ইরাপল্লী প্রসন্ন

ভারতীয় ক্রিকেটার

ইরাপল্লী অনন্তরাও শ্রীনিবাস ই. এ. এস. প্রসন্ন (কন্নড়: ಎರಾಪಳ್ಳಿ ಅನಂತರಾವ್‌ ಶ್ರೀನಿವಾಸ್‌ ಪ್ರಸನ್ನ; জন্ম: ২২ মে, ১৯৪০) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণকারী রেফারি ও সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ই. এ. এস. প্রসন্ন

ইরাপল্লী প্রসন্ন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ইরাপল্লী অনন্তরাও শ্রীনিবাস প্রসন্ন
জন্ম২২ মে, ১৯৪০
ব্যাঙ্গালুরু, ব্রিটিশ ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকারেফারি
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০৫)
১০ জানুয়ারি ১৯৬২ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৭ অক্টোবর ১৯৭৮ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতাটেস্টএফসিএলএ
ম্যাচ সংখ্যা৪৯২৩৫
রানের সংখ্যা৭৩৫২৪৭৬৩৩
ব্যাটিং গড়১১.৪৮১১.৯০১৬.৫
১০০/৫০-/--/২-/-
সর্বোচ্চ রান৩৭৮১২২
বল করেছে১৪৩৫৩৫৪৮২৩৫৮৬
উইকেট১৮৯৯৫৭১৭
বোলিং গড়৩০.৩৮২৩.৪৫১৮.৭
ইনিংসে ৫ উইকেট১০৫৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং৮/৭৬৮/৫০৩/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং১৮/-১২৭/-৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

স্পিন বোলার হিসেবে সুখ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি। অফ স্পিনার হিসেবে ভারতীয় স্পিন চতুঃষ্টয়ের অন্যতম ছিলেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার হিসেবে ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে ভাগবত চন্দ্রশেখর, বিষেন সিং বেদীশ্রীনিবাসন ভেঙ্কটরাঘবনকে নিয়ে ভারতীয় স্পিনার চতুষ্টয় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

মহীশূরের জাতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী তিনি। প্রকৌশল বিষয়ে ডিগ্রি নেয়ার জন্যে সাময়িকভাবে ক্রিকেট খেলা থেকে দূরে ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় কর্ণাটকের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। দুইবার রঞ্জী ট্রফির শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেন ও বোম্বের ১৫ বছরের একচ্ছত্র প্রভাববিস্তারকে খর্ব করে দেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

১০ জানুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে মাদ্রাজে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম বিদেশ সফরে বেশ ছন্নছাড়া ছিল তার বোলিং। ফলশ্রুতিতে পরবর্তী পাঁচ বছরে তাকে কোন টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৬৭ সালে পুনরায় ক্রিকেট জগতে ফিরে আসেন। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেন তিনি।

পাকিস্তান সফরের পর ১৯৭৮ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন। এ সফরেই বিষেন সিং বেদি ও ভাগবত চন্দ্রশেখরের বোলিংয়ের ধার অনেকাংশেই কমতে শুরু করে। শুধুমাত্র বোলিং উপযোগী পিচেই তিনি যে সফলতা পেয়েছেন তা নয়। বিদেশের মাটিতেও এ ধারা অব্যাহত রাখেন। একসময় ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে ২০ টেস্টে অংশ নিয়ে ১০০ টেস্ট উইকেট পান। পরবর্তীকালে রবিচন্দ্রন অশ্বিন তার এ রেকর্ডটুকু ভেঙ্গে ফেলতে সমর্থ হন।

অর্জনসমূহ

'ওয়ান মোর ওভার' শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন তিনি।

১৯৭০ সালে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন।[২] এরপর ২০০৬ সালে ক্যাস্ট্রল আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।[৩] ২০১২ সালে ৫০-এর অধিক টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করায় বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে পুরস্কার পান তিনি।[৪][৫][৬]

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানসামাজিক সমস্যালামিনে ইয়ামালকোপা আমেরিকা২০২৪ কোপা আমেরিকাউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপউয়েফা ইউরো ২০২৪আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)মুকেশ আম্বানিঅপারেশন সার্চলাইটছয় দফা আন্দোলনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বাংলাদেশআশুরাযুক্তফ্রন্টবাংলা ভাষা আন্দোলনব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলশেখ মুজিবুর রহমানস্পেন জাতীয় ফুটবল দলকাজী নজরুল ইসলামআনহেল দি মারিয়ালিওনেল মেসিলাহোর প্রস্তাববাংলাদেশের সংবিধানবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাফিফা বিশ্বকাপফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকারাজাকারকারবালার যুদ্ধমিয়া খলিফাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহকিম কার্দাশিয়ানভূমি পরিমাপ