![]() | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মাইকেল কনরাড ক্যারিও | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (১৯৩৭-০৯-১৫)১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৮ জানুয়ারি ২০১১(2011-01-08) (বয়স ৭৩) পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক ডানহাতি মিডিয়াম পেস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, প্রশাসক, কোচ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এমপি ক্যারিও (পুত্র) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১২০) | ৬ জুন ১৯৬৩ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৩ মার্চ ১৯৭২ বনাম নিউজিল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৫–১৯৭৩ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ জুন ২০২০ |
মাইকেল কনরাড জোই ক্যারিও (ইংরেজি: Joey Carew; জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ - মৃত্যু: ৮ জানুয়ারি, ২০১১) ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক ছিলেন।[১] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকে ১৯৭০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক কিংবা মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন ।
১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম পর্যন্ত জোই ক্যারিও’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
আকর্ষণীয় বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও অফ স্পিন বোলার ছিলেন জোই ক্যারিও। সবমিলিয়ে ৩৪.১৫ গড়ে ১১২৭ রান তুলতে পেরেছিলেন তিনি। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে লেগ স্পিন বোলার হিসেবে আট উইকেট লাভ করেছেন তিনি। আট বছর মেয়াদে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শেল শিল্ডের উপর্যুপরী শিরোপা লাভের সাথে জড়িত ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ঊনিশটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জোই ক্যারিও। ৬ জুন, ১৯৬৩ তারিখে ম্যানচেস্টারে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৩ মার্চ, ১৯৭২ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে মাত্র তেরোটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন তিনি। ঐ গ্রীষ্মে সাধারণমানের খেলা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার স্বীকৃতিস্বরূপ সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর থেকে ঐ সফর শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোন সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি তিনি।
তিন বছর পর ইংল্যান্ডে তিনি তার পরবর্তী বিদেশ সফরে অংশ নেন। দলে অবস্থান করে সময় উপযোগী আরেকটি সেঞ্চুরি করেন ও দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। কিন্তু, ০ ও ২ রান সংগ্রহের কারণে অতিশীঘ্রই দলের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন। দশটি অর্ধ-শতরান ও একটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, দলে নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ১৯৬৯ সালে ইডেন পার্কে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন। অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন। এটিই তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল। পূর্ববর্তী বছরে কুইন্স পার্ক ওভালে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টিভ কামাচো’র সাথে প্রথম উইকেট জুটিতে ১১৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
এরপর, তৃতীয়বারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, অন্যান্যবারের তুলনায় বেশ কম সফল হন। তিনটি শতরানের ইনিংস খেলেন। তন্মধ্যে, লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭২ রান তুলেন। এ পর্যায়ে রয় ফ্রেডেরিক্সের সাথে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩২৪ রান করেন। কিন্তু, সামগ্রিকভাবে তার খেলার মান বেশ দূর্বলতর ছিল। ইংরেজ পরিবেশে তিনি বেশ হিমশিম খান। তিন গ্রীষ্মে চার টেস্টে অংশ নিয়ে কেবলমাত্র ১০৪ রান তুলতে পেরেছিলেন।
তারপর থেকেই তিনি দলে আসা-যাওয়ার পালায় থাকতেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সময়কালে অংশগ্রহণকৃত সাত টেস্টের কোনটিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। বার্বাডোসে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্ট খেলায় প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন।
খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ২০ বছরের অধিক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিনটি ভিন্ন মেয়াদে মাঠে ও মাঠের বাইরে এ দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৬ সালে এ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন। দীর্ঘ সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন।
বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা’র পরামর্শক হিসেবে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন।[২] তাকে তিনি কিশোর বয়সেই চিনতেন। একবার ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্স জোই ক্যারিও সম্পর্কে লিখেছিলেন যে, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তবে, ত্রিনিদাদের সান্তা ক্রুজ থেকে আগত, তরুণ বামহাতি ব্যাটসম্যানকে পরামর্শ ও সাহস প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রেখেছেন। ব্রায়ান লারাও তার সহজাত প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে জোই ক্যারিও’র অবদানকে মূল্যায়িত করেছিলেন।’[৩] কাকতালীয়ভাবে জনরোষের শিকারে পরিণত হলে ব্রায়ান লারাকে অধিনায়কত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পাশাপাশি, দল নির্বাচক হিসেবেও জোই ক্যারিওকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়।
জন্মগ্রহণ ও শৈশবকাল অতিবাহনকারী গৃহ থেকে খুব কাছের পোর্ট অব স্পেনের উডব্রুক এলাকায় সারাজীবন বসবাস করেন। ফাতিমা কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ঘোড়দৌড় তার প্রিয় ছিল। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ম্যারিওন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তার দুই পুত্র সন্তান - মাইকেল ক্যারিও ত্রিনিদাদীয় ঘোড়দৌড় প্রশিক্ষক ও ডেভিড ক্যারিও পেশায় ব্যাঙ্কার ছিলেন।
৮ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে ৭৩ বছর বয়সে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেন এলাকায় জোই ক্যারিও’র দেহাবসান ঘটে।