ক্যাথরিন মার্থা হৌটন হেপবার্ন

মার্কিন নারীবাদী সমাজ সংস্কারক ও নারী ভোটাধিকার আন্দোলনের নেত্রী

ক্যাথরিন মার্থা হৌটন হেপবার্ন (ইংরেজি: Katharine Martha Houghton Hepburn; ২ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৮ - ১৭ মার্চ ১৯৫১) ছিলেন একজন মার্কিন নারীবাদী সমাজ সংস্কারক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীর ভোটাধিকার আন্দোলনের নেত্রী। তিনি কানেটিকাট ওম্যান সাফ্রেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে ন্যাশনাল ওম্যানস পার্টিতে যোগ দেন। মার্গারেট স্যাঙ্গারের সাথে যৌথভাবে তিনি প্ল্যানড পেরেন্টহুড সংগঠন গড়ে তুলেন।[১] তিনি অভিনয়ের জন্য রেকর্ড সংখ্যক একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী ক্যাথরিন হেপবার্নের মাতা।

ক্যাথরিন মার্থা হৌটন হেপবার্ন
ক্যাথরিন মার্থা হৌটন হেপবার্ন
জন্ম
ক্যাথরিন মার্থা হৌটন

(১৮৭৮-০২-০২)২ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৮
মৃত্যু১৭ মার্চ ১৯৫১(1951-03-17) (বয়স ৭৩)
হার্টফোর্ড, কানেটিকাট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনব্রায়ান মাউর কলেজ
পেশানারীবাদী সক্রিয়কর্মী
দাম্পত্য সঙ্গীথমাস নরভাল হেপবার্ন (বি. ১৯০৪; মৃ. ১৯৫১)
সন্তান৬, ক্যাথরিন হেপবার্ন-সহ

প্রারম্ভিক জীবন

ক্যাথরিন মার্থা হৌটন ১৮৭৮ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফালো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পরিবার ও বন্ধুদের নিকট 'কিট' নামে পরিচিত ছিলেন। তার মাতা ক্যারোলিন (প্রদত্ত নাম: গার্লিংহাউজ) ও পিতা আলফ্রেড অগাস্টাস হৌটন। তার নাম রাখা হয় তার মাতামহী মার্থা অ্যান স্পল্ডিং গার্লিংহাউজের নামানুসারে। এডিথ (১৮৭৯-১৯৪৮) ও ম্যারিয়ন (১৮৮২-১৯৬৮) নামে তার দুই ছোটবোন ছিল।

সামাজিক ও সংস্কারমূলক কাজ

হেপবার্ন ভোটাধিকার আন্দোলনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং ১৯০৯ সালে যৌথভাবে হার্টফোর্ড ইকুয়াল ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গঠন করেন। পরের বছর এই সংগঠনটি কানেটিকাট ওম্যান্‌স সাফ্রেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যুক্ত হয় এবং ন্যাশনাল আমেরিকান ওম্যান সাফ্রেজ অ্যাসোসিয়েশনেরর শাখা হিসেবে কাজ করে।[২]

১৯১৩ সালে হেপবার্ন প্রখ্যাত ব্রিটিশ ভোটাধিকারকর্মী এমেলিন পাঙ্কহার্স্টের হার্টফোর্ড সফরের একটি সভার সঞ্চালনা করেন।[৩] এই বছরের শেষভাগে তিনি কানেটিকাট অ্যাসোসিয়েশনের সভানেত্রী হিসেবে কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসনের সাথে সাক্ষাৎ করে "নারীর ভোটাধিকার প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির মতামত" জানতে চান।[২]

ব্যক্তিগত জীবন

১৯২১ সালে ছয় সন্তানসহ ক্যাথরিন মার্থা হৌটন।

১৯০৩ সালে হৌটন টমাস নরভাল হেপবার্নের (১৮৭৯-১৯৬২) সাথে পরিচিত হন। টমাস ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরের জন্স হপকিন্স স্কুল অব মেডিসিনের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯০৪ সালের ৬ই জুন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহোত্তর তারা কানেটিকাটের হার্টফোর্ডে চলে যান এবং টমাস তার শিক্ষায়তনিক সময় শেষ করে হার্টফোর্ড হাসপাতালে ইউরোলজি বিভাগে যোগদান করেন। ক্যাথরিন ও টমাসের ৬ সন্তান ছিল। তারা হলেন:

  • থমাস "টম" হৌটন হেপবার্ন (১৯০৫-১৯২১)
  • ক্যাথরিন হৌটন হেপবার্ন (১৯০৭-২০০৩), চারবারের একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী।
  • রিচার্ড "ডিক" হৌটন হেপবার্ন (১৯১১-২০০০), নাট্যকার
  • রবার্ট "বব" হৌটন হেপবার্ন (১৯১৩-২০০৭), ইউরোলজিস্ট
  • ম্যারিয়ন হৌটন হেপবার্ন গ্র্যান্ট (১৯১৮-১৯৮৬), ইতিহাসবেত্তা, লেখিকা, সমাজকর্মী
  • মার্গারেট "পেগ" হৌটন হেপবার্ন পেরি (১৯২০-২০০৬), গ্রন্থগারিক ও কৃষক।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী