ক্যাপোটি (চলচ্চিত্র)

ক্যাপোটি ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ও বিখ্যাত লেখক ট্রুম্যান ক্যাপোটির উপর নির্মিত একটি জীবনীধর্মী চলচ্চিত্র। বেনেট মিলার ছবিটি পরিচালনা করেছেন। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত ক্যাপোটির বাস্তব কাহিনীমূলক বা নন-ফিকশন গ্রন্থ ইন কোল্ড ব্লাড-এ বর্ণিত ঘটনা এ ছবিতে চিত্রায়িত হয়েছে। ফিলিপ সিমোর হফম্যান ক্যাপোটি চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেন। এজন্য তিনি অস্কার-সহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। জেরাল্ড ক্লার্কের ১৯৮৮ সালের গ্রন্থ ক্যাপোটি অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। প্রধানত ২০০৪ সালের শরতে ম্যানিটোবায় ছবিটির দৃশ্য ধারণ করা হয়। [৩] ২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাপোটির জন্মদিনে ছবিটি মুক্তি পায়।

ক্যাপোটি
Theatrical release poster
পরিচালকবেনেট মিলার
প্রযোজক
  • ক্যারোলিন ব্যারন
  • উইলিয়াম ভিন্স
  • মাইকেল ওহোভেন
চিত্রনাট্যকারড্যান ফুটারম্যান
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারমাইকেল ড্যানা
চিত্রগ্রাহকঅ্যাডাম কিমেল
সম্পাদকক্রিস্টোফার টেলেফসেন
প্রযোজনা
কোম্পানি
  • ইউনাইটেড আর্টিস্টস
  • এ লাইন পিকচার্স
  • কুপারস টাউন প্রোডাকশন
  • ইনফিনিটি মিডিয়া
  • ইগল ভিশন
পরিবেশকসনি পিকচার্স ক্লাসিকস
মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার
মুক্তি
  • ২ সেপ্টেম্বর ২০০৫ (2005-09-02) (Telluride)
  • ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৫ (2005-09-30) (United States)
  • ২৮ অক্টোবর ২০০৫ (2005-10-28) (Canada)
স্থিতিকাল১১৪ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
কানাডা[১]
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$৭ মিলিয়ন [২]
আয়$৫০ মিলিয়ন[২]

কাহিনীসংক্ষেপ

১৯৫৯ সালে ক্যান্সাস অঙ্গরাজ্যে ক্লাটার পরিবারের মৃতদেহ আবিষ্কৃত হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা পড়ার সময় লেখক ট্রুম্যান ক্যাপোটি এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অবগত হন। এর বর্ণনা পড়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনের সম্পাদক উইলিয়াম শনকে বলেন, তিনি এই বিয়োগান্ত ঘটনা নিয়ে গবেষণা করবেন।

ক্যাপোটি ক্যান্সাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তার সঙ্গে আছেন শৈশবের বান্ধবী নেলি হার্পার লি। তিনি ক্লাটার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকার নিতে চান। নেলি তাকে সহযোগিতা করবেন। অ্যালভিন ডিউয়ি ক্যান্সাস তদন্ত ব্যুরোর কর্মকর্তা এ মামলাটি সমাধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। ক্যাপোটিকে তিনি প্রথমে পাত্তাই দেন না। কিন্তু ডিউয়ির স্ত্রী মেরি ক্যাপোটির লেখার একজন ভক্ত। তিনি তার স্বামীকে ক্যাপোটি ও লি-কে নৈশভোজের আমন্ত্রণের অনুরোধ জানান।

ক্যাপোটির চলচ্চিত্রবিষয়ক গল্প মেরিকে বিমোহিত করে। একসময় তার স্বামীরও ক্যাপোটির প্রতি মন গলতে শুরু করে। একসময় তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের আলোকচিত্র ক্যাপোটিকে দেখতে দেন। যখন খুনের সন্দেহভাজন অপরাধী পেরি স্মিথ ও রিচার্ড ডিক হ্যাকক ধরা পড়ে, তখন ডিউয়ি, লি আর ক্যাপোটি রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। অভিযুক্তদের যে কারাগারে রাখা হয়েছে, সেখানে ক্যাপোটি তোষামোদি, ঘুষ প্রদান ও মানবচরিত্রের অন্তর্দৃষ্টির বিশ্লেষণের মাধ্যমে সহজেই পৌঁছে যায়।

ক্যাপোটি পেরি স্মিথের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেন। তিনি উইলিয়াম শনকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের গল্প নিয়ে তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ বই লিখতে চান। ওয়ার্ডেন মার্শাল ক্রাচকে ঘুষ দিয়ে তিনি নিয়মিত অপরাধীদের সান্নিধ্যে আসতে থাকেন।

ক্যাপোটি স্মিথ ও তার জীবন সম্পর্কে জেনে সমস্ত সময় অতিবাহিত করেন। কিন্তু মাঝখানে এক বছর তিনি স্পেন ও মরক্কো গিয়ে বইয়ের প্রথম তিন অংশ লিখেন। তার সাথে ছিলেন সহচর জ্যাক ডানফি।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী