কলিন মিলার
কলিন রিড মিলার (ইংরেজি: Colin Miller; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪) ভিক্টোরিয়ার ফুটসক্রে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে ১৮ টেস্টে অংশ নিয়েছেন কলিন মিলার। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচের সারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কলিন রিড মিলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ফুটস্ক্রে, ভিক্টোরিয়া | ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফাঙ্কি[১] | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম ডানহাতি অফ ব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৭৯) | ১ অক্টোবর ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ মার্চ ২০০১ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬ | ভিক্টোরিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯-১৯৯১ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২-২০০০ | তাসমানিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০-২০০২ | ভিক্টোরিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বা অফ ব্রেক বোলার হিসেবে সক্ষমতা দেখিয়েছেন মিলার। টেস্টে তিনি ২৬.১৫ গড়ে উইকেট পেয়েছেন। নিচের সারিতে ব্যাটিং করলেও ১২৬টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনটি অর্ধ-শতক পেয়েছেন। তবে ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চুলে নীল রঙ মেখে খেলার জন্য স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে দুই খেলায় অংশ নেন। কিন্তু রাজ্য দলে নিয়মিত খেলোয়াড় হতে না পারায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার দিকে চলে যান। সেখানে ১৯৮৮-৮৯ থেকে ১৯৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। এরপর তাসমানিয়ায় ১৯৯২-৯৩ থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত খেলার পর ২০০০-০১ থেকে ২০০১-০২ মৌসুম পর্যন্ত পুনরায় ভিক্টোরিয়া দলে খেলেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ২৪.৯৮ গড়ে ৭০ উইকেট পান।[২] তন্মধ্যে, ইনিংসে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৭/৪৯। এ সময় ভিক্টোরিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন পর্যন্ত বোলিং করতে থাকেন।[৩]
১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে রটেনস্টলের পক্ষে খেলে যথাক্রমে ১০৭৮ রান ও ১০০ উইকেট[৪] এবং ৭৮০ রান ও ১০৮ উইকেট সংগ্রহ করেন।[৫] ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালের ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালে ডাচ নেদারল্যান্ডস প্রতিযোগিতায় রেড ও হোয়াইট (এইচসিসি রুড এন উইট) দলের পক্ষে খেলেন। অনেকগুলো উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও প্রভূতঃ সফলতার সন্ধান পান।
শুরুতে ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলাররূপে খেলেন। কিন্তু গোঁড়ালির আঘাতের কারণে ডানহাতে অফ ব্রেক স্পিন বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। উভয় ধরনের বোলিংয়ে মানানসই সফলতা পাবার পর ৩৪ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে খেলার জন্য আমন্ত্রিত হন। দলের দ্বিতীয় স্পিন বোলার ও তৃতীয় পেস বোলার হন তিনি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে অফ-স্পিনার হিসেবেই অগ্রসর হন। ২৬.১৫ রান খরচায় ৬৯ উইকেট দখল করেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়া এ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। এরপর ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বড়দের দলের সদস্য হিসেবে পাকিস্তান সফর করেন। ঐ সফরেই তিনি টেস্টে অভিষিক্ত হন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেন। ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় চুলে নীল রঙ মাখেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কোর্টনি ওয়ালশের অনুকরণে রেখেছিলেন তিনি যা বেশ হাসির খোরাক জোগায়।[৬]
২০০০-০১ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ৫/৮১ ও ৫/৩২ পান।[৭]
কোচ
২০০৪-০৫ মৌসুমের শেপার্টন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে কাতান্দ্রা ক্রিকেট ক্লাবে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন কিন্তু শেষ মুহুর্তে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
২০১৩ সালে ইউএসএসিএ’র প্রধান নির্বাহী ড্যারেন বিজলে মিলারকে ইউএসএসিএর ক্রিকেট দূত হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া পেশাদার টুয়েন্টি২০ লীগের প্রো ক্রিকেটে অনেক সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের অন্যতম হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন ও খেলেন। এক মৌসুম পরই অবশ্য এ প্রতিযোগিতাটির বিলুপ্তি ঘটে।
অবসর
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান।
২০০২ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি লাস ভেগাসে বসবাস করছেন। পশ্চিম উপকূলে কিছু সংগঠনের আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় মিলারের সম্পৃক্ততা রয়েছে।