ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৬৯ ― ১৭ অক্টোবর ১৯৩৭) ছিলেন আদি ব্রাহ্মসমাজের কর্মী, সংস্কৃত পণ্ডিত এবং বিশিষ্ট লেখক।[১][২]
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর | |
---|---|
জন্ম | জোড়াসাঁকো কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৬৯
মৃত্যু | ১৭ অক্টোবর ১৯৩৭ কলকাতা, বৃটিশ ভারত | (বয়স ৬৮)
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
সন্তান | বাণী চট্টোপাধ্যায় (কন্যা) |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর বৃটিশ ভারতের অধুনা কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। পিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেজোদাদা হেমেন্দ্রনাথ এবং মাতা নীপময়ী দেবী। পড়াশোনা সংস্কৃত কলেজে এবং প্রেসিডেন্সি কলেজে। সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তির জন্য তিনি তত্ত্বনিধি উপাধি লাভ করেন। তিনি আদি ব্রাহ্মসমাজের কর্মী এবং ব্রাহ্মসমাজের চিৎপুরস্থ মন্দিরের অন্যতম অছি ছিলেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে টানা আট বৎসর তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদনা করেন। ব্রাহ্মসমাজের কাজকর্ম, লেখালেখি ছাড়াও সঙ্গীতচর্চা করতেন তিনি। হবিঃ শীর্ষক গ্রন্থে তাঁর সঙ্গীতচর্চার নিদর্শন পাওয়া যায়।
তাঁর রচনাবলীতে ধর্মগ্রন্থ ও কাব্যগ্রন্থ দুই-ই আছে। উল্লেখযোগ্য রচনা গ্রন্থগুলি হল:
- কাব্যগ্রন্থ ―
- আঁখিজল (১৯১৯)
- স্বস্তিকা (১৯২০)
- ধর্মবিষয়ক ―
- অধ্যাত্মধর্ম ও অজ্ঞেয়বাদ
- ব্রাহ্মধর্মের বিবৃতি (১৯১০)
- ব্রাহ্মধর্মের প্রকৃতি (১৯২৪)
- জ্ঞান ও ধর্মের উন্নতি (১৮৯৩)
- শ্রীভগবৎ কথা
- মায়ে পোয়ে
- ওঁ পিতা নোহসি (১৯১৪)
- অন্যান্য ―
- আলাপ (১৯১০)
- প্রাণের কথা
- রাজা হরিশ্চন্দ্র
- আদিশূর ও ভট্টনারায়ণ
- আর্যরমণীর শিক্ষা ও স্বাধীনতা
- কলকাতার চলাফেরা সেকালে আর একালে
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা বাণী চট্টোপাধ্যায়ের দৌহিত্র ড.সুনৃত মল্লিক ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোটবুক সম্প্রতি সটীক সম্পাদনা করেছেন।[৩]
জীবনাবসান
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই অক্টোবর ৬৮ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন।