চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার হলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত লালদীঘির পূর্ব পাশে অবস্থিত একটি কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাবন্দির সংখ্যার ভিত্তিতে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারাগার।[১]
![]() | |
কারাগার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ১৮৮৫ |
যার এখতিয়ারভুক্ত | বন্দি রাখা, তাদের সংশোধন ও সুপ্রশিক্ষিত করে সভ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা |
সদর দপ্তর | ২২°২০′১৪″ উত্তর ৯১°৫০′২২″ পূর্ব / ২২.৩৩৭১৮৬° উত্তর ৯১.৮৩৯৪৫৮° পূর্ব |
নীতিবাক্য | রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ |
কারাগার নির্বাহী |
|
মূল বিভাগ | স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় |
ওয়েবসাইট | prison |
![]() |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/19/Chittagong_Central_Jail_gate.jpg/220px-Chittagong_Central_Jail_gate.jpg)
ইতিহাস
চট্টগ্রাম জেলা কারাগার হিসেবে ১৮৮৫ সালে কারাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এটিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে উন্নীত করা হয়।[২][৩]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/9c/Hangplatformstone.jpg/220px-Hangplatformstone.jpg)
১২ জানুয়ারি ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন ও তার অন্যতম সহযোগী তারকেশ্বর দস্তিদারকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারেই ব্রিটিশরা ফাঁসি কার্যকর করে।[১][২]
অবকাঠামো ও ধারণক্ষমতা
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের মোট জায়গার পরিমাণ ১৬.৮৭ একর।[১] এখানে বন্দিধারণক্ষমতা ১৭৫৩ জন। কিন্তু কারাবন্দি থাকেন গড়ে ৯ হাজার।[৪][৫] [৬]১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু নামে ৫ তলা বিশিষ্ট ৬টি বন্দি ভবন এবং ২ তলা বিশিষ্ট একটি সেল ভবন নির্মাণ করে।[৪][৫] কারাবন্দি ও কারারক্ষীদের সুযোগ সুবিধার জন্য এখানে বিভিন্ন ভবন ও অবকাঠামো রয়েছে। এখানে আরও রয়েছে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, সিকিউরিটি সেল, পুরুষ কনডেম সেল, ডিআইজি প্রিজন ভবন, অফিসার্স কোয়ার্টার ইত্যাদি।[১]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)