এশীয় কালো ভাল্লুক
কালো ভালুক[২] বা এশীয় কালো ভাল্লুক এশিয়া ও আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যায়। এই ভাল্লুকের আকার মাঝারি। এই ভাল্লুকের গলায় সাদা V আকারের দাগ আছে। এই ভাল্লুক চাঁদ ভাল্লুক নামেও পরিচিত। এই ভাল্লুক বিভিন্ন প্রকার। এশিয়া ও আমেরিকা মহাদেশের ভাল্লুকের প্রজাতি আলাদা।
এশীয় কালো ভাল্লুক | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Mammalia |
বর্গ: | মাংশাশী |
পরিবার: | Ursidae |
গণ: | Ursus |
প্রজাতি: | U. thibetanus |
উপপ্রজাতি: | See text |
দ্বিপদী নাম | |
Ursus thibetanus (G. Cuvier, 1823) | |
![]() | |
Asian black bear range (brown – extant, black – extinct, dark grey – presence uncertain) | |
প্রতিশব্দ | |
Selenarctos thibetanus |
বৈশিষ্ট্য ও আচরণ
আকৃতি
এশীয় কালো ভাল্লুক ১.২-২ মিটার পর্যন্ত হয়।
অন্যন্য বৈশিষ্ট্য
এরা অনেক অলস প্রকৃতির ভাল্লুক। তবে এরা যখন মারামারি করতে যায় তখন এদের অনেকক্ষন পর্যন্ত শক্তি থাকে।
অবস্থা
আইইউসিএন প্রধানত বনায়ন ধ্বংস এবং এদের দেহখণ্ডের জন্য শিকারের কারণে এদেরকে সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করে।[১] বাংলাদেশে কালো ভাল্লুক মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত[৩] এবং বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]
আঞ্চলিক ভাষায়
- আবর: সিতুম[৪]
- বেলুচি: মাম[৪]
- বাংলা: ভাল্লুক
- ভোতিয়া: থম[৪]
- বর্মী: উইনোন[৪]
- দাফলা: সুতুম[৪]
- গারো: মাপাল[৪]
- হিন্দি: কালা ভালু[৫] (Bālooউচ্চরণ করা হয়[৬]) অথবা Reech[৫] অথবা (Rinchউচ্চরণ করা হয়।)[৪]
- জাপানি: ツキノワグマ (tsukinowaguma) অর্থ "ক্রিসেন্ট ভাল্লুক"[৭]
- কাঁচারি: Miephúr or Musu-bhurma[৪]
- কাশ্মীরি: Seeah harpat[৬]
- কোরীয়: 반달가슴곰 (bandalgaseumgom)
- কুকি: Viempi[৪]
- লেপচা: Sona[৫]
- মৈতৈ: Sawom[৪]
- নাগা: Húghúm, Thagua, Thega, Chúp, Sevam or Sápá[৫]
- নেপাল: Sanár or Hingbong[৪]
- ফার্সি: خرس (khers)
- রুশ: Гимала́йский медве́дь (gimalayskiy medved, meaning "Himalayan bear") or белогрудый медве́дь (belogrudiy medved, meaning "white-chested bear")
- স্টান্ডাড ম্যানডারিন: 熊 (xióng)[৮]
উপপ্রজাতি
উপপ্রজাতির নাম | আবাসস্থল | বর্ণনা | |
---|---|---|---|
Ursus thibetanus formosanus Swinhoe, 1864![]() | তাইওয়ান | এদের ঘাড়ে অন্য উপপ্রজাতির মতো ঘণ পশম থাকে না। [৯] | |
Ursus thibetanus gedrosianus Blanford, 1877 | ইরান ও পাকিস্তান | ক্ষুদ্রতর উপপ্রজাতি। এদের লোম নাতিদীর্ঘ ও ঘন। লোম কালোর বদলে লালচে-খয়েরি রঙের হয়। [৯] | |
Ursus thibetanus japonicus Schlegel, 1857![]() | জাপানের হনশু, কিউশু, হোক্কাইডো ও শিকোকু। | ক্ষুদ্রতর উপপ্রজাতি। এদের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ওজন ৬০-১২০ কেজি ও নারীদের ওজন ৪০-১০০ কেজি হয়। এরা দৈর্ঘে ১১০-১৪০ সেমি হয়। [১০] এদের ঘাড়েও ঘন পশম থাকে না। নাক কালচে রঙের হয়।[৯] | |
Ursus thibetanus laniger Pocock, 1932 | আফগানিস্তান, দক্ষিণ-প্যররব ইরান, ও দক্ষিণ চীন। | ||
Ursus thibetanus mupinensis Heude, 1901 | হিমালয় ও ইন্দোচীন। | ||
Ursus thibetanus thibetanus Cuvier, 1823 | |||
Ursus thibetanus ussuricus Heude, 1901 | দক্ষিণ সাইবেরিয়া, উত্তরপূর্ব চীন, কোরীয় উপদ্বীপ। | বৃহত্তম উপপ্রজাতি[৯][১১] |