জলভরা সন্দেশ তালশাঁস আকৃতির কড়াপাকের এক বিশেষ সন্দেশ। হুগলি জেলার সূর্যকুমার মোদক এর আবিষ্কর্তা। [১]
ভদ্রেশ্বরের তেলেনীপাড়ায় বন্দ্যোপাধ্যায়দের জমিদার বাড়ির দাবিতেই এই মিষ্টি প্রথম বানান সূর্য মোদক ১৮১৮ সালে। প্রথম জামাইষষ্ঠীতে নতুন জামাইকে ঠকানোই ছিল এটি বানাবার মূল উদ্দেশ্য। কড়াপাকের সন্দেশের ভিতর গোলাপজল ভরে তৈরী হয় তালশাঁস আকৃতির এই মিষ্টি। জামাইষষ্ঠীর দিন নতুন জামাইয়ের পাতে দেওয়া হয় প্রকাণ্ড এই সন্দেশ। তাতে কামড় দেওয়া মাত্র সন্দেশের ভিতর থেকে গোলাপজল ছিটকে জামাইয়ের পাঞ্জাবিতে গিয়ে পড়ে। জামাইকে ঠকানো এই সন্দেশের শুরু সেই থেকে।[১]
এই সন্দেশ বানাবার মূল উপাদান ছানা, চিনি, গোলাপজল ও শীতকালে নলেন গুড়। সূর্য মোদকের দোকানে গোলাপজল আসে নিয়ম মেনে কনৌজ থেকে। কিছুটা সন্দেশ প্রথমে ছাঁচের মধ্যে দিয়ে আঙুলের চাপে একটা গর্ত করে নেওয়া হয়। সেই গর্তে গোলাপজল ঢেলে আবার সন্দেশ দিয়ে বাকিটা ঢেকে ছাঁচের মুখ বন্ধ করে দিতে হয়। এভাবেই জলভরা সন্দেশ তৈরী করা হয়।[১]
অদুগ্ধভিত্তিক |
| ||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দুগ্ধভিত্তিক |
|