গো বক

পাখির প্রজাতি

গো বক বা ইস্টার্ন ক্যাটল ইগ্রেট (Bubulcus coromandus) হচ্ছে আরডেইডি পরিবারের বক জাতীয় পাখি। এরা উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণমণ্ডল অঞ্চলে বাস করে। বুবুলকাস গণের এরা একটি সদস্য। বুবুলকাস গণের আরেকটি পাখি হলো ওয়েস্টার্ন ক্যাটল ইগ্রেট। যদিও অনেক প্রাণীবিদ এদের দুটো উপ-প্রজাতিকে পূর্ণ প্রজাতি হিসেবে উল্লেখ করেন। এরা এশিয়া, আফ্রিকাইউরোপের আবাসিক পাখি হলেও বিগত শতাব্দীতে এরা সমগ্র পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়েছে।

গো বক
Eastern Cattle egret
পূৰ্ণবয়স্ক গো বক
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য:অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব:কর্ডাটা (Chordata)
গোষ্ঠী:ডাইনোসরিয়া (Dinosauria)
গোষ্ঠী:সরিস্কিয়া (Saurischia)
গোষ্ঠী:থেরোপোডা (Theropoda)
গোষ্ঠী:Maniraptora
গোষ্ঠী:আভিয়ালে (Avialae)
শ্রেণি:এভিস (Aves)
বর্গ:Pelecaniformes
পরিবার:Ardeidae
উপপরিবার:Ardeinae
বোনাপার্ত, ১৮৫৫
গণ:Bubulcus
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
প্রজাতি:B. ibis
দ্বিপদী নাম
Bubulcus ibis
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
Subspecies

B. i. ibis (লিনিয়াস, ১৭৫৮)
B. i. coromandus (Boddaert, 1783)
B. i. seychellarum (Salomonsen, 1934)

Range of B. ibis      breeding     non-breeding     year-round
প্রতিশব্দ

Ardea ibis Linnaeus, 1758
Ardeola ibis (Linnaeus, 1758)
Bubulcus bubulcus
Buphus coromandus (Boddaert, 1783)
Cancroma coromanda (Boddaert, 1783)
Egretta ibis (Linnaeus, 1758)
Lepterodatis ibis (Linnaeus, 1758)

বর্ণনা

এই পাখিরা খুবই চুপচাপ স্বভাবের। শুধুমাত্র দলের কাছে গেলে গলার মধ্য থেকে রিক র‍্যাক ধরনের আওয়াজ করে। এদের ডানার বিস্তৃতি ৮৮-৯৬ সেমি, লম্বায় এরা ৪৬-৫৬ সেমি এবং ওজনে ২৭০-৫১২ গ্রাম। এদের কাঁধ অপেক্ষাকৃত খাটো ও মোটা। সাধারণত এদের পালক সাদা, হলুদ চঞ্চু, ধূসর-হলদেটে পা। প্রজনন মৌসুমে এদের কোন কোন অংশের পাখির পালক কমলা বর্ণ ধারণ করে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম হলেও আকারে পুরুষ পাখি কিছুটা বড় হয়।

শ্রেণিবিন্যাস

১৭৫৮ সালে লিনিয়াস তার সিস্টেমা ন্যাচারাই গ্রন্থে গো বককে আরডি আইবিস হিসেবে উল্লেখ করেন। ১৮৫৫ সালে চার্লস লুসিয়ান বোনাপার্ট এদেরকে বর্তমান গণ নাম বিউবুলকাসে স্থানান্তর করেন। লাতিন বিউবুলকাস অর্থ রাখাল, গরুর সাথে এই পাখির সম্পর্কের কারণেই এই নাম। আর প্রজাতি নাম আইবিস শব্দটি লাতিন ও গ্রীক। এর অর্থ সাদা পাখি।

আবাসস্থল

একটি গরুর সাথে কয়েকটি গো বক, জামালপুর, বাংলাদেশ

এদের আদিভূমি দক্ষিণ স্পেনের অংশবিশেষ ও পর্তুগাল, ট্রপিক্যাল এবং সাব ট্রপিক্যাল আফ্রিকা, হিউমিড ট্রপিক্যাল ও সাব ট্রপিক্যাল এশিয়া। ১৯ শতকের শেষের দিকে আফ্রিকার দক্ষিণে এরা ছড়িয়ে পড়া শুরু করে। ১৯০৮ সালে এদেরকে কেপ প্রভিন্সে দেখা যায়। আমেরিকার মধ্যে ১৮৭৭ সালে এদের গায়ানা ও সুরিনামে দেখা যায়। সম্ভবত এরা অতলান্তিক সাগর উড়ে পার হয়ে যায়। ১৯৪১ সালে উত্তর আমেরিকা ও ১৯৬২ সালে এদের কানাডায় দেখা যায়।

স্বভাব

গো বক ঘাসফড়িং, ঝিঁঝিঁপোকা, গঙ্গাফড়িং সহ বিভিন্ন পতঙ্গ, মাকড়শা, ব্যাঙ, কেঁচো সহ নানারকম মথ খেয়ে থাকে। কালেভদ্রে এদেরকে বটবৃক্ষে পাকা ফলের সন্ধান করতে দেখা যায়। এদেরকে প্রায়শই গবাদি পশুর পালের সাথে দেখা যায়। গবাদি পশুকে উত্যক্তকারী কীটপতঙ্গ ধরে খায় এরা। এক নিরীক্ষায় দেখা গেছে একাকী পোকা ধরার তুলনায় গবাদিপশুর উপস্থিতিতে পতঙ্গ ধরায় এরা ৩.৬ গুণ বেশি সফল হয়।

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ

  • টেমপ্লেট:NeotropicalBirds
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী