কেন ফ্লাওয়ার
কেন ফ্লাওয়ার' (৩০ জুন ১৯১৪ - ২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭) দক্ষিণ রোডেশীয়া অঞ্চলে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ অধিকৃত সোমালিল্যান্ড এবং ইথিওপিয়ার যুদ্ধ অবসানের পর তিনি রোডেশীয়ায় ফিরে আসেন এবং বিএসএপি-এর উপরের পদগুলোতে দ্রুত পদোন্নতি পেয়েছিলেন। তিনি কেনিয়াতে মাউ মাউ বিদ্রোহ সম্পর্কে পড়াশোনা করেন, এবং লব্ধ জ্ঞান ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে ব্রিটিশ ন্যায়েসাল্যান্ডে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় উপর প্রয়োগ করেন। ১৯৬১ সালের মার্চ মাসে ফ্লাওয়ার বিএসএপি-এর ডেপুটি কমিশনার নিযুক্ত হন এবং পরবর্তীতে রোডেশীয়া এবং পরবর্তীকালে জিম্বাবুয়ের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংস্থাটি তিনি তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন ফিল্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। যদিও সংস্থাটির মূল ধারণা ও উদ্যোগ পূর্বসূরি স্যার এডগার হোয়াইটহেড এর কাছ থেকে এসেছিল। নিজেকে ফ্লাওয়ার একজন অ-রাজনৈতিক ব্যক্তি বলে মনে করলেও, তার মাঝে রোডেশীয়া ফ্রন্টের 'কাউবয় এলিমেন্ট' এর প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।[১] এছাড়া মোজাম্বিকের আদিবাসী ভিত্তিক গেরিলা সংগঠন রেনামো গঠনের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন।[২]
১৯৮০ সালে রবার্ট মুগাবে যখন জিম্বাবুয়ের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার প্রশাসন ফ্লাওয়ারকে সিআইওর প্রধান সহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বহাল রাখেন। [৩]
তিনি সার্ভিং সিক্রেটলি: এন ইন্টেলিজেন্স চিফ অন রেকর্ড, রোডেশিয়া ইনটু জিম্বাবুয়ে ১৯৬৪-১৯৮১, নামক বইটি রচনা করেন, যার প্রকাশ কাল ১৯৮৭।[৪]
বিতর্ক
মার্চ ১৯৭৫ সালে ফ্লাওয়ার জিম্বাবুয়ের আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের নেতা হেরবার্ট চিত্পোর[৪] হত্যার আদেশ দেন বলে দাবী করেন জানু জঙ্গি ফে চুং[৫]।
অভিযোগ রয়েছে যে, ইয়ান স্মিথ একতরফাভাবে রোডেশীয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পরেও ফ্লাওয়ার ব্রিটিশ সরকারের প্রতি তার আনুগত্য বজায় রাখে এবং এমআই ৬ এর হয়ে স্মিথ প্রশাসনের উপর নজর রাখে। [৬]
২০১১ সালে বিবিসি রেডিও ৪ এ প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে লর্ড ওয়েনের সাক্ষ্য প্রচার করা হয়। যেখানে তিনি (লর্ড ওয়েন) রোডেশীয়ার সিআইওর প্রধান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় এমআই ৬ এর হয়ে ব্রিটেনের গুপ্তচর হিসাবে ফ্লাওয়ার কাজ করেছেন বলে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তার পাঠানো রোডেশীয়া পরিকল্পনার মাধ্যমে মুগাবে হত্যার গোপন পরিকল্পনা বানচাল করা হয় এবং স্বাধীনতার পর জিম্বাবুয়ের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে।[৭]