জোয়ান মিরো
টেমপ্লেট:কাতালান নাম
জোয়ান মিরো | |
---|---|
![]() জুন, ১৯৩৫ সালে কার্ল ভ্যাব ভেখটেন অঙ্কিত জোয়ান মিরো | |
জন্ম | জোয়ান মিরো ই ফেরা ২০ এপ্রিল ১৮৯৩ |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৩ পালমা, ম্যাজোর্কা, স্পেন | (বয়স ৯০)
জাতীয়তা | স্প্যানিশ |
শিক্ষা | এসকুয়েলা দ্য বেলাস আর্তেস দ্য লাঁ লোৎজা, এবং এসকুয়েলা দ্য আর্তে দ্য ফ্রান্সেসকো গালি, সারকুলো আর্তিস্তিকো দ্য সান্ট লুক, ১৯০৭-১৯১৩ |
পরিচিতির কারণ | চিত্রকলা, ভাস্কর্য, মুরাল ও সিরামিক |
আন্দোলন | অধিবাস্তববাদ, দাদা, ব্যক্তিগত, পরীক্ষামূলক |
দাম্পত্য সঙ্গী | পিলার জুনকোসা ইগলেসিয়াস (১৯২৯-১৯৮৩) |
পুরস্কার | ১৯৫৪ ভেনিস বাইয়েনাল গ্রাফিক কাজের জন্য গ্রান্ড প্রাইজ ১৯৫৮ গগেনহাম আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড ১৯৮০ ফাইন আর্টস স্বর্ণপদক, স্পেন |
জোয়ান মিরো ই ফেরা (কাতালান: [ʒuˈam miˈɾo]; ২০ এপ্রিল ১৮৯৩ – ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৩) একজন কাতালান স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী, ভাস্কর্যশিল্পী এবং সিরামিকান ছিলেন। তিনি বার্সেলোনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার কাজের উদ্দেশ্যে একটি জাদুঘর উৎসর্গ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তার নজের স্থান বার্সেলোনায় প্রতিষ্ঠিত এ জাদুঘরের নাম ফান্ডাসিও জোয়ান মিরো এবং অপর একটি জাদুঘরের নাম ফান্ডাসিও পিলার ই জোয়ান মিরো, যা ১৯৮১ সালে তার দত্তক শহর পালমা দ্য ম্যাজোর্কাতে প্রতিষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে তার কাজগুলো অধিবাস্তবাদী রুপ লাভ করতে থাকে। যেমনঃ আধা-সচেতন মনের জন্য একটি স্যান্ডবক্স, শিশুর মত এক পুনঃআবির্ভাব এবং কাতালান গৌরবের উদ্ভাস। ১৯৩০ সাল থেকে শুরু করে তার নানাবিধ সাক্ষাৎকারে মিরো পুঁজিবাদী সমাজকে সমর্থন করার এক প্রচলিত চিত্রকলা পদ্ধতিকে বিকশিত করে তোলেন এবং প্রতিষ্ঠিত চিত্রকলার দৃশ্যমান বস্তুকে উপরে উঠিয়ে তিনি তার বিখ্যাত "চিত্রকলার হত্যা" ঘোষণা করেন।[১]
জীবনী
স্বর্ণকারিগর এবং এক ঘড়িনির্মাতার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করে, তিনি বার্সেলোনার প্রতিবেশী ব্যারি গোটিক-এর বড় হন।[২] তার পিতা মিকুয়েল মিরো অ্যাডজেরিয়াস এবং মাতা ডলোরস ফেরা।[৩] তিনি সাত বছর বয়সে ক্যারিয়াস দেল রেজোমির ১৩, একটি মধ্যযুগীয় প্রাসাদে আঁকা শুরু করেন। ১৯০৭ সালে তিনি প্রথমবারের মত লাঁ লোৎজা নামক এক ফাইন আর্টসে ভর্তি হন, তার বাবার আতঙ্ক থাকা সত্ত্বেও। তিনি সিরকল আর্টিসটিক স্য সান্ট লুক-এ পড়াশোনা করেন[৪] এবং ১৯১৮ সালে ডালমু গ্যালারীতে তিনি তার একক প্রদর্শনী করেন, যেখানে তিনি তার কাজ উপহাসিত হয় এবং মুছে ফেলা হয়।[৫] বিদেশের কিউবিস্ট ও অধিবাস্তববাদীদের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে মিরো মন্টপারনাসেতে জমায়েত হওয়া শিল্পসম্প্রদায়ে ঢুকে পড়েন এবং ১৯২০ সালে প্যারিস যান। তবে তিনি গ্রীষ্মগুলো কাতালোনিয়াতেই কাটাতেন।[২]
সম্মান ও প্রভাব
বিংশ শতকের চিত্রকলার ওপর মিরো বিরাট প্রভাব রেখেছেন, বিশেষত আমেরিকান বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদী শিল্পী যেমন মাদারওয়েল, মাত্তা এবং রোথকোর ওপর। তিনি মূলত তার গীতধর্মী বিমূর্ততার প্রভাবই রেখেছিলেন।[৬] এছাড়াও রঙ ক্ষেত্রর শিল্পকলা ছিল ফ্রাঙ্কেনথালের, ওলিটস্কি লুইস এবং অন্যান্যদের অগ্রদূত।[৭]তার কাজ পল র্যান্ড[৮] এবং লুসিয়ান ডেসহ আধুনিক ডিজাইনারদের ওপরও প্রভাব রাখে।[৯] এছাড়াও প্রভাব রাখে জুলিয়ান হ্যাটনদের মত শিল্পীদের ওপর।[১০]
পরবর্তী জীবন ও মৃত্যু
১৯৭৯ সালে মিরো বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক অনরিস কসা পুরস্কার লাভ করেন। হার্টের রোগ দীর্ঘদিন ভুগে ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৮৩ সালে তিনি পালমা, ম্যাজোর্কায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্বীকৃতি
১৯৫৪ সালে তাকে ভেনিস বাইএনাল প্রিন্ট নির্মাণ পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি লাভ করেন গগেনহাম আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড,[১১] এবং ১৯৮০ সালে তিনি রাজা স্পেনের জুয়ান কার্লোস-এর কাছ থেকে ফাইন আর্টসে স্বর্ণপদক পান।[১২]
১৯৮১ সালে পালমার শহরের কাউন্সিল (ম্যাজোর্কা) ফান্ডাসিও পিলান ই জোয়ান মিরো আ ম্যালোর্কা নামক চার স্টুডিওধারণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা করেন যার জন্য মিরো অর্থপ্রদান করে।[১৩]
শিল্পবাজার
আজকের বাজারে মিরোর শিল্প $২৫০, ০০০ থেকে $২৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারে বিক্রি হয়। আমেরিকার লা ক্যারেসা দেস এতোলিস (১৯৩৮) শিল্পকলাটি ৬ই মে ২০০৮ সালে সব্বোচ্চ $১৭ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারে বিক্রি হয়।[১৪] ২০১২ সালে, পেইন্টিং-পোয়েম ("লে কর্পস দ্য মা ব্রুনে পুইসকোয়ে জে এল. আইমে কোমে মা চ্যাট্টে হ্যাবিলে এন ভার্ট সালাদে কোমে দ্য লাঁ গ্রীলে সে'এস্ট পারেইল") (১৯২৫) ক্রিস্টির লন্ডন বাজারে $২৬ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়।[১৫] ঐ বছরই লন্ডনের সোথেবিতে পেইনচার (ইটোইল ব্লিউ) (১৯২৭) ২৩.৬ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয় যা প্যারিস নিলামে যে দামে বিক্রি হয় তার প্রায় দুগুণ এবং কোনপ্রকার নিলামের শিল্পের জন্য সর্বোচ্চ দাম[১৬][১৭]
গ্যালারি
- "লেস ফুসাইনস": ২২, রুয়ে টুরলাগ, প্যারিসের ১৮তম জেলা যেখানে মিরো ১৯২৭ সালে বসবাস করেছিলেন।
- দ্য মোজাইক "প্লা দ্য লা'ওস" বার্সেলোনার শিল্পী র্যাম্বলাস কর্তৃক
- মুসেও রেইনা সোফিয়ার অন্তঃদর্শন
- হাকোনে উন্মুক্ত বায়ু জাদুঘর
- গ্রান্ডি ম্যাটারনিটে
- ফান্ডাসিওন মিরোর ভাস্কর্য
টীকা
তথ্যসূত্র
- জ্যাকুয়েস ডুপিন, জোয়ান মিরো জীবন ও কাজ, হ্যারি এন. আব্রামস ইনকর্পোরেটেড., প্রকাশনী, নিউ ইয়র্ক শহর, ১৯৬২, লাইব্রেরী অফ কংগ্রেস ক্যাটালোগ কার্ড নং: ৬২-১৯১৩২
- মার্গিট রাওয়েল,জোয়ান মিরো -নির্বাচিত লেখা ও প্রবন্ধ, দা কাপো প্রেস অনকর্পোরেটেড; নতুন মুদ্রণ (১লা আগস্ট, ১৯৯২) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩০৬-৮০৪৮৫-৪
আরো পড়ুন
- ডুপিন, জ্যাকুয়েস (১৯৬২)। জোয়ান মিরো: জীবন ও কাজ। আব্রামস।
বহিঃসংযোগ
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/f/fa/Wikiquote-logo.svg/34px-Wikiquote-logo.svg.png)
- জোয়ান মিরো আর্ট
- জোয়ান মিরো মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে
- ওলগার গ্যালারি: জোয়ান মিরো
- আর্টোসাইক্লোপিডিয়া অনলাইন কাজের ডিরেক্টরি
- আর্ট সিগনেচার ডিকশনারি - দেখুন জোয়ান মিরোর সাক্ষর, তবে জালসাক্ষর পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে
টেমপ্লেট:জোয়ান মিরো