খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার (সবার কাছে এই নামে পরিচিত) বাংলাদেশের বিশ্ববিদালয়ের গ্রন্থাগারসমূহের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাগার।[১][২] এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই অবস্থিত। এটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য এটি ১৯৯০ এর দশকে নির্মাণ করা হয়েছে।[৩] এই গ্রন্থাগারে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার বই রয়েছে এবং কিছু বইসমূহ নিদিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য অনলাইনে পাঠ করার সুযোগ রয়েছে।[২][৪] এই গ্রন্থাগারের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিকের নাম এস এম আব্দুল লতিফ। এটি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ডিজিটাল লাইব্রেরির অধিভুক্তি রয়েছে।[৫][৬]
দেশ | বাংলাদেশ |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৮৫ |
অবস্থান | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কুষ্টিয়া |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৩′২৬″ উত্তর ৮৯°০৯′০১″ পূর্ব / ২৩.৭২৩৯৬৪৮° উত্তর ৮৯.১৫০৩৫৯০° পূর্ব |
সংগ্রহ | |
সংগৃহীত আইটেম | বই, সাময়িকী, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ডেটাবেস, মানচিত্র, এবং পাণ্ডুলিপি |
আকার | ১ লক্ষ ৮ হাজার |
প্রবেশাধিকার ও ব্যবহার | |
সদস্য | বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ডিজিটাল লাইব্রেরী |
অন্যান্য তথ্য | |
পরিচালক | এস এম আব্দুল লতিফ (ভারপ্রাপ্ত) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
মানচিত্র | |
ইতিহাস
এই গ্রন্থাগারটি নির্মাণে সাহায্য করেছিলো সৌদি আরবের পঞ্চম বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ, এজন্য গ্রন্থাগারের নামকরণ করা হয়েছে এই বাদশাহ নামে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই লাইব্রেরির অনলাইনে আধুনিকরনের কাজ শুরু হয়, এবং বর্তমানে কাজ চলছে।[৭]
প্রশাসন
গ্রন্থাগারটি পরিচালনার জন্য ২৯ জন অফিসার, ৩৪ জন কার্যনির্বাহক, ৬৩ জন স্টাফ রয়েছে। গ্রন্থাগারের প্রধান পদ হলো পরিচালক, বর্তমান পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এস.এম আব্দুল লতিফ।
সুযোগ-সুবিধা
এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭১টা পিএইচডি গবেষণাপত্র এবং ৫৪৭টা এমফিল গবেষণাপত্র সংগ্রহ করা রয়েছে। এছাড়াও গ্রন্থাগারে নিয়মিতভাবে বাংলা ও ইংরেজি ভাষার দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা রাখা হয়। এছাড়াও বিদেশি সাপ্তাহিক ও মাসিক বিদেশি ম্যাগাজিন রাখা হয়। গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, একুশে কর্নার নামে আলাদা আলাদা সেকশন রয়েছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ও ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বইয়ের সংগ্রহশালা রয়েছে।
গ্রন্থাগারের ১ লক্ষ ৮ হাজারের অধিক বই রয়েছে। এছাড়া ৩০ হাজার বইয়ের পাণ্ডুলিপি রয়েছে এবং বিভিন্ন ভাষার উপর ১৯০০০ এর অধিক বিদেশি জার্নাল রয়েছে।[৮] এই গ্রন্থাগারে মোট উল্লেখযোগ্য ১৩ ধরনের প্রকাশনার রয়েছে সেগুলো হলো।
- ACM
- Emerald
- JSTOR
- IEEE
- Wiley
- Cambridge University Press
- McGraw-Hill
- Oxford University Press
- Pearson Education
- SAGE
- Springer
- T&F
- World Scientific
এই লাইব্রেরিতে কেবল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে।[৯] অনলাইনের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে গ্রন্থাগারের সমস্ত বই অনলাইনে পড়া যাবে এবং গুগল সার্চ দিয়ে অনুসন্ধান করা যাবে।[১০] এবং বইয়ের যেকোনো একটিমাত্র তথ্য দিয়েই বইটির নাম, লেখক, প্রকাশনী, পৃষ্ঠা সংখ্যা, ভলিউম সাইজ বের করা যাবে।[১১] এছাড়াও বার কোড ও আইএসবিএন অনুযায়ী বইটি অনুসন্ধান করা যাবে।[১২][১৩] লাইব্রেরিটি বিশ্ববিদ্যালয় সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।[১৪]