গণমাধ্যম

জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম ।

গণমাধ্যম হচ্ছে সংগৃহীত সকল ধরনের মাধ্যম, যা গণযোগাযোগ কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সম্প্রচার মাধ্যম যা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া নামে পরিচিত, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে তাদের তথ্যাবলী প্রেরণ করে। টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ইন্টারনেট,রেডিও বা বেতার, সিডি, ডিভিডি এবং অন্যান্য সুবিধাজনক ছোট ও সহায়ক যন্ত্রপাতি যেমনঃ ক্যামেরা বা ভিডিওচিত্রের সাহায্যে ধারণ করা হয়।পাশাপাশি মুদ্রিত মাধ্যম হিসেবে সংবাদপত্র, , ব্রোশিওর, নিউজলেটার, বই, লিফলেট, পাম্পলেটে বাহ্য বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়। এতে ফটোগ্রাফী বা দৃশ্যমান উপস্থাপনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।[১][২] টেলিভিশন কেন্দ্রে অথবা পাবলিশিং কোম্পানী গণমাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত হয়ে সংগঠনরূপে আধুনিক প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করে থাকে।[৩][৪]মোবাইল বা সেল ফোন, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটকেও অনেক সময় নতুন-যুগের গণমাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইন্টারনেট স্বীয় ক্ষমতাবলে ইতোমধ্যেই অন্যতম গণমাধ্যম হিসেবে ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ মাধ্যমে অনেক প্রকার সেবা - বিশেষ করে ই-মেইল, ওয়েব সাইট, ব্লগিং, ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের প্রচারকার্য পরিচালনা করছে।এ কারণে অনেক গণমাধ্যমের পদচারণা ওয়েব সাইটে দেখা যায়। টেলিভিশন বিজ্ঞাপনচিত্রকে ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করা হয়েছে কিংবা খেলাধূলাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদেরকে তাদের ওয়েবসাইট দেখতে উদ্বুদ্ধকরণে ঠিকানা প্রকাশ করে। বাইরের মাধ্যম হিসেবে বিলবোর্ড, সাইন, প্লাকার্ডকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবনের ভিতরে ও বাইরে যেখানে অধিক দোকান-পাট/বাসের ব্যস্তমূখর পরিবেশে উপস্থাপন করা হয়।[৫] জনসভা এবং বিশেষ ঘটনায় সমবেত ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানও গণমাধ্যমের একটি ধরন।[১]

গণমাধ্যম

সংজ্ঞার্থ নিরূপণ

বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে গণমাধ্যমকে প্রধান ৮টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো - বই, সংবাদপত্র, সাময়িকী, ধারণ যন্ত্র, রেডিও, সিনেমা, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট। বিংশ শতকের শেষ এবং একবিংশ শতকের শুরুতে গণমাধ্যমের প্রকারভেদ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, গণমাধ্যমের বিভাজন সুস্পষ্টভাবে আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যেই সেল ফোন, ভিডিও গেম এবং কম্পিউটার গেমসকে গণমাধ্যম হিসেবে উপস্থাপনা করায় বিতর্ক চলছে। বিংশ শতাব্দীতে সেভেন মাস মিডিয়া নামে গণমাধ্যম পরিচিত ছিল। সে ধারায় বর্তমান ৭টি গণমাধ্যম হলো -

  1. মুদ্রিত (বই, পাম্পলেট বা ক্ষুদ্র পুস্তক, সংবাদপত্র, সাময়িকী প্রভৃতি) মাধ্যম যা পঞ্চদশ শতক থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে।
  2. ধারণ যন্ত্র বা রেকর্ডিং (গ্রামোফোন রেকর্ড, ম্যাগনেটিক ট্যাপ, ক্যাসেট, কার্ট্রিজ, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি) মাধ্যম যা ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে প্রচলিত।
  3. সিনেমা যা ঊনবিংশ শতক থেকে প্রচলিত।
  4. রেডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে যা ১৯১০ সাল থেকে প্রচলিত।
  5. টেলিভিশন সম্প্রচার ব্যবস্থা যা ১৯৫০ সাল থেকে প্রচলিত।
  6. ইন্টারনেট ব্যবস্থা যা ১৯৯০ সাল থেকে প্রচলিত।
  7. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যা ২০০০ সাল থেকে গণমাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

প্রত্যেকটি গণমাধ্যমই তাদের স্বতন্ত্রতা, সৃষ্টিশীলতা, প্রযুক্তিকৌশলসহ নিজস্ব ব্যবসায়িক গুরুত্ব ও আবেদন প্রয়োগ করেছে। যেমনঃ ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ওয়েবসাইট, ব্লগ, পডকাস্টসহ আরো নানাবিধ প্রযুক্তিকৌশল প্রয়োগ করায় সাধারণভাবে নেটওয়ার্কিং জগতে শীর্ষস্থান দখল করেছে।

৬ষ্ঠ এবং ৭ম মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেট এবং মোবাইলকে প্রায়শঃই ডিজিটাল মিডিয়ারূপে আখ্যায়িত করা হয়। ৪র্থ এবং ৫ম মাধ্যম হিসেবে যথাক্রমে রেডিও ও টেলিভিশনকে ব্রডকাস্ট মিডিয়া বা সম্প্রচার মাধ্যমরূপে বিবেচিত। কেউ কেউ ভিডিও গেমসকেও গণমাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছেন।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী