জেসিয়ে পাল
জেসিয়ে পাল একজন বিপণন বিশেষজ্ঞ,[১২] প্রতিষ্ঠাতা,[১৩] একটি বিপণন সংক্রান্ত পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,[১৪][১৫][১৬][১৭][১৮] একজন বক্তা,[১৯] এবং একজন লেখক।[২০][২১] এর আগে তিনি উইপ্রো আইটি বিজনেসের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা[২০][২২][২৩] এবং ইনফোসিস টেকনোলজিস লিমিটেডের গ্লোবাল ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[২৪][২৫]
জেসিয়ে পাল | |
---|---|
![]() | |
জাতীয়তা | ভারত |
শিক্ষা | ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা |
পেশা | লেখক, বিপণনকারী, সিইও[১][২][৩][৪][৫][৬] বিপণন পরামর্শদাতা[৭] |
পরিচিতির কারণ | নো মানি মার্কেটিং বইয়ের লেখক,[৮][৯][১০] উইপ্রোর সাবেক সিএমও, বিপণন বিশেষজ্ঞ[১১] |
পল এসকিউএস ইন্ডিয়া বিএফএসআই লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের একজন স্বতন্ত্র পরিচালক।[২৬] প্রতিষ্ঠানটি বোম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়া (এনএসই) এর তালিকাভুক্ত একটি পাবলিক কোম্পানি।
শিক্ষা
তিনি দিল্লির একটি বিহারে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। মাঝে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ২য় গ্রেড থেকে ৫ম গ্রেড পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। তারপর তিনি তামিলনাড়ুর নাজারেথে তার নিজ গ্রামে ফিরে এসে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানেই স্কুল জীবন সমাপ্ত করেন।[২৭][২৮]
জেসিয়ে পাল তিরুচিরাপল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি এবং প্রকৌশল বিষয়ে একটি ডিগ্রি অর্জন করেন।[২৯] এরপর তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাটা থেকে বিপণনে (মার্কেটিং) এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][২৮]
ক্যারিয়ার
এনআইটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি প্রশিক্ষক এবং বিক্রয় সহায়তা দলের একজন সদস্য হিসাবে টাটা এলক্সসি নামক একটি প্রযুক্তি ডিজাইন ফার্মে যোগদান করেছিলেন।[২৮]
এরপর পাল ও.অ্যান্ড এম, ইনফোসিস এবং আইগেটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করে প্রায় ১৫ বছর অতিবাহিত করেন।[৩০] ১৯৯৮ সালে পল ইনফোসিসে গ্লোবাল ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। সেখানে তিনি যেসব ভূমিকা রাখেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সংস্থাটির বিপণন দল গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া এবং মাঠ পর্যায়ে বিপণন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা। এরই অংশ হিসেবে ওয়ার্টন ইনফোসিস বিজনেস ট্রান্সফরমেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদানের অনুষ্ঠানটি তিনি উপস্থাপনা করেছিলেন। তার সময়ে ইনফোসিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা- আইটি সার্ভিসেস মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ডায়মন্ড পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির এমন একটি বিভাগের সাথে জড়িত হন, যারা ন্যাসড্যাকে (একটি মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জ) ইনফোসিসের আমেরিকান ডিপোজিটরি শেয়ারগুলোর তালিকা তৈরি করত।[২৮]
২০০৩ সালে জেসিয়ে ইনফোসিসের চাকরি ছেড়ে কুইনট্যান্ট কর্পোরেশন নামক একটি নবগঠিত ব্যাক অফিস ফার্মে গ্লোবাল মার্কেটিং হেড হিসেবে যোগদানের করেন। কিছুদিনের মধ্যেই আইগেট কর্পোরেশন কুইন্ট্যান্টকে কিনে নেয়। সিখানে তিনি সেখানে দু'বছর কাজ করেন।[২৮]
২০০৫ সালে জেসিয়ে উইপ্রোতে প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি বিপণন বিভাগের প্রধান হিসাবে ৫০ জনের একটি দলের নেতৃত্ব দেন।[৩১] তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে শেয়ার্ড মার্কেটিং ইউনিট গঠন করেছিলেন এবং উইপ্রো টেকনোলজিস এবং উইপ্রো ইনফোটেকের জন্য কার্যকর কৌশল উদ্ভাবন করেছিলেন।[৩২]
জেসিয়ে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান পল রাইটার স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরির কাজ শুরু করার জন্য ২০০৯ সালে উইপ্রো টেকনোলজিসের চাকরি ছেড়ে দেন।[৩৩][৩৪] বিশ্বব্যাপী ভারতীয় আইটি শিল্পকে সুপরিচিত করার ক্ষেত্রে জেসিয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি খাতে ভারতের প্রভাবশালী মহিলাদের মধ্যে তিনি একজন।[৩৫][৩৬]