ওয়াল্টার ম্যাথাউ

মার্কিন অভিনেতা

ওয়াল্টার ম্যাথাউ (ইংরেজি: Walter Matthau; জন্ম: ওয়াল্টার জন ম্যাথো, ১ অক্টোবর ১৯২০ - ১ জুলাই ২০০০)[১][২] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা। তিনি তার অভিনীত দি অড কাপল চলচ্চিত্রে অস্কার ম্যাডিসন চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সুপরিচিত। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার, একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার ও একটি দাভিদ দি দোনাতেল্লো পুরস্কার লাভ করেন এবং মঞ্চে অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে দুটি টনি পুরস্কার অর্জন করেন।

ওয়াল্টার ম্যাথাউ
Walter Matthau
১৯৫২ সালে ম্যাথাউ
জন্ম
ওয়াল্টার জন ম্যাথো

(১৯২০-১০-০১)১ অক্টোবর ১৯২০
মৃত্যু১ জুলাই ২০০০(2000-07-01) (বয়স ৭৯)
সান্তা মনিকা, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুর কারণহৃদরোগ
সমাধিওয়েস্টউড ভিলেজ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রি
পেশাঅভিনেতা, গায়ক
কর্মজীবন১৯৪৪–২০০০
উচ্চতা৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)
দাম্পত্য সঙ্গীগ্রেস জেরাল্ডিন জনসন (বি. ১৯৪৮; বিচ্ছেদ. ১৯৫৮)
ক্যারল গ্রেস (বি. ১৯৫৯; মৃ. ২০০০)
সন্তান৩, চার্লস ম্যাথাউ-সহ
পুরস্কারনিচে দেখুন
সামরিক কর্মজীবন
আনুগত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সেবা/শাখামার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বিমান বাহিনী
পদমর্যাদা স্টাফ সার্জেন্ট
যুদ্ধ/সংগ্রামদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করার ম্যাথাউ ড্রামাটিক ওয়ার্কশপে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। তিনি আ শট ইন দ্য ডার্ক (১৯৬২) মঞ্চনাটকে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ চরিত্র অভিনেতা বিভাগে ও দি অড কাপল (১৯৬৫) মঞ্চনাটকে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ মুখ্য অভিনেতা বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি নিল সিমনের দি অড কাপল মঞ্চনাটক অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্রে এবং ৩০ বছর পর এর অনুবর্তী পর্ব দি অড কাপল টু-এ অভিনয় করেন। ১৯৯০-এর দশকে তিনি তার দি অড কাপলের সহশিল্পী জ্যাক লেমনের সাথে গ্রাম্পি ওল্ড মেন ও এর অনুবর্তী পর্ব গ্রাম্পিয়ার ওল্ড মেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

ম্যাথাউ ১৯৬৬ সালে দ্য ফরচুন কুকি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রথমবার একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি কচ (১৯৭১) ও দ্য সানশাইন বয়েজ (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুটি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। দ্য সানশাইন বয়েজ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

ম্যাথাউ ১৯২০ সালের ১লা অক্টোবর নিউ ইয়র্ক সিটির লোয়ার ইস্ট সাইডে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম ওয়াল্টার জন ম্যাথো।[৩][৪] তার মাতা রোজ বেরোল্‌স্কি ছিলেন একজন লিথুয়ানীয় ইহুদি অভিবাসী, যিনি একটি গার্মেন্ট সুইটশপে কাজ করতেন। তার পিতা মিল্টন ম্যাথো ছিলেন একজন ইউক্রেনীয় ইহুদি ইলেকট্রিশিয়ান, তিনি ইউক্রেনের কিয়েভ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।[৫][৬][৭] বাল্যকালে ম্যাথাউ একটি ইহুদি অমুনাফাভোগী স্লিপওয়ে ক্যাম্প ট্রাঙ্কুইলিটি ক্যাম্পে পড়াশোনা করেন, সেখানে তিনি ক্যাম্পের শনিবার রাতের মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন। এছাড়াও তিনি সারপ্রাইজ লেক ক্যাম্পেও যাতায়াত করতেন। তার উচ্চ বিদ্যালয় ছিল সিওয়ার্ড পার্ক হাই স্কুল।[৮] তিনি ইদ্দিশ থিয়েটার ডিসট্রিক্টে ছাড় প্রদানকারী স্ট্যান্ড ক্যাশিয়ার হিসেবে স্বল্পসময় কাজ করেছেন।[৯]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ম্যাথাউ গ্রেট ব্রিটেনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বিমান বাহিনীর অষ্টম বিমান বাহিনীতে রেডিওম্যান-গানার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কনসোলিডেটেড বি-২৪ লিবারেটর বোম্বার দলের সদস্য ছিলেন। তিনি জেমস স্টুয়ার্টের সাথে ৪৫৩তম বোম্বার্ডমেন্ট দলে ছিলেন। ইংল্যান্ডে আরএএফ ওল্ড বুকেনহামে থাকাকালীন তিনি নরফোক থেকে মহাদেশীয় ইউরোপে বালজের যুদ্ধকালীন মিশন পরিচালনা করতেন। তিনি যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত স্টাফ সার্জেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন, এবং অভিনেতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করতে যুদ্ধের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন।[১০]

কর্মজীবন

ম্যাথাউ দ্য নিউ স্কুলের ড্রামাটিক ওয়ার্কশপে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সেখানে তার সহপাঠী ছিলেন জার্মান পরিচালক আরভিন পিসকাটর। তিনি উইল সাকসেস স্পয়েল রক হান্টার?আ শট ইন দ্য ডার্ক (১৯৬২) মঞ্চনাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। দ্বিতীয় মঞ্চনাটকটির জন্য তিনি ১৯৬২ সালে শ্রেষ্ঠ চরিত্র অভিনেতা বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৬৫ সালে নিল সিমন তাকে দি অড কাপল মঞ্চনাটকে অভিনয়ের সুযোগ দেন করে। ম্যাথাউ এতে আর্ট কার্নির সাথে ক্রীড়া বিষয়ক লেখক অস্কার ম্যাডিসন চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ মুখ্য অভিনেতা বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি পরবর্তী কালে এই মঞ্চনাটক অবলম্বনে নির্মিত একই নামের (১৯৬৮) চলচ্চিত্রে জ্যাক লেমনের সাথে অভিনয় করেন। তিনি এডওয়ার্ড দিমিত্রিকের হিচককীয় রোমহর্ষক মিরেজ (১৯৬৫) চলচ্চিত্রে গোয়েন্দা টেড ক্যাসেল চরিত্রে অভিনয় করেন।

ম্যাথাউ ১৯৬৬ সালে হাস্যরসাত্মক দ্য ফরচুন কুকি চলচ্চিত্রে আইনজীবী উইলিয়াম এইচ. "হুইপল্যাশ উইলি" গিংরিচ" চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। এটি বিলি ওয়াইল্ডারের পরিচালনায় তার অভিনীত একাধিক চলচ্চিত্রের প্রথম চলচ্চিত্র এবং তিনি এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি কচ (১৯৭১) ও দ্য সানশাইন বয়েজ (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুটি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। দ্য সানশাইন বয়েজ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ


🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী