কাফো

কাফো, নর্থ ওয়েলসের এঙ্গেলসের ষষ্ঠ শতাব্দির একজন খ্রিস্টান ধর্মালম্বী, যাকে সাধক এবং শহীদ হিসেবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়ে থাকে। উত্তর ব্রিটেনের এক রাজার, যিনি এঙ্গেলসেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, ছেলে কাফো সেন্ট কাবির সহযোগি ছিলেন এবং নিজের কাপড় পুড়া ছাড়াই তিনি নিজ জামার পকেট কাবির জন্য একটি তপ্ত লাল কয়লা বহন করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে। কাবিকে ছেড়ে যাওয়ার পর, সম্ভবত কাফোর বড় ভাই স্থানীয় শাসককে অপমান করার প্রতিশোধ হিসেবে এঙ্গেলসের দক্ষিণের মেষপালকরা কাফোকে হত্যা করে। যে এলাকায় তার মৃত্যু হয়, সেখানে একটি গ্রাম, ক্লাঙ্গাফো, ছিল যা তার নাম অনুসারে নামকরণ করা হয় এবং সে সাথে প্যারিশের স্যান্ট কাফো গির্জার নামকরণও করা হয়।

জীবনী এবং শাহাদাত

স্যান্ট কাফো গির্জা যা তার মৃত্যুর স্থান ক্লাঙ্গাফোর খুব নিকটেই অবস্থিত।

কাফো সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে খুব কম জিনিসই মানুষে জানা রয়েছে; কোন সূত্রেই তার জন্ম এবং মৃত্যু তারিখের উল্লেখ নেয়। তাকে সেন্ট কউয়ের, উত্তর ব্রিটেনেররাজা যিনি এঙ্গেলসেতে নিজের রাজত্ব এবং নিজ পরিবারে নিরাপত্তা হারিয়েছিলেন; শাসক মায়েগন গুয়েনাস তাকে টিরছিলেন জেলার একটি দ্বীপকুঞ্জের উত্তর-পূর্ব দিকে কিছু ভূমি দান করেছিলেন, এর সন্তানদের একজন হিসেবে বলা হয়ে থাকে। কাফো সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে খুব কম জিনিসই মানুষে জানা রয়েছে; কোন সূত্রেই তার জন্ম এবং মৃত্যু তারিখের উল্লেখ নেয়। তাকে সেন্ট কউয়ের, উত্তর ব্রিটেনের রাজা যিনি এঙ্গেলসেতে নিজের রাজত্ব এবং নিজ পরিবারে নিরাপত্তা হারিয়েছিলেন; শাসক মায়েগন গুয়েনাস তাকে টিরছিলেন জেলার একটি দ্বীপকুঞ্জের উত্তর-পূর্ব দিকে কিছু জমি দান করেছিলেন, সন্তানদের একজন হিসেবে বলা হয়ে থাকে। [১] কাফোর আত্বীয়গণের মধ্যে রয়েছে তার চাচা সেন্ট লেসটিন এবং সেন্ট সিনগারসহ (কউয়ের ভাই), তার বোন সেন্ট কওলেজ এবং সেন্ট গিলডাসসহ কয়েকজন ভাই (যদি বিভিন্ন পান্ডুলিপিতে তার আপন ভাই বোনের সংখ্যা ১০ থেকে ২১ পযন্ত লিপিবদ্ধ রয়েছে)।[১][২][৩]

কাফো তার চাচাতো ভাই কাবি, কর্নত্তয়ালের একজন খ্রীষ্টধর্মাবলম্বী যিনি ষষ্ঠ শতাব্দিতে সক্রিয় ছিলেন, এর সঙ্গী ছিলেন। কাবি নিজেকে এঙ্গেলসের একটি পরিত্যক্ত রোমানীয় কেল্লাতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন যা এখন হোলিহেড হিসেবে পরিচিত (ওয়েলশ শহরটির নাম কওয়েরজিবা বা ""কাবির কেল্লা বা দুর্গ")।[৪] কাফো ১২০০ খ্রিস্টাব্দের একটি পান্ডুলিপিতি কাবির সাথে কাফোর সম্পর্কের উল্লেখ রয়েছে, যেখানে কাবির জীবনের দুইটি অধ্যায় রয়েছে।[৩][৫] কামারের দোকান থেকে আগুন ধরানোর ঘটনাটির আগ পযন্ত কাবির জীবনে কাফোর সাথে সম্পর্কের কোন উল্লেখ নেই। তিনি কামারের দোকান থেকে কাবির জন্য নিজের পোশাকের মধ্যে, যা একটুও পোড়েনি, কাবির জন্য তপ্ত লাল গরম কয়লা নিয়ে ফিরে আসেন।[৩][৬]

