গুরুপ্রসাদ দাস

গুরুপ্ৰসাদ দাস (ইংরেজি: Guru Prasad Das) (জন্ম-১২-০২-১৯০৪, মৃত্যু-১৯-২-১৯৮২[১][২]) বিংশ শতাব্দির প্ৰথম দিকে জন্মগ্রহণ করা অসমীয়া বিজ্ঞানী ছিলেন । বরপেটায় জন্মগ্ৰহন করা গুরুপ্ৰসাদ দাস অসহযোগ আন্দোলন এ জড়িত হয়ে কলকাতায় চলে যান এবং হাইস্কুলের শিক্ষা শেষ করে ইংলেণ্ডে গিয়ে মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্ৰশিক্ষন নেন। প্ৰশিক্ষণ কালে কয়েকটা যন্ত্ৰ আবিষ্কার করে তিনি সুখ্যাতি লাভ করেন। রেলের জন্য আবিষ্কার করা নতুন ব্ৰেক পদ্ধতি ছিল গুরুপ্ৰসাদ দাসের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। গুরুপ্ৰসাদ দাসের আবিষ্কর করা ভেকুয়াম (বায়ুশূণ্য) ব্ৰেক পদ্ধতিকে "জি.পি. ব্ৰেক" বলা হয়। তাকে "Associated Member of Institute of Mechanical Engineers" উপাধিতে সম্মান জানানো হয়েছে।

গুরুপ্রসাদ দাস
জন্ম
গুরুপ্ৰসাদ দাস

(1904-02-12) ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৪ (বয়স ১২০)
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ১৯, ১৯৮২(১৯৮২-০২-১৯)
জাতীয়তা ভারত
দাম্পত্য সঙ্গীচঞ্চলা রাহা
সন্তানবাসুদেব(পুত্ৰ)
রণদেব (পুত্ৰ)
পিতা-মাতারামপ্ৰসাদ দাস (পিতা)
পদ্মাবতী দাস (মাতা)

প্ৰারম্ভিক জীবন

১৯০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ঐতিহ্যমন্ডিত বরপেটার বিলরতারী হাটীর মরানদীর তীরে গুরুপ্ৰসাদ দাসের জন্ম হয়। গুরুপ্ৰসাদের পিতা রামপ্ৰসাদ দাস এবং মাতা পদ্মাবতী দাস। যিনি অঞ্চলটিতে একজন নাম করা উকীল ছিলেন।

শিক্ষা

প্ৰাথমিক বিদ্যালয় থেকে ভালভাবেই শিক্ষা লাভ ক্রার পর গুরুপ্ৰসাদকে বরপেটা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ভর্তি করা হয়। সেই সময় থেকেই তিনি পড়া শুনার প্ৰতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। ফলে তিনি পড়া-শুনাতে কৃতিত্ব প্ৰদৰ্শন করতে অক্ষম হন। শ্ৰেণীর ভূগোল এর শিক্ষক ‘’’ভোগরাম নাথ’’’ গুরুপ্ৰসাদের নাম দেন ‘গরু’ এবং সেই নামেই তিনি ক্লাসে পরিচিত হয়ে পরেছিলেন। সেই সময়ে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে আরম্ভ হওয়া অসহযোগ আন্দোলন তীব্ৰরুপ ধারণ করেছিল। অষ্টম শ্ৰেণীতে তিনি পড়ালেখা রেখে অন্দোলনে যোগ দিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে কলিকতা চলে যান।[২]

বিদেশ যাত্ৰা

কলকাতায় একজন অসমীয়া লোকের গেরেজে যোগালি কাজ জুটে । কিছুদিন গেরেজে কাজ করার পরে নৈশ স্কুলে ভর্তি হন। ১৯২৪ সালে তিনি হাইস্কুলের শিক্ষা শেষ করেন। অল্প দিনের মধ্যেই তিনি মোটর-গাড়ীর যথেষ্ট কারিগরি জ্ঞান আয়ত্ত করেন। সেই সময়ে গেরেজে মোটরগাড়ী ঠিক করানোর জন্য একজন ইংরেজ লোক আসে। সে গুরুপ্ৰসাদের কৰ্মনিষ্ঠা এবং কৰ্মদক্ষতা দেখে তার কোম্পানী (“বার্ন এন্ড কোম্পানী” তে চাকুরীর পরামর্শ দেয়। এর কিছু দিন পরেই ইংরেজ লোকটি তাকে ইংলেণ্ড পাঠিয়ে দেয়। গুরুপ্ৰসাদ নতুন জীবনের সন্ধানে ইংলেণ্ড যাত্ৰা আরম্ভ করে ১৯২৫ সালে “ইনষ্টিটিউট অব মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং’এ” প্ৰশিক্ষন নেন। তিনি সেই সময়ে আবিষ্কার করেন কয়েকটা যন্ত্ৰ। তার মধ্যে একটা ছিল চলন্ত রেলের গতিবেগ কমানোর জন্য “এসক্ৰাফট কাট অব কন্ট্ৰল গেজ”। ব্ৰিটিশ কোম্পানী সেই যন্ত্ৰটা পেটেন্ট করেছিল। অন্য একটা আবিষ্কার হল বয়লার এবং "সেফটি ভালভ"। এটি পেটেন্ট করেছিল নিউয়ৰ্ক এর “মেনিং মেক্সওয়েল এন্ড মোর” নামের কোম্পানী[৩]

গুরুপ্ৰসাদ দাসের একটা প্ৰধান আবিষ্কার হল রেলের নতুন ব্ৰেক পদ্ধতি। গুরুপ্ৰসাদ দাসের নিৰ্মাণ করা উক্ত ব্ৰেক-এর নাম তার নামে 'জি.পি.ব্ৰেক' করা হয়, এবং এই বায়ুশূন্য ব্ৰেক (ভেকুয়াম ব্ৰেক) রেল-গাড়ীতে প্ৰয়োগ করা আরম্ভ করে। এজন্য তাকে "Associated Member of Institute of Mechanical Engineers" উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

কৰ্মজীবন এবং বিবাহ

১৯৩১ সালে তাকে পূর্ব ভারতের রেলসেবা বিভাগের উচ্চপদস্থ চাকরিতে যোগ দেয়া হয়। কয়েক বছর পর তিনি বাৰ্মা তেল কোম্পানীতে যোগ দেন। ১৯৩২ সালে তিনি চঞ্চলা রাহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার পরে তাকে ভারত সরকার কাণপুরে অবস্থিত অস্ত্ৰভাণ্ডারের পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত করে। সেই সময়ে তিনি সামরিক বিভাগ থেকে “কৰ্ণেল” উপাধি লাভ করেন। অবসরের আগে তিনি কয়েকটা কোম্পানীর সঞ্চালক হিসাবে কাৰ্যনিৰ্বাহী ছিলেন। কলকাতার নিগাজীতে তিনি বাস করতেন।[২]

মৃত্যু

১৯৮২ সালে তিনি স্ত্রীসহ দুই পুত্ৰ বাসুদেব এবং রণদেবকে রেখে পরলোকগমন করেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী