টরন্টো এর ইউনিভার্সিটি এভিনিউতে জি৭ সদস্য দেশগুলোর পতাকা।
জি৭ (গ্রুপ অব সেভেন) হচ্ছে জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি সংঘ। ইউরোপীয় ইউনিয়নও জি৭ এ প্রতিনিধিত্ব করে। এই সাতটি দেশ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল স্বীকৃত বিশ্বের সাতটি মূল উন্নত অর্থনীতির দেশ। এরা বৈশ্বিক সম্পদের শতকরা ৬৪ ভাগের প্রতিনিধি ($২৬৩ ট্রিলিয়ন)।[১] ২০১৪ সালের ক্রিমিয়া সংকটে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে ২০১৪ এর ২৪ মে রাশিয়াকে জি৮ থেকে বাদ দেয়া হয়। এখন তাই এই জোটটি জি-৭ নামে পরিচিত। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নিয়ে সেই অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে যুক্ত করে নিলে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে এবং সেই উষ্মার জের হিসেবে সেই একই বছর রাশিয়াকে জি-৮ থেকে খারিজ করে দেওয়া হলে জোট আবারও স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের জি-৭ জোট নামে আগের পরিচিতি ফিরে পায়।
লাইব্রেরি গ্রুপ
১৯৭৩-এর তেল সংকট কে কেন্দ্র করে তৎকালীন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জর্জ পি. শুল্টজ এর নেতৃত্বে আমেরিকা , ইংল্যান্ড , ফ্রান্স ও পশ্চিম জার্মানির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে হোয়াইট হাউসের লাইব্রেরি রুমে একটি বৈঠক হয়। সেই লাইব্রেরি গ্রুপ কে ই আজকের জি ৭ এর প্রারম্ভ বলে মনে করা হয়।
রাশিয়ার ক্রিমিয়া অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালে বিস্তর বিবাদ সৃষ্টি হয়। ফলস্বরূপ রাশিয়া এই গ্রুপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। তাই এটি এখন ৭ দেশের একটি গ্রুপ।
জি-৭+
মূল সদস্য দেশের বাইরেও আরো কিছু দেশের রাষ্ট্র প্রধান /সরকার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২০০৩ সালে তৎকালীন গ্রুপের প্রধান জাক শিরাক-এর আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সম্মেলনে যোগ দেন।