কিছু ক্ষেত্রে, সম্ভবত তাদের মধ্যে মতভেদের কারণে কাবি এবং কাফো পৃথক হয়ে পড়ে, কিন্তু সম্ভবত তার ভাই গিলডাস মায়েলগনকে, যিনি পরবতীতে কাবিকে তার জীবনের উভয় অধ্যায়ের পান্ডুলিপি থেকে কাফোকে বাদ দিতে বাধ্য করেন, অপমানের কারণেও হতে পারে। তারপর, তিনি এঙ্গেলসের দক্ষিণাঞ্চলে চলে আসেন, যেখানে নিউবরাহ এলাকার কিছু মেষপালক সম্ভবত তাদের রাজার অপমানের প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা করে।[৩]

স্মৃতিরক্ষণ

কাফোর মৃত্যুর স্থানটি কিছু ক্ষেত্রে ক্লাগাফো নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে, এবং সেখানে একটি গির্জা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে: ওয়ালেশীয় শব্দ ক্লান (একটি জায়গার নাম) এর মূল অথ হচ্ছে সীমানা এবং তারপর "গির্জা", এবং "-গাফো" একজন সাধকের নামের বিশেষায়িত রূপ।[৩][৭] এটি কল্পনা করা হয়ে থাকে যে, ঐ স্থানের কোন একটি জায়গায় একটি আশ্রম ছিল, যা "মারথির কাফো" বা "শহীদ কাফো" নামে পরিচিত (মারথির বা Merthyr শব্দটি ওয়ালেশীয় শব্দ যার ইংরেজি রূপ হচ্ছে "martyr" এবং বাংলা রূপ হচ্ছে শহীদ)।[৮] কাফো সাধক হিসেবে সম্মানিত হয়ে থাকে, যদিও কোন পোপ দ্বারা তিনি কখনও অনুমোদিত সাধকের পদ লাভ করেননি: ঐতিহাসিক জেন কারটরাইটের মতে, "ওয়ালেশে স্থানীয়ভাবে সাধুতা বা ধমপরায়ণতার স্বীকৃতি দেয়া হত এবং মধ্যযুগীয় কোন ওয়ালেশীয় সাধককেই কোন রোমান ক্যাথলিক গির্জা দ্বারা কখনই স্বীকৃতপ্রাপ্ত হতে দেখা যায় না।"[৯]

সবপ্রথম কখন "ক্লাঙ্গাফো" নামটি ব্যবহৃত হয় বা সবপ্রথম কখন গির্জাটি স্থাপিত হয়েছিল তা নিশ্চিত করা বলা যায় না, তবে তা ছিল ১২৫৪ এর আগে, যখন গির্জাটি এবং ঐ সম্প্রদায়টি নরউইচ টেক্সাশনে (গির্জার নাম এবং সম্পত্তি জরিপ করার একটি জাতীয় জরীপ সংস্থা) লিপিবদ্ধ ছিল। ঐ গ্রামটিতে এখনো একটি গির্জা রয়েছে যা কাফো উৎসগ করা হয়েছে, যা ওয়ালেশে প্রাথনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[১০]

কাফোর ঐ এলাকায় সাড়া জাগানো একটি "পবিত্র কূপ" রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে, যা ক্রোচান কাফো ("কাফোর কড়াই") বা ফিফিননুন কাফো ("কাফোর কূপ")। পিতামাতারা গির্জার তত্ত্বাবধানে থাকা যাজকদের বড় বড় পাখি ভক্ষণের জন্য উপহান দিয়ে থাকেন, যাতে তাদের সন্তানরা বিকৃতিবুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। নিকটস্থ একটি খামারের নাম এখনো পযন্ত কূপটির নাম অনুসারে রয়েছে, যদিও কূপটি ইতিমধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গেছে।[৩][১১]

তথ্যসূত্র

পাদটীকা
বিবিওলিগ্রাফি
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী