ছত্রাকবিজ্ঞান

ছত্রাক সংক্রান্ত বিজ্ঞান

ছত্রাকবিজ্ঞান হলো জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যা ছত্রাক, ছত্রাকের বংশাণুবিজ্ঞান এবং প্রাণরসায়ন বৈশিষ্ট্য, ছত্রাকের শ্রেণিবিন্যাস এবং সনাতনী ঔষধ, খাদ্য, ছত্রাকের বিষাক্ততা ও সংক্রমণ ইত্যাদির উৎস হিসেবে ছত্রাকের উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা করে।

মাশরুম ছত্রাকের এক ধরনের প্রজনন অঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয়।

যে জীববিজ্ঞানী ছত্রাকবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ তাকে ছত্রাকবিজ্ঞানী বলা হয়।

উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের অধ্যয়ন বা ফাইটোপ্যাথোলজির সাথে ছত্রাকবিজ্ঞান নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। কারণ, উদ্ভিদের বেশিরভাগ সংখ্যক রোগ ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হয়।

সাধারণ বর্ণনা

মাইকোলজি শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে: μύκης ( মুকস ), যার অর্থ "ছত্রাক" এবং প্রত্যয় -λογία ( -লগিয়া ), যার অর্থ "অধ্যয়ন"। ঐতিহাসিকভাবে, ছত্রাকবিজ্ঞান উদ্ভিদবিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে বিবেচিত হত। কেননা, ছত্রাক বিবর্তনীয়ভাবে উদ্ভিদের চেয়ে প্রাণীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। [১] কয়েক দশক আগে পর্যন্তো এই তথ্য স্বীকৃত ছিল না। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] । শুরুর দিকে ছত্রাকবিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যে এলিয়াস ম্যাগনাস ফ্রাইস, ক্রিশ্চিয়ান হেনড্রিক পার্সুন, অ্যান্টন ডি বারি, এলিজাবেথ ইটন মোর্স এবং লুইস ডেভিড ভন শোয়াইনিৎয উল্লেখযোগ্য।

অনেক ছত্রাক প্রতিবিষ, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য গৌণ বিপাক উৎপাদন করে। উদাহরণস্বরূপ, সার্বজনীন (বিশ্বব্যাপী) মহাজাতি ফিউসারিয়াম (Fusarium) এবং মানুষের স্বাস্থ্যে ফিউসারিয়াম কর্তৃক উৎপাদিত প্রতিবিষের প্রভাব নিয়ে আব্রাহাম জফের বিস্তর গবেষণা উল্লেখযোগ্য।

ইতিহাস

এটা বিশ্বাস করা হয় যে, মানুষ প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকেই খাদ্য হিসাবে মাশরুম সংগ্রহ করা শুরু করে। সর্বপ্রথম ইউরিপিডস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৮০-৪০৬) এর রচনায় মাশরুম সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। সর্বপ্রথম গ্রীক দার্শনিক থিওফ্রাস্টোস অফ ইরেসোস (খ্রিস্টপূর্ব ৩ ৩৭১-২৮৮ ) উদ্ভিদকে নিয়ম মেনে শ্রেণিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। এই তালিকায় মাশরুম নির্দিষ্ট অঙ্গ অনুপস্থিত এমন উদ্ভিদ হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। এরপরে প্লিনি দ্য এল্ডার (২৩ – ৭৯ AD খ্রিস্টাব্দ) তার এনসাইক্লোপিডিয়া ন্যাচারালিস ইস্তোরিয়াতে ট্রাফলস সম্পর্কে লিখেন।[২]

মাইকোলজি এবং ঔষধ আবিষ্কার

কয়েক শতাব্দী ধরে, চীন, জাপান এবং রাশিয়ায় লোকজ ওষুধ হিসাবে মাশরুম নথিভুক্ত করা হয়েছে।[৩] যদিও লোকজ ঔষধ হিসেবে মাশরুমের ব্যবহার মূলত এশীয় মহাদেশ কেন্দ্রিক, তবে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো মধ্য প্রাচ্য, পোল্যান্ড এবং বেলারুশের লোকেরা ওষধি উদ্দেশ্যে মাশরুম ব্যবহার করে বলে নথিতে পাওয়া যায়।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী