জন ম্যাকলিন

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

জন আলেকজান্ডার ম্যাকলিন, এমবিই (ইংরেজি: John Maclean; জন্ম: ২৭ এপ্রিল, ১৯৪৬) কুইন্সল্যান্ডের হারস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

জন ম্যাকলিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জন আলেকজান্ডার ম্যাকলিন
জন্ম (1946-04-27) ২৭ এপ্রিল ১৯৪৬ (বয়স ৭৮)
হারস্টন, কুইন্সল্যান্ড
ডাকনামঅগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৯৮)
১ ডিসেম্বর ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৬ জানুয়ারি ১৯৭৯ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫১)
১৩ জানুয়ারি ১৯৭৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৪ জানুয়ারি ১৯৭৯ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৮ - ১৯৭৯কুইন্সল্যান্ড বুলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টওডিআইএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা১০৮২২
রানের সংখ্যা৭৯১১৩৮৮৮২৩২
ব্যাটিং গড়১১.২৮১১.০০২৪.৪৫১৯.৩৩
১০০/৫০-/--/-২/১৪০/১
সর্বোচ্চ রান৩৩*১১১৫৬৬১*
বল করেছে---
উইকেট----
বোলিং গড়----
ইনিংসে ৫ উইকেট----
ম্যাচে ১০ উইকেট----
সেরা বোলিং----
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১৮/–-/–৩৫৪/৩১৩৫/১
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ জুন ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করে গেছেন ‘অগো’ ডাকনামে পরিচিত জন ম্যাকলিন

খেলোয়াড়ী জীবন

১৯৬৮-৬৯ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল জন ম্যাকলিনের। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন জন ম্যাকলিন। ১ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। একই দলের বিপক্ষে ৬ জানুয়ারি, ১৯৭৯ তারিখে সিডনিতে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

খেলার ধরন

কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটের একনিষ্ঠ সেবক হিসেবে জন ম্যাকলিনের পরিচিতি রয়েছে। ১৯৭০-এর দশকের অধিকাংশ সময় দলটিকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যান। অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রথম পছন্দের উইকেট-রক্ষক রড মার্শের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। পরবর্তীতে বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশ নেন।

তার উইকেট-রক্ষণের মান বেশ বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু, ইংল্যান্ডের স্পিনারদের বোলিং মোকাবেলা তার ব্যাটিংয়ের সীমাবদ্ধতা সবিশেষ লক্ষ্যণীয় ছিল।

ক্রিকেট খেলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮০ সালে মেম্বার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে ভূষিত হন।[১]

ব্যক্তিগত জীবন

ব্রিসবেন স্টেট হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। এরপর কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল (পুরকৌশল) ও অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে ব্রিসবেনে অপাস ইন্টারন্যাশনাল কনসালট্যান্টসের ভূমি ও অবকাঠামো উন্নয়নের ওয়ার্কগ্রুপ ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি কিউএএস বোর্ডের মাধ্যমে কুইন্সল্যান্ড স্পোর্ট একাডেমিতে (কিউএএস) পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। এরপূর্বে ডেভেলপম্যান্ট প্লানিং লিমিটেডের সভাপতি, ফার এভরাট ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড টেবলটপ আর্কিটেক্টস এন্ড প্ল্যানার্সের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার চার পুত্র সন্তান রয়েছে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী