জেফ মস

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

জেফ্রি কেনেথ মস (ইংরেজি: Jeff Moss; জন্ম: ২৯ জুন, ১৯৪৭) ভিক্টোরিয়ার মেলবোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

জেফ মস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জেফ্রি কেনেথ মস
জন্ম (1947-06-29) ২৯ জুন ১৯৪৭ (বয়স ৭৬)
মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩০৫)
২৪ মার্চ ১৯৭৯ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫৫)
১৩ জুন ১৯৭৯ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৬/৭৭ - ১৯৮২/৮৩ভিক্টোরিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টওডিআইএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা৫১১৭
রানের সংখ্যা৬০৩,৪১৬২৭৬
ব্যাটিং গড়৬০.০০৭.০০৪৩.৭৯১৮.৪০
১০০/৫০০/০০/০৯/১৪০/২
সর্বোচ্চ রান৩৮*২২০৭৬
বল করেছে৭৫
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং০/–২/–৩৩/–১০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ নভেম্বর ২০১২

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন জেফ মস। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত জেফ মসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আক্রমণধর্মী বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা জয়ে অপূর্ব ভূমিকা পালন করেন। ঐ মৌসুমে ৬৮.০০ গড়ে ৭৪৮ রান তুলেছিলেন তিনি। তাসত্ত্বেও তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমনকি ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের অংশগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজিত সময়কালে তিনি ছিলেন না।

১৯৮১-৮২ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় খেলা উপহার দেন। জাংশন ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় জুলিয়েন ওয়াইনারের সাথে ৩৯০ রানের জুটি গড়েন।[১] তৃতীয় উইকেটে সৃষ্ট এ রেকর্ড অদ্যাবধি অস্ট্রেলীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে টিকে রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ঠিক ২০০ রান করেছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জেফ মস। ২৪ মার্চ, ১৯৭৯ তারিখে পার্থে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর আর তিনি কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করেননি। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট শুরুর হবার ফলেই কেবল জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। এ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়া দলের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে শূন্যতা পূরণে তাকে দলে নেয়া হয়েছিল। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে পাকিস্তানে দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে তিনি খেলেন। তবে, এ সিরিজের পরপরই ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ভারতে গমনকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বাইরের রাখা হয় তাকে।

পার্থে গ্রাহাম ইয়ালপের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তিনি খেলেন। এছাড়াও, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। তবে, পাকিস্তানের বিপক্ষে কেবল একটিমাত্র ওডিআইয়ে তিনি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর ঐ মৌসুমের গ্রীষ্মে ডব্লিউএসসি থেকে খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তনে টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ স্তিমিত হয়ে পড়ে তার।

ভিক্টোরিয়ার সংসদ সদস্য সিন্ডি ম্যাকলেইসের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।[২]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী