জিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী
জিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী আসামের একজন বিজ্ঞানী, তিনি ভারতের প্ৰথম চন্দ্ৰ অভিযান চন্দ্রযান-১ এর প্রধান বিজ্ঞানী,[২] এই অভিযানের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে তার ভূমিকা গুরুত্বপূৰ্ণ[৩], চন্দ্রযান-২ এর সাথে ও তিনি জড়িত। বৰ্তমানে তিনি ভৌতিক গবেষণাগার (Physical Research Laboratory) এর সঞ্চালক। এই অসমীয়া বিজ্ঞানীর জন্ম হয় আসামের যোরহাট জেলা তে।
জিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১৮ নবেম্বর, ১৯৫০[১] |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | চন্দ্ৰযান-১ চন্দ্ৰযান-২ |
পুরস্কার | নাসার পাব্লিক সাৰ্ভিস গ্ৰুপ এসিভমেন্ট পুরস্কার(১৯৮৬) শান্তির জন্য ভটনাগর পুরস্কার (১৯৯৪) বিজ্ঞান এবং প্ৰযুক্তির জন্য কমল কুমারী পুরস্কার (২০০৩) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | সৌরজগত অধ্যয়ন, পৃথিবী এবং গ্ৰহ বিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ভৌতিক গবেষণাগার (PRL) ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d0/The_President%2C_Shri_Pranab_Mukherjee_presenting_the_Padma_Shri_Award_to_Prof._Jitendra_Nath_Goswami%2C_at_the_Civil_Investiture_Ceremony%2C_at_Rashtrapati_Bhavan%2C_in_New_Delhi_on_April_13%2C_2017.jpg/250px-thumbnail.jpg)
শিক্ষা জীবন
১৯৬৫ সালে জিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী যোরহাট সরকারি বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসামের ভিতর ষষ্ঠ স্থান লাভ করেন, পদাৰ্থ বিজ্ঞান কে মূল বিষয় হিসাবে কটন মহাবিদ্যালয় এ স্নাতক শাখায় ভৰ্তি হন[৪]। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰী লাভ করার পর পি. এইচ. ডি.র জন্যে তিনি টাটা মৌলিক গবেষণা প্ৰতিষ্ঠান এ যোগদান করেন[৩][৪]। ঐসময়ে তিনি একবছরের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর গবেষক হিসাবে গবেষণা করেন[৩], ১৯৭৮ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পি. এইচ. ডি. ডিগ্ৰী লাভ করেন।
গবেষণা
পি. এইচ. ডি.র পরে তিনি বিভিন্ন সময়ের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, হাষ্টন লুনার এণ্ড প্লেনেটরী ইনষ্টিটিউট এবং মেক্স-প্লাংক ইনষ্টিটিউট এ গবেষণার কাজ করেন। তার গবেষণার মূল বিষয় সৌরজগত অধ্যয়ন, পৃথিবী এবং গ্ৰহ বিজ্ঞান। তিনি ও তার সহঃযোগী বিজ্ঞানীরা সৌরজগত সৃষ্টির সময় সমগ্র জীবনকাল 26Al নিউক্লাইড কণায় শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করছিল বলে প্ৰমাণ করার সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূৰ্ণ তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি মহাজাগতিক রশ্মি, টেকটনিক প্লেট ইত্যাদি সম্পৰ্কেও কিছু গুরুত্বপূৰ্ণ ফলাফল তুলে ধরেন[৩]। ভৌতিক গবেষণাগার থেকে তিনি ভারতীয় মহাকাষ গবেষণা সংস্থার গ্ৰহ বিজ্ঞান এবং এক্সপ্লোরেশন প্ৰকল্পের প্ৰারম্ভিক পৰ্যায়ে (২০০৪-০৭) তিনি তত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করেন। তদুপরি তিনি মহাকাশযান স্পেসলেব-৩ত এর ভারতীয় মহাজাগতিক রশ্মি পরীক্ষার সহঃযোগী তত্বাবধায়ক এবং চান্দ্ৰিক নমুনা (Lunar Samples)র তিনি প্রধান তত্বাবধায়ক ছিলেন[৫]।
চন্দ্ৰযান
ভারতের প্ৰথম চন্দ্ৰ অভিযান চন্দ্ৰযান-১ এর জিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী ছিলেন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান কর্তা, এই অভিযানের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে তার গুরুত্বপূৰ্ণ ভূমিকা ছিল, তিনি চন্দ্ৰযান-২ অভিযানের ও মুখ্য বিজ্ঞানী[৫]।
মঙ্গলযান
জিতেন্দ্ৰনাথ গোস্বামী ২০১৩ সালের ৫ নবেম্বর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসর') এর দ্বারা উৎক্ষেপিত মার্স অরবিটার মিসন (ইংরেজি:Mars Orbiter Mission)র একজন অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন[৬]। এই অভিযানক মংগলযান হিচাপেও জনা যায়[৭]। মঙ্গলযান প্ৰসংগে তিনি বলেন যে, অদূর ভবিষ্যতে মানরজাতির বিকল্প বাসস্থান হিসাবে মঙ্গল গ্ৰহ চিহ্নিত হবার সম্ভাবনা আছে[৮]। ভারতের উত্তর পূৰ্বাঞ্চল থেকে মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্ৰে উল্লেখনীয় অবদান ও প্ৰতিভার সম্ভাবনা আছে বলেও গোস্বামী উল্লেখ করেন[৯][১০]।
পুরস্কার এবং সম্মান
- ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি (INSA)র যুব বিজ্ঞানী পুরস্কার (১৯৭৮)
- নাসার পাব্লিক সাৰ্ভিস গ্ৰুপ এচিভমেন্ট পুরস্কার (১৯৮৬)
- শান্তির জন্য ভটনাগর পুরস্কার (১৯৯৪)
- বিজ্ঞান এবং প্ৰযুক্তির জন্য কমল কুমারী পুরস্কার লাভ করেন।(২০০৩)
- এশিয়া ওশেনিয়া জিয়সাইন্স সোসাইটির 'এক্সফোৰ্ড' পুরস্কার (২০১৪)[১১]
২০০৭ সালে তিনি ভারতীয় জ্যোতিৰ্বিজ্ঞান সংঘের সভাপতি নিৰ্বাচিত হন, উন্নয়নশীল বিশ্বের বিজ্ঞান একাডেমি (TWAS) সভ্য, তদুপরি ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি, বাংগালোর সমূহ, জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমি সমূহ (ভারত), এলাহাবাদ, ইউরোপীয় ভূ-রসায়ন সংঘ ইত্যাদি সেক্টরে বিভিন্ন জ্যোতিৰ্বিজ্ঞান প্ৰতিষ্ঠানের সভ্য ছিলেন।[৩]।