গ্লেন মার্কাট

গ্লেন মার্কাট (ইংরেজিতে: Glenn Murcutt) একজন অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি। স্থাপত্য কর্মের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে আলভার আলতো মেডেল এবং ২০০২ সালে প্রিট্জকার পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০০৯ সালে তিনি অ্যামেরিকান ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেক্টস-এর গোল্ড মেডেল লাভ করেন।

গ্লেন মার্কাট
২০০৪ সালে গ্লেন মার্কাট
জন্ম (1936-07-25) ২৫ জুলাই ১৯৩৬ (বয়স ৮৭)
জাতীয়তাঅস্ট্রেলীয়
পুরস্কাররয়্যাল আস্ট্রেলিয়ান ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেক্টস গোল্ড মেডেল (১৯৯২)
প্রিট্‌জকার পুরস্কার (২০০২)
অ্যামেরিকান ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেক্টস গোল্ড মেডেল (২০০৯)
ভবনসমুহম্যারি শর্ট হাউস (১৯৭৫), ফ্রেডেরিকস হাউস (১৯৮২), বল-ইস্টওয়ে হাউস (১৯৮৩), ম্যাগনে হাউস (১৯৮৪), ম্যারিকা-অ্যালডার্টন হাউস (১৯৯৪), আর্থার এন্ড বয়েড এডুকেশন সেন্টার (১৯৯৯)

জীবন ও কর্ম

গ্লেন মার্কাট লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা-মাতা উভয়ই অস্ট্রেলিয়ান। পাপুয়া নিউ গিনিয়ার মরোবি প্রদেশে তিনি শৈশব কাটিয়েছিলেন। সেখানে অবস্থানকালে স্বজাতীয় স্থাপত্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মার্কাট ম্যানলি বয়েজ হাই স্কুলে পড়েলেখা করেন। ১৯৬১ সালে সিডনি টেকনিক্যাল কলেজ থেকে তিনি স্থাপত্যে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[১] এই কলেজে মার্কাট পরিচিত হন জিম শারম্যান, ব্রায়ান থমসন, ম্যাট ক্যারোলের সাথে। জিম ও ব্রায়ান পরবর্তিকালে প্রখ্যাত স্থপতি হন এবং ক্যারোল হন চলচ্চিত্র নির্মাতা। মার্কাট তার কর্মজীবনের শুরুতে বিভিন্ন স্থপতির সাথে কাজ করেন। এদের মধ্যে মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন নেভিল গ্রুজম্যান, কেন উলি ও ব্রাইস মর্টলোক। তাদের সান্নিধ্যে মার্কাট প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আঙ্গিক স্থাপত্য ধারার সাথে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে সিডনির একটি উপশহরে মার্কাট তার নিজের ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন।[১][২]

মার্কাট একক ভাবে তার ফার্ম পরিচালনা করেন। তিনি মূলত আবাসন ও ইন্সটিটিউট জাতীয় ভবনের নকশা করে থাকেন। তার কাজ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বাস্তবায়িত হয়েছে। যদিও তিনি দেশের বাহিরে কাজ করেন না কিংবা কোন বড় ফার্ম পরিচালনা করেন না, তথাপি তার কাজের প্রভাব বিশ্বব্যাপি রয়েছে। এটির শুরু হয় মূলত মাস্টার্স ক্লাস প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এই প্রোগ্রামে মার্কাট নবীন ও প্রতিষ্ঠিত স্থপতিদের প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদান করেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্যাথরিন হান্টার তাকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছেন।[৩]

মার্কাটের স্থাপত্য কর্ম অস্ট্রেলীয় পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণতা প্রকাশ করে। তার কাজ বহুবিধ প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এবং অর্থনৈতিক ভাবেও স্বল্প বিনিয়োগে নির্মাণযোগ্য। মার্কাট ভবনের নকশা করার পূর্বে স্থানীয় জলবায়ু, বায়ুর গতিবিধি, পানির প্রাপ্যতা, তাপমাত্রা, আলো ইত্যাদি বিবেচনা করেন। উপাদান হিসেবে গ্লাস, কাঠ, স্টিল, কাচ, পাথর তার কাজে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মার্কাট ২০০২ সালে স্থাপত্য ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্যাদাজনক পুরস্কার প্রিট্‌জকার পুরস্কার লাভ করেন।[৪] প্রিট্‌জকার পুরস্কারের বিচারকবর্গ মার্কাটের কাজের মন্তব্য করতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন সৃজনশীল স্থপতি। পরিবেশ ও প্রকৃতির প্রতি তিনি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কাজের ক্ষেত্রে তিনি সৎ এবং প্রচারবিমুখ। ২০০৯ সালে মার্কাট অ্যামেরিকান ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেক্টস কর্তৃক প্রদত্ত গোল্ড মেডেল অর্জন করেন।

ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলস এর ফ্যাকাল্টি অফ বিল্ট এনভায়রনভেন্টে মার্কাট বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে স্থাপত্য শিক্ষাদান করেন। তার পুত্র নিকোলাস একজন স্থপতি।

পুরস্কার ও সম্মাননা

  • রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান ইন্সটিটিউট অফ আরকিটেক্টস গোল্ড মেডেল, ১৯৯২
  • আলভার আলতো মেডেল, ১৯৯২
  • অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৬
  • রিচার্ড নিউট্রা অ্যাওয়ার্ড ফর টিচিং, ১৯৯৮
  • থমাস জেফারসন মেডেল ফর আর্কিটেকচার, ২০১১
  • প্রিট্‌জকার পুরস্কার, ২০০২
  • অ্যামেরিকান ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেক্টস গোল্ড মেডেল ২০০৯

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী