জ্যাক বন্ড

ইংরেজ ক্রিকেটার

জন ডেভিড জ্যাক বন্ড (ইংরেজি: Jack Bond; জন্ম: ৬ মে, ১৯৩২ - মৃত্যু: ১১ জুলাই, ২০১৯) ল্যাঙ্কাশায়ারের কিয়ার্সলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা ও আম্পায়ার ছিলেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলেছেন।[১] এছাড়াও, ১৯৭৪ সালে এক মৌসুমের জন্যে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[২]

জ্যাক বন্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জন ডেভিড বন্ড
জন্ম(১৯৩২-০৫-০৬)৬ মে ১৯৩২
কিয়ার্সলি, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু১১ জুলাই ২০১৯(2019-07-11) (বয়স ৮৭)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, আম্পায়ার
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৫৫-১৯৭২ল্যাঙ্কাশায়ার
১৯৭৪নটিংহ্যামশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা৩৬২৯৯
রানের সংখ্যা১২,১২৫৬৯৮
ব্যাটিং গড়২৫.৯০১২.৯২
১০০/৫০১৪/৫৪০/০
সর্বোচ্চ রান১৫৭৪৩
বল করেছে৬৭
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট-
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং২২২/–৩১/–

দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন জ্যাক বন্ড

খেলোয়াড়ী জীবন

ওয়াকডেন এলাকায় তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়। সেখানকার বোল্টন ক্রিকেট লীগে তিনি ওয়াকডেনের পক্ষে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ও ১৯৫৫ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারে যোগ দেন। শক্ত ব্যাটিং মেরুদণ্ডের অধিকারী দলে তাকে মাত্র কয়েক মৌসুম খেলতে হয়েছে। তাস্বত্ত্বেও ১৯৬২ সালে ৩৬-এর অধিক গড়ে ২,১২৫ রান তুলেন। কিন্তু, ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে দ্বিতীয় একাদশের অধিনায়ক মনোনীত হলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অনিয়মিত হয়ে পড়েন।

একদিনের খেলায় কাউন্টি খেলোয়াড়দের গড়পড়তা মানের তুলনায় খেলা জয়ী ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে দারুণভাবে সক্ষমতা দেখান। একদিনের খেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্পিন বোলারদের ব্যবহারে অন্যতম পথিকৃতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তার নেতৃত্বে ল্যাঙ্কাশায়ার ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালের সানডে ক্রিকেট লীগের প্রথম দুই মৌসুমে শিরোপা জয় করে। তৎকালীন জিলেট কাপ প্রিমিয়ার ওয়ান-ডে ট্রফি ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তিনবার শিরোপা তুলে নেয়। এ অর্জনটি অন্য কেউ পায়নি। বন্ডের অধিনায়কত্বে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে অধিকতর শক্তিশালী হয়ে উঠলেও প্রথম-শ্রেণীর খেলায় একই সফলতা লাভ করতে পারেনি।

অবসর

১৯৭১ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে তার সুন্দর অধিনায়কত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।[৩] আসিফ ইকবালের দূর্দান্ত ক্যাচ তালুবন্দী করে ব্যাপক সাড়া জাগান যা ঐ বছরের জিলেট কাপের চূড়ান্ত খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ১৯৭২ মৌসুমের পর ল্যাঙ্কাশায়ার থেকে অবসর নেন। এরপর খেলোয়াড়-ম্যানেজারের ভূমিকায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যুক্ত থাকলেও ১৯৭৪ সালের এক মৌসুম নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন।

১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আইল অব ম্যানে স্থানান্তরিত হন। কিং উইলিয়ামস কলেজে প্রধান কোচ ও ক্রিকেট পেশাদার হিসেবে নিযুক্ত হন। এছাড়াও চমৎকার টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। কেডব্লিউসি দলের নেতৃত্ব দিয়ে ম্যানক্স লীগে শীর্ষস্থানে নিয়ে যান ও আইল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করেন। ১৯৮০-এর দশকে ল্যাঙ্কাশায়ারের ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকাকালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অবস্থান করেন তিনি।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
গারফিল্ড সোবার্স
নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৭৪
উত্তরসূরী
মাইক স্মেডলি
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী