কার্ল হুপার

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

কার্ল লিউলিন হুপার (ইংরেজি: Carl Llewellyn Hooper; জন্ম: ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৬) গায়ানার জর্জটাউনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন কার্ল হুপার। এছাড়াও অফ-স্পিন বোলার হিসেবে ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে গর্ডন গ্রীনিজ, ডেসমন্ড হেইন্স, ম্যালকম মার্শালকোর্টনি ওয়ালশকে সাথে নিয়ে বৈশ্বিক ক্রিকেট অঙ্গনে দলের আধিপত্য বিস্তারে ভূমিকা রেখেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তিনি ২১-বছরেরও অধিক সময় ব্যয় করেন।

কার্ল হুপার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কার্ল লিউলিন হুপার
জন্ম (1966-12-15) ১৫ ডিসেম্বর ১৯৬৬ (বয়স ৫৭)
জর্জটাউন, গায়ানা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯০)
১১ ডিসেম্বর ১৯৮৭ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৩ নভেম্বর ২০০২ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫০)
১৮ মার্চ ১৯৮৭ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই৪ মার্চ ২০০৩ বনাম কেনিয়া
ওডিআই শার্ট নং
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৩-২০০৪ল্যাঙ্কাশায়ার
১৯৮৪-২০০৩গায়ানা
১৯৯২-১৯৯৮কেন্ট
১৯৮৩-১৯৮৭ডেমেরারা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টওডিআইএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা১০২২২৭৩৩৯৪৫৭
রানের সংখ্যা৫,৭৬২৫,৭৬১২৩,০৩৪১৩,৩৫৭
ব্যাটিং গড়৩৬.৪৬৩৫.৩৪৪৭.৬৮৪০.১১
১০০/৫০১৩/২৭৭/২৯৬৯/১০৪১৫/৮৫
সর্বোচ্চ রান২৩৩১১৩*২৩৬*১৪৫
বল করেছে১৩,৭৯৪৯,৫৭৩৪৬,৪৬৪১৯,৭১৮
উইকেট১১৪১৯৩৫৫৫৩৯৬
বোলিং গড়৪৯.৪২৩৬.০৫৩৫.৩০৩৪.৩৭
ইনিংসে ৫ উইকেট১৮
ম্যাচে ১০ উইকেট--
সেরা বোলিং৫/২৬৪/৩৪৭/৯৩৫/৪১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১১৫/–১২০/–৩৭৫/–২৪২/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২২ অক্টোবর ২০১৪

খেলোয়াড়ী জীবন

২০০১ সালে ভারত সফরে তিনি তার সর্বোচ্চ ২৩৩ রানের ইনিংস করেন।[১] টেস্ট ক্রিকেটে তিনি ৫,৭৬২ রান করেছেন। ১০২ টেস্টে ৩৬.৪৬ রান গড়ে ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ২২৭ খেলায় ৩৫.৩৪ রান গড়ে আদর্শ অল-রাউন্ডারের মর্যাদা লাভ করেন।

হুপার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে স্থানীয় গায়ানা দল ও কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট এবং ল্যাঙ্কাশায়ার দলে খেলেছেন। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ১৮ কাউন্টি দলের সবগুলোর বিপক্ষেই সেঞ্চুরি করেছেন।[২]

বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক - উভয়ক্ষেত্রেই পাঁচ হাজার রান, একশত উইকেট, একশত ক্যাচ এবং একশত খেলায় অংশগ্রহণের কীর্তিগাঁথা রচনা করেন যা পরবর্তীতে জ্যাক ক্যালিসও এ সম্মাননা অর্জন করেন।[৩] স্টিভ ওয়াহ তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে লিখেছেন যে, হুপার দ্রুত পায়ের কাজ করতেন ও নির্দয়তার সাথে স্ট্রোক মারতেন।[৪] ইনিংসকে অসম্পূর্ণ রেখেই নিয়মিতভাবে আউট হতেন ও পাশাপাশি তার অমনোযোগীতাও এর প্রধান কারণ ছিল।

খেলার ধরন

ফিল্ডিং চলাকালীন তিনি সচরাচর দক্ষ ফিল্ডার হিসেবে দ্বিতীয় স্লিপে অবস্থান করতেন। অ্যামব্রোস এবং ওয়ালশের বলে অগণিত ক্যাচ পেয়েছেন। তিনজন খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে ১৮টি ভিন্ন ভিন্ন ইংরেজ কাউন্টি দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন।[৫][৬]

অবসর পরবর্তী-জীবন

১৯৯০-এর দশক থেকে অ্যাডিলেডে বসবাস করছেন হুপার। ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ মৌসুমে অ্যাডিলেডের উডভিল ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবে কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তরুণ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান চিহ্নিতকরণে সাগিকর হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ধ্যান-ধারণার বিপক্ষে অবস্থান করেন হুপার। অক্টোবর, ২০১২ সালে তিনি আইপিএল সম্বন্ধে বলেন যে, এটি ক্রিকেটের অন্যতম বৃহৎ ও ভীতিকর ধোঁকাবাজি।[৭]

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
জিমি অ্যাডামস
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০০/০১-২০০২/০৩
উত্তরসূরী
রিডলি জ্যাকবস
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী