঢ্যময় পদাঙ্ক অনুসরণে অ্যাথলেটিক্সের দিকে ধাবিত হয়েছিলেন। দীর্ঘকায় গড়নের ও মৃদুভাষী অধিকারী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ লম্ফের দিকে ঝুঁকে পড়েন। রাজ্যের কিশোর পর্যায়ে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক লাভ করেন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ১৯৯৭ সালে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে যান।

চার বছর ডেনিস লিলি ও টিএ শেখরের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরফলে, ভারতের টেস্ট দলে অন্তর্ভূক্তির সুযোগ হয় তার। তবে, দলের প্রথম একাদশের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পাননি। ইংল্যান্ড গমনের পূর্বে জাভাগাল শ্রীনাথের অবসর গ্রহণের ঘোষণায় তার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। ২০০০ সালে বেঙ্গালুরুভিত্তিক ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির প্রথম স্তরের খেলোয়াড় হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়।[২] এরপর, এমআরএফ ফাউন্ডেশনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টিনু যোহাননের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কেরালার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। গোয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীরর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কেরালার প্রথম রঞ্জী ট্রফির খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে খেলার গৌরব অর্জন করেন।

২০০৯ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে খেলেছেন তিনি।[৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন টিনু যোহানন। ৩ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে মোহালিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[৪] ১৯ ডিসেম্বর, ২০০২ তারিখে হ্যামিল্টনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ডিসেম্বর, ২০০১ সালে তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। নিজ দেশে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলেন তিনি। মোহালিতে ইংল্যান্ডের উভয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে তিনি বিদেয় করেন। নিজস্ব প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তিনি তার প্রথম উইকেটের সন্ধান পান। ২৯ মে, ২০০২ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তার ওডিআই অভিষেক ঘটে। সবমিলিয়ে টেস্ট ও ওডিআইয়ে পাঁচটি করে উইকেট পেয়েছেন।

শুরুটা বেশ দূর্দান্ত হলেও দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর কারণে তিনি নিজেকে ভারতীয় দলের সাথে মানিয়ে নিতে পারেননি। সবমিলিয়ে তিন টেস্ট ও সমানসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। টেস্টে তার বোলিং গড় ছিল উইকেটপ্রতি ৫১ রান।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানসামাজিক সমস্যালামিনে ইয়ামালকোপা আমেরিকা২০২৪ কোপা আমেরিকাউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপউয়েফা ইউরো ২০২৪আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)মুকেশ আম্বানিঅপারেশন সার্চলাইটছয় দফা আন্দোলনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বাংলাদেশআশুরাযুক্তফ্রন্টবাংলা ভাষা আন্দোলনব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলশেখ মুজিবুর রহমানস্পেন জাতীয় ফুটবল দলকাজী নজরুল ইসলামআনহেল দি মারিয়ালিওনেল মেসিলাহোর প্রস্তাববাংলাদেশের সংবিধানবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাফিফা বিশ্বকাপফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকারাজাকারকারবালার যুদ্ধমিয়া খলিফাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহকিম কার্দাশিয়ানভূমি পরিমাপ