কল্পনা মোহন

অভিনেত্রী

কল্পনা (১৮ই জুলাই ১৯৪৬ - ৪ঠা জানুয়ারি ২০১২; অর্চনা মোহন হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি ১৯৬০-এর দশকে হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন। তিনি ১৯৬২ সালে শাম্মী কাপুরের সাথে প্রফেসর, ১৯৬৬ সালে শশী কাপুর এবং কিশোর কুমারের সাথে প্যায়ার কিয়ে জা, দেব আনন্দের সাথে তিন দেবিয়াঁ, প্রদীপ কুমারের সাথে সহেলী এবং ফিরোজ খানের সাথে তসবীর এবং তিসরা কৌন নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অবনী মোহনের বিপ্লবী কন্যা কল্পনা মোহন, পণ্ডিত শম্ভু মহারাজের অধীনে একজন প্রশিক্ষিত দক্ষ কত্থক নৃত্যশিল্পী ছিলেন। তিনি তার পরিবারের সাথে পুনেতে বসবাস করতেন।[১]

কল্পনা মোহন
জন্ম
কল্পনা মোহন

(১৯৪৬-০৭-১৮)১৮ জুলাই ১৯৪৬
মৃত্যু৪ জানুয়ারি ২০১২(2012-01-04) (বয়স ৬৫)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৬২–৬৭

প্রারম্ভিক জীবন

কল্পনা মোহন ১৯৪৬ সালের ১৮ই জুলাই তারিখে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে অর্চনা মোহন নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা অবনী মোহন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ও কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি ছিলেন।[২] তিনি একজন প্রশিক্ষিত কত্থক নৃত্যশিল্পী ছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে যখনই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আসতেন তখনই জওহরলাল নেহ্‌রু তাঁকে নৃত্যের জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন

কল্পনা দুই বার বিবাহ করেছিলেন। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, তিনি চিত্রনাট্যকার এবং চলচ্চিত্র পরিচালক শচীন ভৌমিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দ্রুতই বিবাহ বিচ্ছেদ করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে, তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন অফিসারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের একটি মাত্র কন্যা ছিল। ১৯৭২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল।[৪] তিনি একা নিজের মেয়েকে বড় করে তোলা সত্ত্বেও, যথাসম্ভব তার সর্বোত্তম শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি কিছু সময়ের জন্য মুম্বইয়ে কাজ করেছিলেন কিন্তু মেয়ের যত্ন নেওয়ার জন্য তিনি অভিনয় করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, তিনি পুনের পূর্ব অঞ্চলের কল্যাণী নগরে চলে এসেছিলেন এবং চিকিৎসকরা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য একটি পরিষ্কার স্থানের পরামর্শ দেওয়ার পরে সেখানে তিনি তাঁর বাকি জীবনকাল কাটিয়েছেন। তাঁর মেয়ে বিয়ে করে স্বামীর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। কল্পনা একাই পুনেতে থাকতেন এবং এভাবে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।[৩]

মৃত্যু

২০১১ সালে, তিনি পুনের খড়ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে তিন ব্যক্তি তাঁর স্বাক্ষর জাল করে একটি মিথ্যা স্মারকলিপি তৈরি করেছে। উক্ত অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন যে তারা তাঁর স্বাক্ষর নকল করে ২০০৭ সালে মৌজে ভিসাগর গ্রামে অবস্থিত তাঁর ৫৬.১৮ হেক্টর জমি সাহারা সিটি বিল্ডার্সের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে চাপ সহ্য করতে করতে তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়েছিল। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর মেয়ে এবং জামাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁর যত্ন নিতে চলে এসেছিলেন। ক্যান্সারের কারণে ২০১২ সালের ৪ঠা জানুয়ারি তারিখে তিনি পুনে হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রে ৬৫ বছর বয়সে মারা যান।

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী