চীনা–বর্মি যুদ্ধ (১৭৬৫–১৭৬৯)

চীনা–বর্মি যুদ্ধ (চীনা: 中緬戰爭 or 清緬戰爭; বর্মী: တရုတ်-မြန်မာ စစ် (၁၇၆၅–၆၉)), যা বার্মায় চীনা আক্রমণ অথবা কিং বংশের মিয়ানমার অভিযান নামেও পরিচিত[১০], ছিল চীনের কিং বংশ এবং মিয়ানমারের কোনবাউং বংশের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ। কিয়ানলং সম্রাটের অধীন চীন ১৭৬৫ থেকে ১৭৬৯ সালের মধ্যে বার্মায় চারবার আক্রমণ চালায়, যেটি তার দশটি বৃহৎ অভিযানের একটি বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু এই যুদ্ধে ৭০,০০০ চীনা সৈন্য ও ৪ জন চীনা সেনাপতি নিহত হয়,[১১] যার ফলে এই যুদ্ধটিকে "কিং বংশের শুরুকৃত সকল সীমান্ত যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যয়কারী",[১০] এবং "বার্মার স্বাধীনতা নিশ্চিতকারী"[১] হিসেবে অভিহিত করা হয়। বার্মার সফল প্রতিরক্ষার ফলে দেশ দুইটির বর্তমান সীমানার ভিত্তি স্থাপিত হয়[১১]

চীনা–বর্মি যুদ্ধ (১৭৬৫–১৭৬৯)
মূল যুদ্ধ: দশটি বৃহৎ অভিযান

যুদ্ধের আগে বার্মা এবং চীন (১৭৬৫)
তারিখডিসেম্বর ১৭৬৫ – ২২ ডিসেম্বর ১৭৬৯
অবস্থান
বর্তমান শান রাষ্ট্র, কাচিন রাষ্ট্র, ইউনান, উচ্চ বার্মা
ফলাফল

বর্মি বিজয়

  • কাউংতনের চুক্তি
  • বার্মার স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়[১]
  • সিয়াম (থাইল্যান্ড) বার্মা থেকে স্বাধীনতা লাভ করে
বিবাদমান পক্ষ
কোনবাউং বংশচিং রাজবংশ কিং সাম্রাজ্য
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী

হিসিনবিউশিন
মাহা থিহা থুরা
মাহা সিথু
নে মিয়ো সিথু
বালামিন্দিন
তেইঙ্গ্যা মিনখাউং

পিয়েরে দি মিলার্দ

চিং রাজবংশ কিয়ানলং সম্রাট
চিং রাজবংশ লিউ জাও
চিং রাজবংশ ইয়াং ইংজু
চিং রাজবংশ মিং রুই [২]
চিং রাজবংশ ই'এরদেং'ই
চিং রাজবংশ আলীগুই [২]
চিং রাজবংশ ফুহেং [২]
চিং রাজবংশ আরিগুন 

চিং রাজবংশ আগুই
জড়িত ইউনিট
রাজকীয় বর্মি সেনাবাহিনী

আট ব্যানার সেনাবাহিনী

চিং রাজবংশ সবুজ পতাকা সেনাবাহিনী

মোঙ্গল বাহিনী

তাই-শান মিলিশিয়াসমূহ
বামার এবং শান আঞ্চলিক বাহিনীসমূহ
শক্তি

প্রথম আক্রমণ
সর্বমোট: অজ্ঞাত

  • ২,০০০ পদাতিক সৈন্য
    ২০০ অশ্বারোহী সৈন্য[note ১]
  • কেংতুং সেনানিবাসে শান মিলিশিয়া বাহিনী

দ্বিতীয় আক্রমণ
সর্বমোট: অজ্ঞাত

  • ৪,৫০০ পদাতিক সৈন্য
    ২০০ অশ্বারোহী সৈন্য[note ১]
  • কাউংতোন সেনানিবাস

তৃতীয় আক্রমণ
সর্বমোট: ~৩০,০০০ পদাতিক সৈন্য
২,০০০ অশ্বারোহী সৈন্য[note ২]


চতুর্থ আক্রমণ

সর্বমোট: ~৪০,০০০ সৈন্য[note ৩]

প্রথম আক্রমণ
সর্বমোট: ৫,০০০ পদাতিক সৈন্য
১,০০০ অশ্বারোহী সৈন্য[note ১]

  • ৩,৫০০ সবুজ পতাকাধারী সৈন্য[৩]
  • তাই-শান মিলিশিয়াসমূহ

দ্বিতীয় আক্রমণ
সর্বমোট: ২৫,০০০ পদাতিক সৈন্য
২,৫০০ অশ্বারোহী সৈন্য[note ১]

  • ১৪,০০০ সবুজ পতাকাধারী সৈন্য[৪]
  • তাই-শান মিলিশিয়াসমূহ

তৃতীয় আক্রমণ
সর্বমোট: ৫০,০০০ সৈন্য[৫]

  • ৩০,০০০ ব্যানারধারী এবং মোঙ্গল সৈন্য[৬]
  • ১২,০০০ সবুজ পতাকাধারী সৈন্য
  • তাই-শান মিলিশিয়াসমূহ

চতুর্থ আক্রমণ
সর্বমোট: ৬০,০০০ সৈন্য[৭]

  • ৪০,০০০ ব্যানারধারী অথবা মোঙ্গল সৈন্য[৩]
  • সবুজ পতাকাধারী সৈন্য এবং তাই-শান মিলিশিয়াসমূহ
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অজ্ঞাত, কিন্তু কম

চিং রাজবংশ দ্বিতীয় অভিযান: ~২০,০০০ সৈন্য নিহত
তৃতীয় অভিযান: ৩০,০০০+ সৈন্য নিহত[note ৪]
চতুর্থ অভিযান: ২০,০০০+ সৈন্য নিহত[৮]
সর্বমোট: ৭০,০০০+ সৈন্য নিহত

২,৫০০ সৈন্য যুদ্ধবন্দি[৯]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "note" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="note"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী